এগিয়ে চলো এক্সক্লুসিভ

আমরা করোনাজয়ী হলাম ঠিকই, কিন্তু একজনকে হারিয়ে...

24 / 30

আমরা করোনাজয়ী হলাম ঠিকই, কিন্তু একজনকে হারিয়ে...

আমরা করোনাজয়ী হলাম ঠিকই, কিন্তু একজনকে হারিয়ে...
  • পড়তে সময় লাগবে মিনিট
  • পড়তে সময় লাগবে মিনিট

সাফাতে নূর সারাফ সাইয়্যারা

লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে একদিনের জন্যও বাইরে যাইনি, সপরিবারে বাসায়ই ছিলাম। চট্টগ্রামে আমরা বাংলো বাড়িতে থাকি, পুরোটা বাউন্ডারি দিয়ে আলাদা করা বাইরের দুনিয়া থেকে। তাই অন্যান্য মানুষের সংস্পর্শেও যাইনি কেউ- এতটুকু নিশ্চিত। বাজার যা কিছু করার ছিল, সাবধানতার সাথে দারোয়ানই করে আনতো। তবে ভুল আমাদের হয়েছিল, একটা জায়গায় ফাঁকি পরে গিয়েছিল আমাদের। আমাদের বাসায় রান্নাবান্নার জন্য পার্মানেন্ট যে হেল্পিং হ্যান্ড থাকতো, তার পারিবারিক ইস্যুর কারণে সে তার দেশের বাড়ি গেল। সেখানে ৭ দিন থেকে সে যখন আমাদের বাসায় ফেরত এলো, তখন তাকে আমরা ১৪ দিনের জন্য আইসোলেট করিনি, এটাই ছিল আমাদের ভুল। 

আসলে আসার পর তার শরীর ঠিকঠাকই ছিল, কোনো জ্বরজারি ছিল না। তাই আমরা ধরে নিয়েছিলাম কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ৭ দিনের মধ্যে তার যে ঠান্ডা লেগে ভালোও হয়ে গিয়েছিল, তা সে আর আমাদের জানায়নি। তাই আমরা সন্দেহ করেছি হয়তো তার থেকেই ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে আমাদের। 

সাথে রাখুন সেপনিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার

যাহোক, শুরুতে বাবার জ্বর এলো, ১০০-১০২ জ্বর, দুইদিন থেকে ভালো হয়ে যায়। বাবার জ্বর আসার দুইদিন পর মায়েরও জ্বর এলো, এর ১ দিন পর এলো আমার জ্বর। বাবার জ্বর হলেও নরমাল ফ্লু ভেবে করোনা টেস্ট করার কথা ভাবিনি কেউ, কিন্তু যখনই আমার জ্বর হলো, তখন বাবা বললো সবাইকে টেস্ট করাতে হবে। জুলাইয়ের ৪ তারিখ আমরা করোনা টেস্টের জন্য স্যাম্পল দিলাম, কিন্তু রিপোর্ট আর আসে না। এদিকে বাবা নিজেকে সহ আমাকে আর আম্মুকে আইসোলেটেড করে ফেললো তাদের রুমে। বললো করোনা পজিটিভ ধরে নিয়ে আলাদা থাকাটাই উচিত। যেহেতু বাড়িতে বয়স্ক দাদী আছে, ছোট ভাই আছে, তাই আমরাও বিন্দুমাত্র রিস্ক নিতে চাইলাম না। বাবার কথামতো আলাদা থাকা শুরু করলাম। আবার রান্নার সহকারী ছাড়া বাড়ির অন্যান্য সহযোগী যারা ছিলেন, তাদের সবাইকে বাবা ছুটি দিয়ে দিলেন। অবাক হলেও কিছু জিজ্ঞেস করিনি এ ব্যাপারে।

পুরোনো এলবাম থেকে, দাদা-দাদী সহ আমাদের পরিবার

বাবা-মা-আমি এক রুমে থাকা শুরু করলাম, এরপর লক্ষ্য করলাম বাবার ঘনঘন ফোন আসছে, আত্মীয় স্বজন সবাই অনেক খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে। রুমবন্দী হওয়ার ৩ দিন পর বাবা আমাকে হাসতে হাসতে বললেন, 'দেখিস আমরা ঠিক করোনা বিজয়ী হবো'! তখন আমার আর মা'র সন্দেহ শুরু হলো যে হ্যাঁ, আমরা হয়তো কোভিড পজিটিভ, কিন্তু বাবা লুকাচ্ছেন। সত্যিই তাই। আমার মা অল্পতেই ঘাবড়ে যান দেখে স্যাম্পল নেওয়ার ১ দিন পর সবার পজিটিভ রিপোর্ট পেয়েও বাবা কাউকে জানাননি। কিন্তু বাবার ডাক্তার বন্ধুর সাথে কনসাল্ট করে ঠিকই ওষুধ খাওয়াচ্ছিলেন আমাদের। আমার ছোট ভাই এজমা পেশেন্ট, ওকে ওর ঘরে আলাদা রাখা হলো, দাদীও আলাদা রুমে, আমরা ৩ জন এক রুমে। বুয়া এসে ট্রলিতে খাবার রেখে যায়, রুমেই খাওয়াদাওয়া করি আমরা। 

