
বাস ডিপোর টিকেট চেকার থেকে নায়ক হওয়া মানুষটাকে জীবনের সবচেয়ে বড় লড়াইটা লড়তে হয়েছে নিজের ছেলেকে নিয়ে! মাদক, বেআইনী অস্ত্র, মাফিয়া, মামলা- কোন জিনিসটার মোকাবেলা করতে হয়নি তাকে!
ভারত ভাগ হচ্ছে তখন। ইংরেজরা চলে যাচ্ছে দেশ ছেড়ে। র্যাডক্লিফ সাহেব সীমারেখা টেনে দুটো আলাদা দেশে ভাগ করে দিয়েছেন ভারতবর্ষকে। পালাবদলের সেই অস্থির সময়ে সাগরতীরের শহর বোম্বেতে পা রাখলেন বলরাজ দত্ত নামের এক তরুণ। কাজ নিলেন একটা বাস ডিপোর টিকেট কালেক্টর হিসেবে। কাজের সন্ধানে গ্রাম ছেড়ে আসা বছর বিশেকের সেই তরুণ হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি, ভাগ্যের হাতে নিজেকে সঁপে দেয়ার পরিণামটা কি হতে পারে! একটা জীবনে যে তাকে কত ঝড়-ঝাপ্টা মোকাবেলা করতে হবে, সেটা হয়তো তার ধারণাতেও ছিল না।
পড়ালেখার ইচ্ছেটা বরাবরই ছিল নিজের মধ্যে। কাজের ফাঁদে পড়ে সেটা ছাড়ার কোন মানেই হয় না। ভর্তি হলেন কলেজে, সকালে ক্লাস করতেন, দুপুর থেকে চাকরী। কোন বাস হয়টা ট্রিপ মেরেছে, কার বাসের হেডলাইট ভেঙেছে, কার চাকা পাংচার হয়েছে, এসব লিখে রাখতে হতো, হিসেব মেলাতে হতো বসে বসে। কলেজের কালচারাল প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত থাকতেন শুরু থেকেই। কলেজ থিয়েটারে অভিনয়ও করেছেন। ভরাট কণ্ঠস্বর থাকায় উপস্থাপনা, বক্তৃতা বা ধারাভাষ্য দেয়ার ভার পড়তো তার ওপর। এমনই একটা অনুষ্ঠানে ব্যালে ড্যান্সের কমেন্ট্রি দিচ্ছিলেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে রেডিও সিলনের কয়েকজন কর্তাব্যক্তি। বলরাজের কণ্ঠস্বরটা তাদের মনে ধরলো, তাকে প্রস্তাব দেয়া হলো রেডিওতে কাজ করার। বাস ডিপো'র চাকরী ছেড়ে বলরাজ দত্ত চলে এলেন রেডিওতে।
এখানেও সিনেমা নিয়েই কাজ করতে শুরু করলেন তিনি। বোম্বের বড় বড় ফিল্মস্টারদের ইন্টারভিউ নিতেন রেডিওতে। রাজ কাপুর থেকে শুরু করে দিলিপ কুমার, অনেক নায়ক-নায়িকার সাক্ষাৎকার তিনি নিয়েছেন রেডিওতে। সেইসঙ্গে নিজের পরিকল্পনায় একটা অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন, নাম ছিল ফিল্মি খবর। বোম্বের সিনেমা জগতের সবশেষ আপডেট পাওয়া যেত এই অনুষ্ঠানে। একবার বিখ্যাত পরিচালক রমেশ সায়গল এলেন তার অনুষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে। লম্বা-চওড়া বলরাজকে দেখে তার মনে ধরলো ভীষণ, তিনি বললেন, কতদিন আর নায়কদের ইন্টারভিউ নেবে ভাইয়া? এবার নিজে নায়ক হও! বলরাজ বললেন, আপনি আমাকে নায়কের রোল দিলে তো আমার আপত্তি নেই। তবে ছোটখাটো রোল করবো না। পাঞ্জাবের সেই তরুণ রূপালী পর্দায় নাম লিখিয়ে ফেললেন এভাবেই, বলরাজ দত্ত হয়ে গেলেন সুনীল দত্ত।
প্রথম সিনেমার নাম রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম। ১৯৫৭ সালে এলো সুপার ডুপার হিট একটা সিনেমা, ভারতীয় সিনেমা ইতিহাসে কালজয়ী হয়ে আছে সেটা। সিনেমার নাম মাদার ইন্ডিয়া, সেখানে সুনীল দত্ত অভিনয় করেছিলেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী নার্গিসের ছেলে হিসেবে। এই সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়েই দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল, সেই বন্ধুত্ব গড়িয়েছিল প্রণয়ে। ১৯৫৮ সালে গাঁটছাড়া বেঁধেছিলেন দুজনে। সুনীল দত্ত তখন একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে চলেছেন, সাধনা, সুজাতা, মুঝে জিনে দো, খানদান, গুমরাহ, ওয়াক্ত, হামরাজ সিনেমাগুলো পঞ্চাশ আর ষাটের দশকে সুনীল দত্তের দারুণ অভিনয়ের নিদর্শন হয়ে রয়েছে।

