
এখানে হাদিস ও কুরআনের আলোকে ধর্ষণকে তুলে ধরলাম। যদি পারেন, এই পোস্টে ধর্ষকের সমর্থনে ফালতু কমেন্ট করার আগে দয়া করে নিজেরাও হাদিস কুরআন পড়ে আসবেন।
কিছুদিন আগে রেপ নিয়ে কিছু একটা পোস্ট করেছিলাম। এক মহিলা ইনিয়ে বিনিয়ে লিখলেন, "ভিক্টিমদের প্রতি পুরোটা সিম্প্যাথি রেখেই বলছি, তাঁদের উচিৎ ছিল নিজেদের প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করা।" অনেকে লিখলেন, "দেশে ইসলামী শাসন কায়েম না হওয়া পর্যন্ত রেপ বন্ধ হবেনা।" আরও অনেকেই লিখলেন, "ইসলামী পোশাক না পড়ার কারণেই মেয়েদের ধর্ষণ হয়।" কথাগুলো যে ইনিয়ে বিনিয়ে ধর্ষণকেই সমর্থন করা, এই মিনিমাম বোধশক্তিও এদের আছে কিনা সন্দেহ। এখন আমি একটি সহীহ হাদিস বলি, সুনানে আবু দাউদে আছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস, মন দিয়ে পড়ুন। কেবল এই হাদিসের উপর ভিত্তি করে আমাদের অনেক আইন প্রতিষ্ঠিত।
"মদিনায় এক ভদ্রমহিলা মসজিদে নামাজের জন্য আসার পথে এক লোক তাঁর উপর চড়াও হয়, এবং তাঁকে ধর্ষণ করে। লোকটি নিজের কুকর্ম শেষে পালিয়ে যায়। মহিলা এরপরে উপস্থিত লোকজনকে বলেন যে একটি লোক আমার সাথে এই ঐ কাজ করেছে। তাঁরা একজন লোককে সন্দেহ করে, ধরে নিয়ে আসে, মহিলা সাথে সাথে লোকটিকে শনাক্ত করে বলেন, "হ্যাঁ, এটিই সেই লোক।"
লোকটিকে নবীর দরবারে হাজির করা হয়। লোকটিকে জিজ্ঞেস করা হলে লোকটি নিজের দোষ অস্বীকার করে। এদিকে মহিলা নিজের বক্তব্যে অনড়। জটিল পরিস্থিতি। এমন সময়ে এক লোক এগিয়ে এসে বলেন, "কাজটি আমি করেছি। ঐ লোকটি নির্দোষ। আমায় শাস্তি দিন।" আল্লাহর রাসূল (সঃ) তখন মহিলাকে বললেন, "তুমি যেতে পার।" যে লোকটিকে ধরে এনে ভুল মোকদ্দমা চালানো হচ্ছিল, সেই লোকটিকেও যেতে বলা হলো। এর আগে ভাল ভাল কথা বলে তাঁর মন ভাল করতে ভুললো না কেউই। এবং যে অপরাধী, তাঁকে পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করার হুকুম দিলেন। একই সাথে বলে দিলেন, লোকটি নিজের কুকর্মে এতটাই অনুতপ্ত যে যদি সে পুরো মদিনাবাসীর জন্যও আল্লাহর দরবারে তওবা করতো, তাহলেও আল্লাহ পুরো শহরকে মাফ করে দিতেন।" (রেফারেন্স: Abu Dawud Book 33. Prescribed Punishments, Hadith Number 4366.)
এখন আমার স্বভাব অনুযায়ী হাদীসটির বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যাচ্ছি। তাহলেই উপরে লোকে যে আবর্জনা মন্তব্য প্রসব করেছে, করছে, এবং ভবিষ্যতেও করবে, এবং তারচেয়েও বড় আবর্জনা মস্তিষ্কে ধারণ করে, সবগুলোর জবাব দেয়া হয়ে যাবে।
ঘটনা কোথায় ঘটেছে খেয়াল করুন। নবীর (সঃ) মদিনায়। পৃথিবীতে যদি পারফেক্ট ইসলামী শাসন ব্যবস্থায় পরিচালিত রাষ্ট্র কখনও হয়ে থাকে, তবে সেটি ছিল মদিনা। শাসন ব্যবস্থায় রাসূলাল্লাহ (সঃ) স্বয়ং, তাঁর সাহায্যকারী আবু বকর, উমার, উসমান, আলী, তালহা, জুবায়ের, যাইদ.....যে কারোর নাম নিন, সবাই এখানে উপস্থিত। সাহাবীতে গিজগিজ করছে আস্ত শহর। আর নির্দেশ আসে সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে। এরপরেও যদি কেউ মিন মিন করেন যে মদিনা "সহীহ" ইসলামী রাষ্ট্র ছিল না, তাহলে অবশ্য ভিন্ন কথা। ঘটনা কীভাবে ঘটেছে? মহিলা "একা" ফজরের নামাজের জন্য বেরিয়েছিলেন। ভদ্রমহিলা নিজেও একজন সাহাবী। তাঁর "ইসলামিক পোশাক" সহীহ ছিল কি ছিল না, সঙ্গে মাহরাম ছিল কি ছিল না, সেসব যদি বাঙ্গাল মুলুকের কেউ ধরিয়ে দিতে আসেন, তাহলেও ভিন্ন কথা।

ভদ্রমহিলাকে রেপ করে পালিয়ে যাবার পরে ভদ্রমহিলা সরাসরিই লোকজনকে ডেকে এনে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কথা সরাসরিই খুলে বলেন। কোন লুকাছুপা নেই। কেন হবেন? তাঁর সাথে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তিনি ভিকটিম। তিনি কেন সমাজ থেকে মুখ লুকাবেন? হোক না তাঁর সাথে অন্যায় করা লোকটা সমাজপতি, ভদ্রচেহারার কোন মুখোশধারী, তাঁর প্রতি অন্যায় করার অধিকার কারোর নেই। আমাদের দেশে কোন ভিকটিম মুখ ফুটে বলবে কি, সমাজ উল্টা তাঁকেই দোষী বাতলে সমাজচ্যুত ঘোষণা করে। রেপিস্টরা আমাদের দেশে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
সাহাবীদের যাকে সন্দেহ হয়েছিল, তাঁকে ধরে আনা হয়। মহিলাও ওকেই শনাক্ত করেন। পরে যেটা ভুল প্রমাণিত হয়। হিউম্যান জাজমেন্ট, ভুল হতেই পারে। মহিলা তখন ট্রমায় ছিলেন। সাহাবীদের কোন গায়েবি ক্ষমতা ছিল না। ঘটনার সময়টা আধো আলো, বেশিরভাগই অন্ধকার ছিল।
নবী (সঃ) কিন্তু সাথে সাথে লোকটিকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেননি। তিনি নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন, আসলেই লোকটি দোষী কিনা। আমাদের দেশে কেউ একজনকে "দোষী" বললেই সে দোষী নাকি নির্দোষ তা নিয়ে ফেসবুকে বিচার বসে যায়। আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করার ধৈর্য্য কারোর নেই। এই যুগে রেপ ভিকটিম শনাক্ত করা ওয়ান টুর ব্যাপার। ডিএনএ, ভ্যাজাইনাল ইনজুরি, রেপ কিট, ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকায় আদালতের পক্ষে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো খুবই সহজ। তারপরেও ভুল হয়। কিন্তু সেটা এক্সেপশন। যে কারণে, কোন মেয়ে বলা মাত্রই কাউকে ধরে নিয়ে পুলিশি ডলা শুরু করে দেয়া কোন কাজের কথা না। অনেক মেয়েই নিজের স্বামীকে, শ্বশুরবাড়িকে ফাঁসানোর জন্য এমন গল্প ফাঁদে। আমার নিজের পরিবারেই এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল বলে ভালভাবে জানি। ছাগীটা বুঝে নাই যে বিদেশী পুলিশের মাথা তার মতন ফাঁকা না। তাই ছেলেটা রক্ষা পেয়েছিল। শুনেছি দেশে এমন ঘটনা ঘটলে আর দেখতে হতো না। পুলিশ, মিডিয়া ইত্যাদি একেবারে হুলুস্থূল ঘটনা ঘটিয়ে দিত। দেশ থেকে নতুন আসা মেয়েটার উদ্দেশ্য ওটাই ছিল।
