এগিয়ে চলো এক্সক্লুসিভ

মৃত্যুর ৩ মাস আগে গ্রেনেড হামলা হলেও বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু!

4 / 8

মৃত্যুর ৩ মাস আগে গ্রেনেড হামলা হলেও বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু!

মৃত্যুর ৩ মাস আগে গ্রেনেড হামলা হলেও বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু!
  • পড়তে সময় লাগবে মিনিট
  • পড়তে সময় লাগবে মিনিট

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় উপস্থিত পরিবারের সকল সদস্যসহ নির্মমভাবে খুন হওয়ার প্রায় তিন মাস আগে, ২১শে মে, বাসায় ফেরার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান।

সেই হামলায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হন তার দুই সঙ্গী। সরকারের কড়া নির্দেশনার কারণে তখন ঘটনাটি নিয়ে কোন খবর প্রকাশিত হয়নি।

তবে ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাস ঘটনাটি জানতে পারে এবং রাষ্ট্রদূত ডেভিস বোস্টার ২৩শে মে সে সম্পর্কে ওয়াশিংটনে একটি গোপন তারবার্তা পাঠান। একই সময়ে সেই বার্তা কলকাতা ও দিল্লীতে আমেরিকান দূতাবাসের অফিসেও পাঠানো হয়।

বোস্টার হামলাকারীদের পরিচয় ও হামলার স্থান সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি।

উইকিলিকস ২০১১ সালে আমেরিকান দূতাবাস ও পররাষ্ট্র দপ্তরের যে লক্ষ লক্ষ তারবার্তা ও প্রতিবেদন ফাঁস করে তার মধ্যে একটি ছিল এটি। তখন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগতভাবে আমি এবং দেশের কিছু পত্রিকা গুরুত্বপূর্ণ তারবার্তাগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে প্রকাশ করলেও এই বার্তাটি চোখে পড়েনি। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে নতুন তারবার্তা খুঁজতে গিয়ে এটি পেয়ে যাই। ইন্টারনেটের কল্যাণে জানা গেলো বিষয়টি প্রথম পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালের ১৩ই এপ্রিল, ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকায়। আমার জানামতে, এটি এখনো বাংলাদেশের কোন পত্রিকা/টিভিতে প্রকাশিত হয়নি।

২৩শে মে, ১৯৭৫-এর তারবার্তা,

“আমাদের কাছে দুইটি সূত্র মারফত খবর আছে, ২১শে মে রাতে রাষ্ট্রপতি মুজিবুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা হয়েছিল। ঢাকার বাইরে একটি টিভি স্টেশন পরিদর্শন শেষে মুজিব যখন তার বাসায় ফিরছিলেন, তখন হামলাটি করা হয়।”

দুটি সূত্রই নিশ্চিত করেছিল যে, এটি গ্রেনেড হামলা ছিল।

এই খবরের প্রাথমিক সূত্র হিসেবে বোস্টার দূতাবাসের এক বাঙালি কর্মকর্তার কথা বলেন যিনি সেখানে রাজনৈতিক সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। তারবার্তায় হামলার স্থান, টিভি স্টেশনটি কোথায় বা বঙ্গবন্ধুর সাথে কারা কারা ছিল তা নিয়ে কোন তথ্য নেই।

সেই কর্মকর্তাকে এ ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছিল রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিভাগের একজন উপ-পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট।

দ্বিতীয় সূত্রটি ছিল বাংলাদেশি একজন সাংবাদিক, যার নাম তারবার্তায় উল্লেখ করা হয়নি। তিনি দূতাবাসের তথ্য কর্মকর্তাকে বলেন যে, গ্রেনেড হামলায় মুজিব অক্ষত থাকলেও দুইজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আহত হন।

তিনি আরো বলেন, “এই খবরটি ছাপানোর ব্যাপারে পিআইডি থেকে কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল।”

(চলবে...)

শেয়ারঃ


উইকিলিকস: মার্কিনীদের চোখে বঙ্গবন্ধু হত্যা