নায়ক বা অভিনেতা হিসেবে সুনীল দত্ত কতটা ভালো ছিলেন, কত বড় সুপারস্টার ছিলেন, সেসব আসলে বিবেচ্য বিষয় নয়। সিনেমা নিয়ে তার পুরোটা জীবন কাটেনি, এই মানুষটার জীবনের ক্যানভাস আরও অনেক বেশি বিস্তৃত। জীবন এই মানুষটাকে এতবার ধাক্কা দিয়েছে, এত আঘাত করেছে, কতশত ঝড়-সাইক্লোন-টর্নেডো তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছে বারবার, তিনি হার মানেননি, মাথা নত করেননি একটা বারও। প্রবল বিক্রমে তিনি লড়াই করেছেন সময়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে। একের পর এক তার প্রিয় মানুষগুলো তাকে ছেড়ে চলে গেছেন, পরিবার নিয়ে অজস্রবার বিপদে পড়েছেন, তবুও খড়কুটো আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করেছেন তিনি, সর্বশক্তি দিয়ে তিনি আগলে রেখেছেন ছেলে-মেয়েদের।
১৯৮১ সালে ছেলে সঞ্জয় দত্তকে সিনেমায় নিয়ে এলেন সুনীল দত্ত, তিনি নিজেই পরিচালক। 'রকি' দিয়ে অভিষেক হলো সঞ্জয়ের। সিনেমার কাজ যখন চলছে, স্ত্রী নার্গিস তখন ক্যান্সারে আক্রান্ত। তার শুশ্রুষায় সর্বক্ষণ পাশে থাকতেন তিনি। চিকিৎসার জন্যে স্ত্রীকে আমেরিকায় নিয়ে গিয়েছিলেন সুনীল দত্ত, ছায়ার মতো স্ত্রীর সঙ্গে লেগে থাকতেন মানুষটা। কিন্ত প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালে রকি মুক্তি পাবার তিনদিন আগে অন্যভূবনে পাড়ি জমালেন নার্গিস। স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলার শোক বুকে চেপে রেখেই ছেলের হাত ধরে সিনেমার প্রিমিয়ারে গেলেন সুনীল। জীবনের সাথে তার বহুমূখী লড়াইয়ের শুরু হয়ে গেছে ততদিনে।
সঞ্জয় দত্তের বেড়ে ওঠার সময়টাতে তাকে সেভাবে সময় দিতে পারেননি সুনীল দত্ত, অভিনেতা হিসেবে ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন তিনি তখন। সঞ্জয় যে বাজে সঙ্গে পড়ে নষ্ট হয়ে পড়ছে, মাদকের নেশায় ডুবে গেছে, সেসব অনেক পরে চোখে পড়েছিল তার। স্ত্রীকে হারিয়েছেন ক'দিন আগেই। এরমধ্যে ছেলের এই অবস্থায় দিশেহারা না হয়ে করণীয় ঠিক করে ফেললেন সুনীল দত্ত। সঞ্জয়কে বুঝিয়ে নিয়ে গেলেন আমেরিকায়, ভর্তি করলেন রিহ্যাব সেন্টারে। তবে এটাতেও কম পরিশ্রম করতে হয়নি তাকে। রাতের পর রাত দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম কাটিয়েছেন তিনি।
সঞ্জয়ের মাদকাসক্তির ব্যাপারে বাইরের লোকজনের জানতেও দেরী হলো না। সিনেমার শুটিঙের শিডিউল দিতেন সঞ্জয়, কিন্ত নেশার ঘোরে পড়ে থাকতেন বন্ধুর বাড়িতে বা মদের দোকানে, ফোন করেও পাওয়া যেতো না তাকে। সুনীল দত্ত বাধ্য হয়ে পরিচালকদের বলে দিয়েছিলেন, “আপনারা নিজেদের রিস্কে সঞ্জয়কে সিনেমায় নেবেন। পরে কোন ঝামেলা হলে আমার কাছে আসবেন না প্লিজ!” সঞ্জয়ের বোন প্রিয়া আর নম্রতা কলেজে গেলেই বন্ধুরা ক্ষ্যাপাতো, সঞ্জয়কে নিয়ে আজেবাজে কথা বলতো। ক্ষোভে-কষ্টে-অভিমানে কলেজ বদলে ফেলতে হয়েছিল প্রিয়া দত্তকে। এসব ঝামেলাও সামলাতে হয়েছে সুনীল দত্তকে, তিন ছেলেমেয়ের জন্যে বাবা-মায়ের ডাবল রোল প্লে করাটা চাট্টেখানি কথা নয়!
