ইউনাইটেড হাসপাতালে আমার বন্ধুর বাবা মারা গেছেন। আর তাকে পাঠানো শেষ চিঠিটা রয়ে গেছে একটা পরিবারের অসহায় অপেক্ষার চিত্র হিসেবে...

ইউনাইটেড হসপিটালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে  ছিলেন আমার বন্ধুর বাবা। IEDCR-এর রিপোর্টে Covid-Test নেগেটিভ আসা সত্ত্বেও ইউনাইটেড হাসপাতাল সম্পূর্ণ নিশ্চিত হবার জন্য আবার টেস্ট করে। 

সেই টেস্টের রিপোর্টও নেগেটিভ আসে, কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনেক দেরি করে প্রিন্টেড রিপোর্ট ডেলিভার করতে। রিপোর্টটা সময়মত পেলে হয়তো নিজের বাবাকে রিলিজ করে বাসায় নিয়ে যেতে পারতো আমার বন্ধু। 

মিঃ হাইজিন: জীবাণুমুক্ত হাতের প্রতিশ্রুতি

শেষমেশ বাবাকে চোখের দেখা দেখতে পায়নি বন্ধু। আইসোলেশন ওয়ার্ডের বাইরে থেকে স্ত্রীর লেখা এই চিঠির ছবিটা বাবার কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছিল ছেলে। যাতে বাবা চিঠিটা পড়লে অন্তত নিজেকে একা মনে না করে, একটু বেটার ফিল করে।

অথচ নিরাপত্তার কথা বলে কোনো নার্সই চিঠিটা আর পৌঁছে দেয়নি বাবার কাছে। 

সেই চিঠি

গতকাল রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালে আমার বন্ধুর সেই বাবা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আর চিঠিটা থেকে গেছে একটা পরিবারের অসহায় অপেক্ষার চিত্র হিসেবে। 

এই চিঠিটা আমাকে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে- আমরা সবাই জিম্মি, কেউই নিরাপদ নই- কোথাও...

লেখক: তুষার হাসান, লিরিসিস্ট


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা