মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ব্যারিস্টার সুমনের এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আছে আপনার কাছে?
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
ব্যারিস্টার সুমন- ফেসবুকের সুবাদে অজস্র মানুষ চেনেন তাকে। জানেন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে। করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে দারুণ একটি বক্তব্য দিয়েছেন। এগিয়ে চলোর পাঠকদের জন্য সেটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
আমি আবারও পদত্যাগ করতে চাই। একটাই মাত্র চাকরি ছিল। আমি ছিলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর। আপনারা জানেন এখান থেকেও পদত্যাগ করেছি। এখন আর কোনো চাকরিই নাই যে পদত্যাগ করব, তারপরও পদত্যাগ করতে চাই। তারপরও মানুষকে বলতে চাই যে, ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করতে হয়। পৃথিবী থেকে বের হয়ে যাওয়ার ভয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছি না পাঁচ দিন ধরে। দু’চার কথা তাও বলতে চাই। করোনার এ ক্রাইসিস মোমেন্টে কথা বলতে চাই আমাদের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যাপারে।
আপনাদের মনে আছে, গত বছর দেশে ডেঙ্গু মহামারী আকারে ধারণ করেছিল, তখন এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরিবার নিয়ে গিয়েছিলেন বিদেশ সফরে। থাইল্যান্ড নাকি সিঙ্গাপুর মনে নেই। উনি পরে জনমানুষের চাপে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। উনি সেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী যিনি করোনা আসার পরে আড়াই মাস সময় পেয়েছেন, তাও কোনো প্রিপারেশন নিতে পারেন নাই। উনি সেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, গত সপ্তাহে উনি করোনার ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে নিজে পেছনে ৩৭ জন মানুষকে নিয়ে সচেতন করতে গেছেন। মানে করোনার ব্যাপারে কমনসেন্স ব্যাপারটাই উনার নাই।
করোনা মোকাবিলায় যে যুদ্ধ, তাতে আমরা জজ ব্যারিস্টাররা কিন্তু সৈনিক না। এটার বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করছেন তারা হলেন; ডাক্তার, নার্স, ম্যাজিস্ট্রেট, ইউএনওসহ যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। তাদের বক্তব্য হলো তাদের প্রযোজনীয় প্রটেক্টিভ সরঞ্জাম পাচ্ছেন না। আমার কথা হলো সৈনিকদের যদি অস্ত্র দিতে না পারেন, যুদ্ধ করবে কে? তারপরও কথা হলো ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করা লাগবে না। এই দেশে কোনোভাবে যদি একটা চাকরী পেতে পারেন, যত রকম বেইজ্জতি হন, চাকরী পদত্যাগ করা লাগবে না।
সারা বিশ্ব যখন লাশ গণনায় ব্যস্ত; আমাদের নির্বাচন কমিশন তখন ভোট গণনায় ব্যস্ত। সাদুল্যাপুরে যে করোনাক্রান্তের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে দুজন প্রবাসী ভোট দিয়েছেন। এই ভোট দেওয়ার কারণে আরো ছড়ানোর আশংকা রয়েছে। তারপরও নির্বাচন কমিশনের কোনো দোষ নাই। উনারা মনে করেন, কনস্টিটিউশনাল কস্টে আছেন।
যে জায়গায় গেছেন, উনারা রীতিমতো আল্লাহর কাছে চলে গেছেন। উনাদের আরে কোনো বদনাম সমালোচনা করা যাবে না। রিজাইন তো প্রশ্নই আসে না। যারা ইউএনও, ডাক্তার, ম্যাজিস্টেট তাদের প্রটেক্টিভের ব্যবস্থা করেন। যারা মন্ত্রীরা আছেন আবল-তাবল কথা বলতেছেন; আপনারা তো চলে যাবে, পালাবেন। পুরো দোষ দিবেন নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর।
আমি আমার নেত্রী শেখ হাসিনাকে বলছি, এইসব জিনিস দিয়ে চাষাবাদ হবে না। এখনো সময় আছে এদেরকে বদলি করেন। আপনার কাছে আরো কোয়ালিফায়েড বিকল্প আছে। যোগ্যতাসম্পন্ন লোকদের দায়িত্ব দেন। দুৎসময়ে তাদেরকে দায়িত্ব দেন। যেদশটা অন্তত যেখানেই হোক ধ্বংস্তুপ থেকে বের হয়ে আসতে পারবো।
একটা কথা বলতে চাই। মনে রাখবেন, এটা আমার কথা না; এটা ইতিহাসের কথা। ছাগল দিয়ে কখনো হাল চাষ হয় না। এজন্য ছাগল বাদ দিয়ে প্রকৃত জিনিস আনেন হাল চাষের জন্য।