রোম যখন পুড়ছিলো সম্রাট নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। আর অস্ট্রেলিয়া যখন পুড়ছে তখন তার সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছাসেবক দমকল বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রাণ বাঁচাচ্ছেন। ৪৮ ঘন্টার প্রতিশ্রুতি শুনে অভ্যস্থ এই আমাদের কাছে ব্যাপারটি অবাক লাগারই মতোন।
রোম যখন পুড়ছিলো সম্রাট নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। আর অস্ট্রেলিয়া যখন পুড়ছে, তখন তার সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছাসেবক দমকল বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রাণ বাঁচাচ্ছেন। ৪৮ ঘন্টার প্রতিশ্রুতি শুনে অভ্যস্থ এই আমাদের কাছে ব্যাপারটি অবাক লাগারই মতোন। নিজের দেশ নিয়ে ক্ষমতাবানেরা এত চিন্তিত হয় কি করে? দেশ পুড়ছে তো পুরুক না। আরাম আয়েশের জীবন ছেড়ে কী দরকার বাপু দাবানলের আগুন নেভাতে যাওয়ার? এই দূর্যোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করুক, ফায়দা লুটুক, ভোটব্যাংক বাড়াক! তা না করে ক্ষমতা থেকে সরে এসে কেউ কি নিজেই আগুন নেভাতে নেমে যায়? এমনও হয়? সত্যি? বোকা কোথাকার!
৬২ বছর বয়সী মানুষটার নাম টনি এবোট। ১৯ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার সংসদে আছেন, দেশটির ২৮তম প্রধানমন্ত্রীও নির্বাচিত হয়েছিলেন। এসব বাদ দিয়ে তিনি এখন পুরোদমে দমকল কর্মী। শুধু যে এই দাবানলেই দমকল বাহিনীর হয়ে কাজ করছেন তা কিন্তু না, গত ২০ বছর ধরে স্বেচ্ছাসেবী কাজে শুধু জড়িতই নয় বরং নেতৃত্বও দিয়ে আসছেন তিনি। তবুও, ৭০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে একজন সাধারণ কর্মী হিসেবেই মনে করেন নিজেকে।
অস্ট্রেলিয়ার রুরাল ফায়ার সার্ভিস বিগ্রেডের পেইজ থেকে তার প্রশংসা করে বলা হয়েছে, ভয়াবহ তাপদাহ সহ্য করে কাজ করে চলেছেন তিনি এবং তার ব্যাটেলিয়ানের কর্মীরা। যা আসলেই প্রশংসার দাবীদার। ক্ষমতার দাপটে এখনকার রাজনীতিবিদেরা কিন্তু ভুলেই যায় জনসেবার কথা। রাজনীতি মানে এখন লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসার কাছে জনগন প্রফিটেবল প্রোডাক্ট ছাড়া আর কিছুই না।
ব্যবসা করেই তো কূল পাওয়ার কথা না একেকজনের। ঘরে ঘরে গিয়ে সেবা দেয়ার সময়টা কোথায় বলুন? হায়রে রাজা, হায়রে তার নীতি! ছেলেবেলার কথাটাই মনে পড়ে যাচ্ছে বারবার, আমাদের দেশে হবে টনি এবোট কবে? কথায় না বড় হয়ে...