বাবা শুরুতেই অক্সিমিটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে রেখেছিলেন ঘরে। যেহেতু ক'দিন আগেই প্রচন্ড ভুগে ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠেছি, ইমিউনিটি ছিল এমনিতেই দুর্বল, তাই আমাকে নিয়েই ছিল বাবার বাড়তি চিন্তা। 

প্রতিদিন অক্সিমিটারে অক্সিজেন স্যাচুরেশন চেক করতাম ৩ জনই, প্রথমে স্বাভাবিকই ছিল সব। তবে এরপর ধীরে ধীরে খাবারের ঘ্রাণ-টেস্ট সব চলে গেল, পেট খারাপ হলো, কাশিও ছিল হালকা। এসব সমস্যা আমার আর মা'রই হচ্ছিল, বাবা ছিল কম্পলিটলি ওকে। 

বাবা যতই উৎফুল্ল রাখার চেষ্টা করুক, দিনদিন আমার অবস্থা খারাপ হতে লাগলো। আমার প্রচন্ড শরীর ব্যথা ছিল, এত বেশি যেন মনে হতো দশ তলা থেকে আমাকে কেউ ফেলে দিয়েছে! আবার চতুর্দিক থেকে শুধু মৃত্যু সংবাদ পাই। বন্ধু-বান্ধব কাউকে জানাইনি প্রথমে পজিটিভ হওয়ার খবর, কিন্তু অনলাইন ক্লাস করার সময় এক কোর্সের ডক্টর ম্যাম বারবার শুধু কোভিড পেশেন্ট নিয়ে তার ডিল করার এক্সপেরিয়েন্স বলতো, আর তার বেশীরভাগই যে মারা গেছে, সেসবও তিনি শেয়ার করতেন ক্লাসে। আমার শুধু মনে হতো আমি হয়তো আর বাঁচবো না৷ ভয় থেকেই আমার পালস বেড়ে যেত, জ্বর চলে আসতো। বাধ্য হয়ে ম্যামকে আমি বলে দেই যে আমি কোভিড পজিটিভ, এই কথাগুলো আর না বলার জন্য তাঁকে অনুরোধ করি৷ তিনি এরপর আমাকে অনেক সাহস জোগানোর চেষ্টা করেছেন। 

এদিকে বলে রাখি, দাদীর জ্বর বা কোনো উপসর্গ না থাকায় তার করোনা টেস্ট করা হয়নি। কিন্তু আমাদের পজিটিভ আসার ৫ দিন পরেই দাদীর ৯৯/১০০ জ্বর এলো। দাদী অনেক ভয় পেয়ে যান, তাই তাঁকে করোনার কথা বলা হয়নি, টেস্টও করা হয়নি। তবে পজিটিভ ধরে নিয়েই দাদীর রুমসহ আমাদের পাশ পুরোটাই আইসোলেট করে ফেলি। দাদীর রুমের দরজা খোলা রাখি, যাতে আমরা তার টেক কেয়ার করতে পারি। ওদিকে আমার ভাই আলাদা এক রুমে থাকছে। 

এর মাঝে একদিন অনলাইন ক্লাস করে দুপুর ১২টার দিকে ঘুমিয়ে যাই। ঘুম থেকে উঠার পর দেখি উঠে বসতে পারছি না, চোখ মেলে তাকাতে পারছি না, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। নিজেকে নিজে বুঝ দিলাম যে কোভিড হলে একটু এরকম হয়, বাবা ছিলেন পাশে, আমার অবস্থা দেখে দ্রুত অক্সিমিটারে চেক অক্সিজেন মাত্রা চেক করে দেখি স্যাচুরেশন হালকা কমে গেছে, একদমই কম কমেছে, কিন্তু আমি প্রচন্ড প্যানিক করে ফেললাম। পালস হাই হয়ে গেল, জ্বর চলে আসলো ইনস্ট্যান্ট। আমার বারবার মনে হচ্ছিল মরে যাব আমি, মনে মনে কালেমা পড়ছিলাম৷ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছিলাম, আবার এই ভেবে অভিমানও হচ্ছিল খুব, বয়স এত কম থাকতেই মরে যাচ্ছি, কিছুই করতে পারলাম না... এক কথায় মানসিকভাবে একদম মেনেই নিয়েছিলাম যে- হ্যাঁ আল্লাহ, আমি রেডি, ইউ ক্যান টেক মি!

