অবিশ্বাস্য, ভিয়েতনামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সবাই সুস্থ!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো ভাইরাসটা পাত্তাই পায়নি ভিয়েতনামে। অবাক করা এই তথ্যটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রিপোর্ট করেছে আল-জাজিরাও
ভিয়েতনামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলো ১৬জন মানুষ। এরা সবাই এখন সুস্থ। সবাইকে হাসপাতাল থেকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। তন্মোধ্যে সবচেয়ে বৃদ্ধ রোগীর বয়স ৭৩ বছর। ভিয়েতনামের রাজধানী হানোই অবরুদ্ধ ছিলো টানা ২০দিন। সেখানে গত ১৫ দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন কাউকে সনাক্ত করা যায়নি। ভিয়েতনাম কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয় তারা করোনাভাইরাসকে একটা যুদ্ধের মতো মোকাবেলা করেছে।
করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে ইতিমধ্যেই। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮৩ হাজার। তবে ভিয়েতনামে প্রেক্ষাপট একেবাইরেই ভিন্ন। সেখানে কেউ মারা যায়নি। এমনকি এখন কেউ আক্রান্তও নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভিয়েতনাম রিপ্রেজেন্টেটিভ ডাক্তার কিডং পার্ক জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ভিয়েতনাম সফল হয়েছে তাৎক্ষনিক তৎপরতায়।
এ বছরের শুরুতে, জানুয়ারির ২৩ তারিখ ভিয়েতনামে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়। পুরো দেশজুড়ে নেমে এসেছিলো আতঙ্কের ছায়া। আক্রান্তদের সংখ্যা ৬ এর পৌঁছানোর পর, ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে ভিয়েতনাম আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে। ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখ থকে সন লই এর প্রায় ১১ হাজার অধিবাসীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো ভিয়েতাম কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি এখনও পর্যন্ত। লক্ষণসমূহের মাধ্যমে প্রতিরোধ করাই একমাত্র চিকিৎসা। আর কিছু পুস্টিকর খাবার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। আক্রান্তের শরীরে- রক্তের সম্পৃক্ততার সমতা ধরে রাখতে পারলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
করোনাভাইরাস সনাক্ত করার পর থেকে ভিয়েতনামের ৬৩টি শহর অবরুদ্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। যতভাবে সম্ভব প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিলো। জানুয়ারির ২৮ তারিখ থেকে ভিয়েতনামে, সকল বন্যপ্রাণী আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। সেই থেকে বন্যপ্রাণী অধিদপ্তরও সকল প্রাণী পরিবহনও বন্ধ করে দিয়েছিলো।
শুধু তা-ই নয়। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনও জারি রয়েছে। প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে ছর্যে পড়ছে। সেখানে নিজেদের রক্ষা করা আসলেই খুব চ্যালেঞ্জিং একটি ব্যাপার। এই প্রেক্ষাপটে ভিয়েতনামের পদক্ষেপসমূহ আসলেই প্রশংসার দাবীদার। তারা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো এই করোনাভাইরাসের খবরাখবরে ভিয়েতনামের এই সফলতা আসলেই আশার দৈববাণী ছড়ায়। জগতের সকল প্রাণী এই আশায় বেঁচে থাকুক। করোনাভাইরাস নিপাত যাক, মানবসম্প্রদায় সুস্থ থাকুক।