বিচার চলাকালে একবারও ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞেস করা হয়নি, "তুমি কী পোশাকে ছিলে?" "তোমার পর্দা সহীহ ছিল?" "তুমি কেন নিজের সাথে বডিগার্ড রাখলে না?" উল্টো বলা হলো, "তুমি যেতে পারো। তোমাকে আল্লাহ মাফ করেছেন।" যে মহিলার ভুল বয়ানে একজন নির্দোষের মৃত্যু হতে চলেছিল, সেই মহিলাকে অপরাধবোধে ভোগা থেকে রক্ষা করা হয়েছে। এবং যে লোকটিকে শাস্তি দেয়া হলো, তিনি একজন সাহাবী। একজন সাহাবীর মর্যাদা লাখে লাখে, কোটি কোটি সাধারণ অসাধারন মুমিন, আলেম মুসলিমের চেয়ে বেশি। সেই লোকটিকে নবী (সঃ), যিনি কিনা রাহমাতাল্লিল আলামিন, দয়ার সাগর, তিনিই পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড দিলেন। আমাদের দেশে আল্লাদি শুরু হয়ে যায়। "নাহয় একটু অপরাধ করেছে, ভুল করে ফেলেছে, মাফ করে দেন।" "একজন মুসলিম হিসেবে মুসলিমের দোষ ঢাকতে হবে, নাহলে কাফির/নাস্তিকরা হাসাহাসি করবে।"- এরা নবীর চেয়ে বেশি বুঝে, এরা নবীর চেয়ে বড় মুসলমান ভাবে নিজেদের। কিছু বলার নাই। এবং, একজন অপরাধীর সাজা হবার পরে, সুশীল সমাজ যাতে তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ত্যাক্ত বিরক্ত না করে, সেজন্য শেষের উক্তিটি প্রযোজ্য। "লোকটি এতটাই অনুতপ্ত যে সে যদি পুরো মদীনাবাসীর জন্য মাফ চাইতো.....।"

এছাড়াও বনু কায়নুকাহর ঘটনাতো সবাই জানেই। যেখানে এক মুসলিম নারীকে ইহুদি বাজারে শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয়েছিল। পুরো বাজারের মধ্যে সবার সামনে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয়। এ ঘটনার জেরেই বনু কায়নুকাহকে মদিনা থেকে বিতাড়িত করা হয়। সেই ঘটনায়ও নবী (সঃ) বা তাঁর সাহাবীদের কেউই সেই মুসলিম নারীকে একবারের জন্যও প্রশ্ন করেননি তিনি কেন একা বাজারে গেলেন। কেমন ছিল তাঁর পোশাক। কেন তিনি কোন মাহরাম সাথে নেননি। কেন কেন কেন ইত্যাদি। আমাদের বাঙালি ফেসবুকীয় জনতা আমাদের নবী এবং সাহাবীদের চেয়ে বেশি বুঝে কিনা, তাই এইসব প্রশ্ন তারা করে উল্টা ভিকটিমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে আসামি ঘোষণা করে দেন। ব্যাপার না।
কিছুদিন আগে এক ভাই আমাকে বললো, "ভাই, ইসলামে নাকি রেপের কোন শাস্তি নাই?" আমি কথাটি শুনে অবাক হয়ে বললাম, "মানে?" "হ্যাঁ ভাইয়া। একটা লেখায় পড়লাম, রেপকে নাকি ইসলামে "ফোর্সড জেনাহ" বলে। ভিকটিমকেও শাস্তি দেয়া হয়, যেহেতু সে নিজেও এতে লিপ্ত ছিল। আর যদি চার সাক্ষী হাজির করতে না পারে....." ইত্যাদি ইত্যাদি এমন সব হাস্যকর এবং আজগুবি কথা শোনালো যে এমন কথা শুনে হাসলাম অনেকক্ষন। ফেসবুক আসার পরে এই এক সমস্যা হয়েছে যে, যে যা খুশি তাই লিখে ফেলছে। ইসলামের কোন জ্ঞান নেই, অমুক তমুকের বই পড়ে সেটাকেই ইসলাম ঘোষণা করে এমন আর্টিকেল লিখে লোকজনকে এর বিরুদ্ধে উস্কে দেয়ার হাস্যকর চেষ্টা। হিন্দিতে এমন লেখা পড়ে লোকজন বলে, "মাতলাব, কুছ ভি???" যদিও এমন লেখক লেখিকার এমন আজগুবি লেখা পড়ে নাদান কিছু বান্দাও তখন নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করে ইসলামের দিকে ঠিকই আঙ্গুল ছুড়ে দিচ্ছে।
একটা কমন সেন্স থাকলে লোকে বুঝতো, যদি ইসলামে রেপের কোন শাস্তি না থাকতো, তাহলে দেড় বিলিয়ন মুসলিমের কমসে কম আধা বিলিয়ন পুরুষতো অবশ্যই রেপ করতোই। ইসলামী রাষ্ট্রগুলো ছেয়ে যেত এমন "ফোর্সড জেনার" ঘটনায়। গাধা গর্ধবের মাথাতেওতো এমন সহজ লজিক খেলা করে। ওরা কী খেয়ে এইসব লিখে? এবং লোকেও কী খেয়ে এমন অখাদ্য হজম করে?