আমার অবস্থা দেখে আব্বু জোরে ধমক দিল আমাকে। বললো, তুই এখন যা চাইবি তাই হবে। মরে যেতে চাইলে আমরা ছেড়ে দিব, কিন্তু বেঁচে থাকতে চাইলে উঠে দাঁড়া। আমি বললাম- আমি পারছি না, আব্বু আবারও জোরে ধমকে উঠালো আমাকে। এরপর ফুসফুসের এক্সারসাইজ করালো, ধরে কিছুক্ষণ হাঁটালো। অনেকক্ষণ ইজি করার চেষ্টার পর আমি ইজি হলাম৷ এরপর ফ্রেশ হয়ে এসে আমার মনে হলো- তাইতো, আমি তো বেঁচে আছি, মরবো না, শুধু আমার ইচ্ছাটা থাকতে হবে বেঁচে থাকার! 

 বাবা

বাবা শুধু আমাদের বারবার অভয় দিত, বলতো যে কিচ্ছু হবে না। শুধু মনে সাহস রাখতে বলতো। তার পজিটিভিটিতে আমিও বিশ্বাস করা শুরু করলাম যে কিছুই হবে না। সত্যিই তাই, কিছুই হয়নি আমার, তবে আমার দাদীর হলো! আমি দাদীকে হারালাম। 

করোনা পজিটিভ হওয়ার ৯ দিন পর্যন্ত ব্যাক টু ব্যাক জ্বর ছিল আমার, সাথে শরীর ব্যথা তো ছিলই। তবে ১০ দিনের মাথা থেকে আমি-বাবা-মা, আমরা ৩জন বেটার ফিল করা শুরু করলাম। তবে দাদী একদম বিছানায় পড়ে গেল। তিনি খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিল, এমন অবস্থা হলো টয়লেট পর্যন্ত যেতে পারতো না, বিছানাতেই সব করতো। আমার দাদী শক্ত-সামর্থ্যই ছিল, ৭৫ বছর বয়স তাঁর, ডায়েবেটিস ছাড়া আর কোনো অসুখ-বিসুখও ছিল না। দাদীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে চাইলেন বাবা, কিন্তু তিনি রাজি হন না। ফলে বাসায় থেকেই ট্রিটমেন্ট করাতে হচ্ছিল। 

প্রতিদিনই অক্সিমিটারে অক্সিজেন মাত্রা চেক করতাম, স্বাভাবিকই ছিল সব, অথচ দাদীর অবস্থার উন্নতি নেই। আমাদের পজিটিভ হওয়ার ১৫ দিনের দিন রাত ২টায় দাদীর শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে পরে, আবোলতাবোল কিছু বলে কথা বলা বন্ধ করে দেয় একদম। প্রেশার হাই, অক্সিজেন মাত্রা চেক করে দেখি স্যাচুরেশন ৬০ এ নেমে এসেছে! এত রাতে এম্বুলেন্স পাওয়াও যাচ্ছিল না। উপায় না পেয়ে বাবা মাস্ক গ্লাভস পরে নিজেই গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যায় দাদীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে। হাসপাতালে নেয়ার পর একটু স্টেবল হয় দাদীর অবস্থা, আবার খারাপ হয়। ডাক্তার বললো লাংস এক্সরে করতে হবে। এর আগে ওভার ফোন যখন ট্রিটমেন্ট নিচ্ছিলাম আমরা, আমাদের কখনো বলা হয়নি লাংস এক্সরে করাও যে কোভিড ট্রিটমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। 

যাই হোক, টেস্ট করে দেখে দাদীর লাংসের ৮০% অংশই ইনফেক্টেড। ডাক্তার বললেন কোনোভাবেই বাঁচানোর সুযোগ নেই, আইসিইউতে একদিন থেকে দাদী মারা গেলেন। কোভিড জার্নির শুরু থেকে যে বাবা আমাদের আগলে রেখেছিল, সে বাবাকে বাচ্চাদের মতো কাঁদতে দেখলাম। আত্মীয়-স্বজন কেউ নেই, লাশের গাড়ির চারপাশে আমরা চারটা মানুষ শুধু অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছি... জীবনে কোনোদিনও এতটা হেল্পলেস ফিল করিনি। অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর কথাটা আক্ষরিক অর্থেই টের পেলাম। হঠাৎ করে কী হয়ে গেল, কেউ তো প্রস্তুত ছিলাম না, মানসিকভাবে সবাই কেমন যেন হয়ে গেলাম। দাদী মারা যাওয়ার এক সপ্তাহ পর্যন্ত কাঁদতে পারিনি কেউ।