১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদ ভাঙার ঘটনায় ভারতে শুরু হলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। সুনীল দত্ত তখন রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন, সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাংসদ তিনি। দাঙ্গা শুরু হতেই তিনি ছুটে গেলেন উত্তরপ্রদেশে। সেখানে নির্যাতিত মুসলমানদের পাশে দাঁড়ালেন পরম মমতায়। আতঙ্কে কম্পমান হাজার হাজার মানুষ, তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, তাদের স্বজনদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের পেটে খাবার নেই, কাপড় নেই। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে চাঁদা তুলে তাদের জন্যে খাবার নিয়ে গেলেন সুনীল দত্ত। মুম্বাইতেও তখন দাঙ্গার বিষবাস্প ছড়িয়ে পড়েছে। সুনীল দত্ত ফিরে এলেন মুম্বাইতে। এখানেও তিনি দাঁড়ালেন নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের পাশে। সেটা আবার পছন্দ হলো না উগ্রপন্থী গোষ্ঠিগুলোর। তার বাড়িতে উড়ো ফোনকল আসা শুরু হলো, তার দুই মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হবে, তাকে রাস্তায় গুলি করে মারা হবে, এমন হুমকি দেয়া হতো প্রতিদিন। সুনীল দত্ত পাত্তাই দেননি এসব হুমকিকে। পুরো ভারতই তখন তার পরিবার, আর সেই পরিবারকে রক্ষার জন্যে তিনি তখন নিজের প্রাণের পরোয়া করেননি।
১৯৯৩ সালে তার জীবনে নেমে এলো সবচেয়ে বড় ঝড়। বেআইনী অস্ত্র রাখার দায়ে মুম্বাই ব্লাস্টের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন সঞ্জয় দত্ত। মুম্বাই হামলার সঙ্গে যখন সঞ্জয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে, সঞ্জয় তখন মরিশাসে শুটিং করছেন। সুনীল তাকে ডেকে পাঠালেন দেশে, বাধ্য নাগরিকের মতো তার আসার খবর আর ফ্লাইট নাম্বার জানিয়ে দিলেন পুলিশকে। বিমানবন্দের রানওয়ে থেকেই গ্রেফতার করা হলো সঞ্জয়কে। সুনীল মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন, এই হামলার সঙ্গে তার ছেলের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্ত তাই বলে পুলিশকে সাহায্য করতে একটুও কাঁপেনি তার বুক।
এরপর থেকে কোর্ট-কাছারির সঙ্গে নিত্য বসবাস শুরু হলো সুনীল দত্তের। শুরুর দিকে ছেলেকে দেখতে প্রতিদিন থানা হাজতে যেতেন সুনীল দত্ত। সঙ্গে নিয়ে যেতেন বাড়ির খাবার। সঞ্জয়কে বের করে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছিলেন তিনি, কিন্ত টেরোরিজমের মামলা হওয়ায় সম্ভব হচ্ছিল না সেটা। পরিচিত মানুষগুলোও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, নিজের পার্টির নেতারাও সাহায্য করতে অপারগতা জানিয়েছিলেন। লড়াইটা একাই লড়ছিলেন সুনীল দত্ত। সেবার নির্বাচনেও দাঁড়াননি তিনি, যাতে তার ছেলের এই ঘটনায় দলের ওপর বাজে কোন প্রভাব না পড়ে। মামলার খরচ চালানোর জন্যে মুম্বাইয়ের বাড়িও বিক্রি করতে হয়েছিল তাকে!
