কিশোরদের জন্য স্কুল আছে, মাঠ বা খেলাধুলার জায়গা নেই। সংস্কৃতি চর্চার জায়গা বলে কিছু নেই, তাদের আনন্দ বিনোদন বলে কিছু নেই। বাধ্য হয়ে তারা মোবাইলে পর্ন দেখবে, টিকটক বানাবে, গ্যাং বানিয়ে অপরাধে জড়াবে...
আপনি টিকটক সমর্থন করবেন নাকি অন্য কিছু সেটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু আপনি রাস্তা বন্ধ করে রাখবেন, পথ ছাড়তে বললে গালিগালাজ করবেন, এরপর হামলা চালাবেন এগুলো কিন্তু ফৌজদারি অপরাধ। সেলেব্রেটি হলে কী বিচার করা যাবে না?
আরেকটা কথা, এই দেশে কিশোর অপরাধ কীভাবে বাড়ছে সেটা নিয়ে বোধহয় আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। মায়ের বয়সী নারীকেও এরা টিজ করে। দয়া করে কাউকে সহানুভূতি জানাতে গিয়ে এগুলোর বৈধতা দিয়েন না।
তবে একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া জরুরী। বলেন তো কেন আমাদের দেশের কিশোররা এসব অপরাধে জড়াচ্ছে? স্কুল আছে, মাঠ বা খেলাধুলার জায়গা নেই। কিশোরদের সংস্কৃতি চর্চার জায়গা বলে কিছু নেই, তাদের আনন্দ বিনোদন বলে কিছু নেই। বাধ্য হয়ে মোবাইলে পর্ণ দেখবে, টিকটক বানাবে, অপরাধে জড়াবে।
আচ্ছা বলেন তো এই দেশের কোন টেলিভিশনে কিশোরদের জন্য কী অনুষ্ঠান আছে? অথচ আমাদের শৈশবে শুধু বিটিভি ছিল। কিন্তু স্কুল ছুটির পর মাঠে ফুটবল বা ক্রিকেট খেলে রাতে বিটিভির নাটক বা ম্যাকগাইভার ছিল। আচ্ছা এই শহরের কোথায় কিশোরদের জন্য কোন অনুষ্ঠানটা আছে?
না কিশোরদের বিনোদনের কথা কেউ ভাবে না। বড়লোকের সন্তানেরা দেখে বাবা ঘুষ খায় আর টাকা কামায়, গরিবের সন্তানেরা দেখে সংসারে অশান্তি, কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আর মধ্যবিত্তরা লড়াই করতে করতে বড় হয়। আর সব মিলিয়ে সব কিশোরদের অবস্থা হয় রবীন্দ্রনাথের ফটিকের মতো। একদিকে কিশোর অপরাধ বাড়ে। তৈরি হয় টিকটক।
জানি বলে লাভ নেই তবু বলি চলুন পারলে এই দেশের কোটি কিশোরদের খেলাধুলা-বিনোদন-সংস্কৃতির জন্য চলুন একটু ভাবি। প্রয়োজনে শুধু তাদের জন্যই একটা টিভি চালু হোক। সারাবছর জুড়ে চলুক নানা টুর্নামেন্ট, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা বা এমন কিছু। শুধু চলুন একটু ওদের কথা ভাবি।
*
প্রিয় পাঠক, চাইলে এগিয়ে চলোতে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- আপনিও লিখুন