যাহোক, পুনরায় সবাই করোনা টেস্টের জন্য স্যাম্পল দিলাম, এবার নেগেটিভ এলো রিপোর্ট। আমরা করোনাজয়ী হলাম ঠিকই, কিন্তু একজন সৈনিক হারিয়ে।

দাদীর কোলে ছোট্ট আমি

যা খেয়েছি

করোনা পজিটিভ থাকার সময়টায় কারোরই স্বাদ-ঘ্রাণ ছিল না মুখে, তবে আমরা প্রচুর খেয়েছি। প্রচুর ডিম, মাংস, দুধ খেয়েছি। এছাড়া কালোজিরা ভর্তা, সরিষা ভর্তা, কাঁচা হলুদ চিবিয়ে পর্যন্ত খেয়েছি। সন্ধ্যায় সবাই এক গাদা ফল নিয়ে বসতাম- আনারস, মাল্টা, নাশপাতি খাওয়া হয়েছে অনেক। অনেকের কাছে হাস্যকর লাগবে জানি, আমাদের কাছেও এখন হাস্যকর লাগলেও এটা সত্য যে ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ওষুধের পাশাপাশি দিগ্বিদিকশূন্য হয়ে হোমিওপ্যাথি ওষুধও খেয়েছি আমরা! এমনকি বাদ যায়নি থানকুনি পাতাও! 

তবে আমাদের কাছে মনে হয় সবচেয়ে কাজে দিয়েছে মেন্থল ইনহেলিং। সারাদিনে ৬-৭ বার চা তো খেতামই, নিয়ম করে ৩ বেলা মেনথলের ভাঁপ নিতাম। এটা নিয়মিত নেওয়ার জন্য ডাক্তার বারবার বলেছেন। আমাদের কাছেও মনে হয়েছে এই কারণেই করোনা আমাদের বেশি কাবু করতে পারেনি। 

খেয়াল রাখুন মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি

কোভিডে যেকোনো সিচুয়েশন ফল ডাউন করতে পারে, তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করলেন তো গেলেন। আমি অনেক প্যানিক করি দেখে বাবা আমাকে বারবার বলতেন, তুমি বসে গেলে কোভিড তোমাকে ধরার আগে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে বসো। অদৃশ্য এক শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধটা করছো, মানসিকভাবেই থাকতে হবে সবচেয়ে শক্ত। বাবা ছিলেন প্রচন্ড পজিটিভ, তার কারণেই আমরা, বিশেষ করে আমি সারভাইভ করতে পেরেছি। মানসিক প্রশান্তির জন্য আমরা নিয়ম করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছি, মন প্রফুল্ল রাখতে ১ দিন পরপর কমেডি মুভি দেখেছি। এক কথায়, সিচুয়েশন সবাই পজিটিভলি হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করেছি৷ 

কিছু ক্ষোভকথা

করোনা জার্নির মধ্যেই টের পেয়েছি জাতি হিসেবে আমরা কতটা অসহায়৷ শুরু থেকে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে বারবার হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার-মাস্ক ব্যবহার করুন ইত্যাদি কথা বলে। কিন্তু কোথাও বলা হচ্ছে না ইনফেক্টেড হয়ে গেলে আমাদের কী করা উচিত। হাসপাতালে যাওয়ার আগে আমরা একবারের জন্যও কোথাও শুনিনি লাংস এক্সরে করার কথা। হয়তো আগে লাংস এক্সরে করতে পারলে আমার দাদীকে হারানো হতো না। তাই সবাইকে অনুরোধ, করোনার উপসর্গ দেখা দিলে করোনা টেস্টের পাশাপাশি লাংস এক্সরে অবশ্যই করুন। কেননা আপনার ফুসফুস ইনফেক্টেড হয়ে থাকলে এক্সরে করা ব্যতীত আপনি টের পাবেন না। 

সবশেষে সবাইকে একটা অনুরোধ করতে চাই- কোনো কিছু চেপে যাবেন না। করোনা পজিটিভ হলে একে মোকাবেলা করুন, নিজের মধ্যে রেখে, চাপা দিয়ে রাখলেই করোনা হবে না- বিষয়টা তেমন নয়। বাস্তবতা মেনে নিয়ে পজিটিভলি ফেস কর‍তে হবে সব। মনে রাখতে হবে- Don't fear your worst fear, you’ve to face it positively.

শেয়ারঃ


করোনাজয়ী'র গল্প