আপনি খুব পিছিয়ে নেই, আবার আপনি কারো চেয়ে খুব বেশি এগিয়ে নেই। আপনি আপনার সময়ে আছেন। আর এটাই আপনার টাইমজোন।
নিউইয়র্ক তো ক্যালিফোর্নিয়া থেকে তিন ঘন্টা এগিয়ে। ক্যালিফোর্নিয়াতে যখন ভোর হয়, নিউইয়র্কে তখন সকাল। তার মানে এই নয় ক্যালিফোর্নিয়া স্লো কিংবা নিউইয়র্ক ফাস্ট! তারা তাদের নিজস্ব সময়ে কাজ করছে। কারণ, এটাই তাদের টাইম জোন!
আপনি হয়তো এখনো সিংগেল। জীবনের নানান হিসেবের গরমিলে এখনো মনের মতো মানুষটাকে খুঁজে পাননি। অন্যদিকে আরেকজন বিয়ে করার পর ১০ বছর পরও সুখে নেই। কারণ এখনো সে প্রথম সন্তানের মুখ দেখতে পারেনি। ততদিনে সিংগেল মানুষটার জন্য কেউ একজন হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা বিয়ে করার এক বছরের মাথায়ই ঘর জুড়ে আনন্দ। এক ফুটফুটে বাচ্চা পৃথিবীর আলো দেখলো তাদের হাত ধরে!
২২ বছর বয়সেই কেউ একজন গ্র্যাজুয়েশন শেষ করলো। কী নিয়তি! একটা ভালো চাকুরির জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিলো আরো পাঁচটা বছর। অথচ, অন্যদিকে আরেকজনের ২৭ বছর লাগলো পড়াশুনা শেষ করতে। কিন্তু কী আশ্চর্য, পড়া শেষ করেই দারুণ একটা চাকুরি সে জুটিয়ে ফেললো!
শুনেছি, যে মানুষটা মাত্র ২৫ বছরেই বড় এক কোম্পানির সিইও হয়েছিলেন, তিনি বেঁচেছিলেন মাত্র ৫০ বছর। এর বেশি আর থাকা হলো না এই সুন্দর পৃথিবীতে। আরেকজন আছেন, যিনি সিইও যখন হলেন, তখনই তার বয়স ৫০। মানুষটা কত বছর বেঁচে ছিলেন, জানেন? ৯০টা বছর! বেঁচে থাকাই তো বড় কথা। বেঁচে থাকলে আপনার সময়টা আসবেই। আপনার টাইমজোন আসবেই। অল্পতেই সব কেউ পেয়ে গেলো মানে সে আপনার চেয়ে ভালো আছে এমন তো নয়। আবার আপনি যা চান সেটা পাননি বলে আর কখনো পাবেন না, এমনও নয়!
আপনি আপনার মতোই থাকুন! আপনার মতো করে আপনার গতিতেই কাজটুকু মন দিয়ে করে যান। দেখেন কি হয়! যাদের দেখে আপনি শুধু আফসোস করেন, জেনে রাখুন তারা তাদের টাইমজোনে কাজগুলো করছে। আপনার সাথে না-ই মিলতে পারে! কিংবা আপনি তাদের সাথে তাল না-ই মেলাতে পারেন! আপনি শুধু আপনার টাইমজোনে থাকেন। সময় আসবেই।
আপনার সহকর্মী, খুব কাছের বন্ধু, জুনিয়র, পাশের বাড়ির আন্টির ছেলেটা আপনার চেয়ে খুব এগিয়ে আছে, তাই না? আপনি হয়তো তাদের চেয়ে পিছিয়ে আছেন। এজন্য কি তাদের প্রতি হিংসা হচ্ছে? তাদের সাথে তুলনা করতে যাবেন না। তারা তাদের টাইমজোনে। আপনি আপনারটা। হোল্ড অন! শক্ত হোন, দৃঢ় হোন। শুধু নিজের কাছে সত্য থাকুন। নিজের কাজে ফ্রেশ থাকুন। দেখবেন একটা সময় এই ছোট ছোট কাজ, যাকে এখন কিছুই মনে হয় না, এই ছোট ছোট চেষ্টা- সব কিছুই আপনার জন্য একসাথে কাজ করবে।
আপনি খুব পিছিয়ে নেই, আবার আপনি কারো চেয়ে খুব বেশি এগিয়ে নেই। আপনি আপনার সময়ে আছেন। আর এটাই আপনার টাইমজোন।
আরও পড়ুন-