বাকীটা জীবন সঞ্জয়ের এই মামলা নিয়েই চলতে হয়েছে সুনীল দত্তকে। ভয় ছিল, কখন না আবার জেলে ঢুকিয়ে দেয়া হয় ছেলেকে। অভিনয় থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছিলেন সুনীল দত্ত, 'মুন্নাভাই এমবিবিএস' দিয়ে তাকে আবার পর্দায় ফিরিয়েছিলেন রাজকুমার হিরানী। জীবনের শেষ সিনেমায় ছেলের সঙ্গে স্ক্রীন শেয়ার করেছিলেন তিনি, সেই ছেলে, যার জীবনটা তিনি নিজের হাতে গড়ে দিয়েছেন। সেই ছেলে, মধ্যবয়সে পড়ার পরেও যাকে তিনি আগলে রেখেছেন শিশুর মতো, ভালো-মন্দ চিনিয়েছেন, সত্য আর মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যটা হাতে ধরে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন বারবার।

সঞ্জয় দত্ত কিন্ত অকপটে স্বীকার করেন, নিজের জীবনে বাবার অসীম অবদানের কথা। সঞ্জয় বলছিলেন- “সব ছেলেরাই বলে, তার বাবা হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা। আমার সেটা বলার দরকার হয় না। আমি আজ যে জায়গাটায় আছি, এই যে কথা বলছি, সিনেমা করছি, বাচ্চাদের কোলে নিচ্ছি, সবটাই আমার বাবার জন্যে। জানেন, আমি যা করেছি, অন্য কেউ হলে আমাকে নিজের সন্তান বলেই পরিচয় দিতো না হয়তো। আমি জীবনেও ভাবিনি, আমাকে নিয়ে কখনও আমার বাবা গর্ব করতে পারেন। একটা মাদকসেবীকে নিয়ে কি কোন বাবা গর্ব করতে পারে বলুন? অথচ ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ ব্লকবাস্টার হবার পরে বাবা আমার কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন- 'আই অ্যাম প্রাউড অফ ইউ মাই সান!' আমার তখন মনে হয়েছিল, জীবনের কাছে আমার আর কিছু চাওয়ার নেই, আর কিছুই পাওয়ার নেই। সবকিছু আমি পেয়ে গেছি!”
জীবনের প্রতিটা মোড়ে তাকে বিপাকে পড়তে হয়েছে, নিয়তির নির্মম পরিহাসের বিরুদ্ধে বারবার লড়তে হয়েছে। তবুও নিয়তির প্রতি, জীবনের প্রতি একটু অভিযোগ ছিল না সুনীল দত্তের। তার ভাষায়- "হয়তো আমার ভাগ্যই এটা ছিল যে, আমাকে প্রতিটা মূহুর্তে লড়াই করতে হবে, আমার স্ত্রী খুব দ্রুতই আমাকে ছেড়ে চলে যাবে, আমার ছেলের জেল হবে... আমি কি করতে পারি বলুন? এসবের ওপর তো কোন হাত নেই কারো। আমি সবকিছুই মেনে নিয়েছি। সবার জীবন তো একরকম হবে না। আমার জীবনটা এরকম হয়েছে কেন, এটা ভেবে আমার কোন আক্ষেপ নেই।"
ফিল্মফেয়ারে দু'বার সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন, ১৯৯৫ সালে পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা। ভারতীয় সরকার তাকে প্রদান করেছে পদ্মশ্রী। মানুষের ভোটে পাঁঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন সাংসদ। তবুও এসব ছাপিয়ে সুনীল দত্ত বিখ্যাত হয়ে থাকবেন একজন বাবা হিসেবে, ভীষণ ভালো একজন মানুষ হিসেবে, হার না মানা একজন যোদ্ধা হিসেবে। ২০০৫ সালের ২৫শে মে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাসভবনে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছিল তার। পরের বছরই সঞ্জয় দত্তকে বেআইনী অস্ত্র রাখার দায়ে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। কিন্ত যে ব্যাপারটা নিয়ে সুনীল দত্ত লড়াই করে এসেছিলেন এতগুলো বছর, সেই লড়াইটাতে জয় হয়েছিল তার। সঞ্জয় জঙ্গীবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলেই রায়ে উল্লেখ করেছিল ভারতীয় হাইকোর্ট। কিন্ত সেটা সুনীল দত্ত দেখে যেতে পারেননি।