রেলের ক্ষেত্রে টিকিট ক্যান্সেল এবং রিফান্ডের জন্য আপনাকে যেতে হয় কাউন্টারে, হয়ত দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে। কিন্তু সে সময় শেষ হয়ে আসলো বলে, আধুনিকায়নের কোনো বিকল্প নেই। মান্ধাতা আমলের চিন্তা ভাবনার জড়তা ভাঙতেই হবে।
মাহবুব কবির মিলন: রেলে অনলাইনে টিকিট করলে তা ক্যান্সেল এবং রিফান্ডের জন্য যেতে হয় কাউন্টারে। টিকিট করলেন ঘরে বা অফিসে বসে, রিফান্ডের জন্য যেতে হবে কাউন্টারে। আপনি ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে টিকিট করলেন, রিফান্ডের টাকা কয়েকদিন পর অটোমেটিক জমা হবে আপনার কার্ডের একাউন্টে। জগতভরা এখন এটাই নিয়ম। আমাদের দেশে সরকারি-বেসরকারি সব বিমান কোম্পানিগুলো রিফান্ড দেয় অনলাইনে।
রেলের ক্ষেত্রে যেতে হবে আপনাকে কাউন্টারে, হয়ত দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে। আমাদের অনেক বাস সার্ভিস এখন টিকিট এবং রিফান্ড অনলাইনে করে ফেলেছে। তারমানে অনলাইনে রিফান্ড কোন রকেট সায়েন্স নয় বা শনি কিংবা নেপচুন গ্রহে মানুষ পাঠানোর মতো শক্ত কিছু নয়। বাংলাদেশ বিমানের একাউন্টস শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে বিশদ কথা বলে পুরো প্রক্রিয়া জেনে নিলাম। চাইলে তাঁরা এসে রেলের একাউন্টসে বিষয়টি পরিস্কার করে দিয়ে যেতে পারবেন।
পূর্ব এফএ এন্ড সিএও মহোদয়ের সাথে কথা বলে তাঁদের একাউন্টস শাখাকে এ বিষয়ে মানসিক প্রস্তুতি রাখার জন্য অনুরোধ জানালাম। তিনি সব সাহায্য করবেন বলে জানালেন। বাকি কাজ বর্তমান সিএনএসবিডি'র। কোন সমস্যা হবে না সেখানে।
অফিস খুললেই রেলে অনলাইন রিফান্ডের কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। আধুনিকায়নের কোন বিকল্প নেই। মান্ধাতা আমলের চিন্তা ভাবনার জড়তা ভাঙতেই হবে।