যাই হোক, রেপের ব্যাপারে উপরের হাদীসটি বর্ণনা করলাম। নবীর জীবদ্দশায় ঐ একটাই রেপের ঘটনা রেকর্ড হয়েছিল। এরপরে উমারের (রাঃ) শাসনামলে আরেকটি হয়। সেখানেও শাস্তি দেয়া হয় অপরাধীকে, ভিকটিমকে নয়। এইবারে কুরআনের একটি বিখ্যাত আয়াত তুলে ধরি, যা "the hirabah verse" নামে সুপরিচিত। পড়েন, ভয়ে কলিজা শুকিয়ে না গেলে আপনি মুসলিমই না।
সূরা আল মায়েদাহ, ৩৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, "যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে,
(১) তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা
(২) শূলীতে চড়ানো হবে (ক্রুশবিদ্ধ) অথবা
(৩) তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা
(৪) দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।"

এখানে আরবি "হার্ব" শব্দটি এসেছে "হেরাবা" থেকে, মানে, এমন কোন অপরাধ, যা "নিরীহ জনগোষ্ঠীতে আতংক সৃষ্টি করে।" মানে, ডাকাতি, হত্যা, ধর্ষণ, বোমাবাজি ইত্যাদি সবই এর আওতায় পড়ে। যা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ও দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করাকে বুঝায়।
এক নম্বর পয়েন্ট বুঝতে সমস্যা হবার কথা না। হত্যা করা হবে। যেটা নবী (সঃ) দিয়েছেন। দ্বিতীয় পয়েন্টটা খেয়াল করেছেন? আল্লাহ স্বয়ং বলছেন, ক্রুশবিদ্ধ করতে! বিশ্বাস হয়? যিনি স্বয়ং আর রাহমানির রাহিম। যিনি পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু, তিনিই কিনা বলছেন ক্রুসিফাই করতে!
৩ নম্বর শাস্তি দেখুন, ডান হাত ও বাম পা, বা বাম হাত ও ডান পা কেটে ফেলতে বলা হচ্ছে। দুইটা শাস্তিই কতটা ভয়ংকর! লোকজন দেখুক এমন অপরাধের শাস্তি কতটা কঠোর হতে পারে। লোকজন সেই অপরাধ ফ্যান্টাসাইজ করতেও যেন আতঙ্কে আধমরা হয়ে যায়। কেউ কেউ বলবেন, "এইভাবে শাস্তিতো বর্বরতা।"
যে এমন আলগা প্রেম দেখাতে আসে, সে নিজে রেপ ভিকটিম না। যে ভিকটিম, তাকে জিজ্ঞেস করা যাক যে লোকটি তাঁর সাথে এমন কুকান্ড করেছে, সে কেমন শাস্তি ডিজার্ভ করে? যার তিন মাসের মেয়ে রেপড হয়, সে কখনও এমন আল্লাদি দেখালে সেটা বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে।
আর দেশ থেকে বহিষ্কারের শাস্তিও কোন সুখের শাস্তি না। সিটিজেনশিপ তুলে নেয়া। মানে আপনি আর কোন দেশের নাগরিক থাকতে পারবেন না। কোন দেশ দয়া পরবশ হয়ে আপনাকে স্থান দিলে, আপনি স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারবেন। কিন্তু সাধারণত কোন কনভিক্টেড রেপিস্টকে কোন দেশ জামাই আদর করে নিজ থেকে স্থান দিতে আগ্রহী নয়। এই অবস্থায় সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে, টুটা ফুটা চাকরি করে, পরিবার পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনরকমে বেঁচে থাকতে হয়। রাস্তার লাওয়ারিস পশুর সাথে এই মানুষটির কোনই পার্থক্য থাকেনা। এরচেয়ে শাস্তি হিসেবে মৃত্যু অনেক সহজ।
এখন উপরে হাদিস ও কুরআনের আলোকে ধর্ষণকে তুলে ধরলাম। যদি পারেন, আমার পোস্টে ধর্ষকের সমর্থনে ফালতু কমেন্ট করার আগে দয়া করে নিজেরাও হাদিস কুরআন পড়ে আসবেন। খুবই বিরক্ত হই যখন লোকজন দুই চার পাতা কুরআনের বিদ্যা না নিয়েও ফেসবুকে আলেমগিরি ফলাতে আসে। এদের কারণেই লোকে ইসলাম নিয়ে উল্টাপাল্টা ধারণা পায়। এদের কারণেই লোকজন লেখার ধৃষ্ঠতা দেখায় যে "ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি নেই। একে ফোর্সড জেনাহ বলে।"