রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি- তুমুল জনপ্রিয় এক থ্রিলার সমাচার!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট

গল্পের রোমাঞ্চ ছিলো অসাধারণ। অচেনা কাহিনী অথচ তারপর আবার কী ঘটবে আন্দাজ করাও ছিল কঠিন। চমৎকার ঘোরের পর স্মার্ট একটা এন্ডিং: 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি' উপন্যাসটা আপনাকে ভাবাবে, ক্ষুধা রেখে দেবে, তৈরি করবে আলাপ আলোচনার ক্ষেত্র...
৩'রা শ্রাবন। সম্ভবত তখন ১৭টা বেজে আরও কিছুক্ষণ। বিকেল পেরিয়ে সন্ধা নামার ঠিক আগ মুহুর্ত। আমার হাতে মগ। গরম কফির চুমুকে আলতো করে বিকেলটা ছুঁয়ে দেওয়ার মিছামিছি চেষ্টা চলছিল। করোনাবন্দী বোরিং সময়টা কাটাতে একটা নতুন কাজে মনোনিবেশ করার ভাবনা মগজে আটছিলাম। সংগ্রহে রাখা বইগুলোয় একটু চোখ বোলাতেই মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের লেখা 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি'র দিকে নজর চলে গেল। আমি তার বড় ভক্ত, অনেক আগে থেকেই। সেদিন এই বইয়ে চোখ পড়তেই মনে পড়ল ক'দিন আগেই শুনেছিলাম- এ উপন্যাস নিয়ে হইচই'র মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ওয়েব সিরিজ বানাবে।
এই ওয়েবের ঘোষনা শুনে আমি একটু নড়েচড়ে বসেছিলাম সেদিন ২২শে আষাঢ়। একটু অবাকই হচ্ছিলাম বটে কারণ হইচই এই উপন্যাস নিয়ে দীর্ঘতম ভিডিও ফিকশন বানাবে তাও আবার ডিরেকশনের দায়িত্বে থাকবেন গুণী পরিচালক সৃজিত মুখার্জী। এতে বাঘা বাঘা সব অভিনয়শিল্পী অভিনয়ের জন্য হুমড়ি খেয়ে বসে আছে বলেও শুনেছি। আমি সৃজিতের ডিরেকশনের বড়সড় লেভেলের ভক্ত সবসময়।
অভিনয়ে মুশকান জুবেরী চরিত্রে জয়া আহসানকে প্রস্তাব দেওয়া হলেও সম্ভবত শিডিউল ফাঁকা না থাকায় তিনি না করে দেন। এই চরিত্রটিতে অভিনয় করবেন 'স্বপ্নজাল' ও 'প্রীতি' করা অভিনেত্রী পরীমনি। নুরে ছফা চরিত্রে ফিল্ম নিয়ে স্টাডি করা ডেডিকেটেড হাই লেভেল খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা অনির্বাণ চ্যাটার্জী। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে সঙ্গ দিবেন খ্যাতিমান বাংলাদেশি গুণী অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী এবং মোশাররফ করিম।
পাঠকপ্রিয় নেমেসিস, কন্টাক্ট, করাচি, কনফেশন পড়লেও ঠিক এর মতোই মৌলিক থ্রিলার গল্পলেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের ২০১৫'র বইমেলায় প্রকাশ পাওয়া 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি' নিয়ে বিজ্ঞজনদের মতামত শুনলেও কোন এক ব্যস্ততায় এ বই পড়ে শেষ করা হয়ে ওঠেনি আমার। হয়ত আলসেমি থেকেই। বইটা আমার সংগ্রহেও আছে সেই অনেক বছর হল। তো সেদিন ঘোষনা শুনেই মনস্থির করালাম কী আছে এই বইয়ে সে রহস্য আমার উদঘাটন করতেই হবে। সেই মনস্থিরের জের ধরেই শুরু করা মূলত। এরপর তো ক'পৃষ্টা পড়েই থ'বনে গেলাম একদম!

মূল বিষয়ে আসি এখন! আমরা মূলত খাই কেন?
- ১। ক্ষুধা নিবারণের জন্য।
- ২। আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও দেহের যাবতীয় কার্যক্রম সঠিকভাবে চলাচলের জন্য।
- ৩। বেঁচে থাকার জন্য।
কিন্তু সেই খাবার কি আদৌ খাবারের তালিকায় পড়ে, নাকি শুধুই উদর ভরার তালিকায় পড়ে! কিছু চটজলদি খাবার শুধু “এই 'তিন”র জন্য। মন ভরল কি ভরল'না তা না ভেবেই আমরা নির্দিধায় গিলে যাই। কখনো বাজে রান্না আর বাজে স্বাদের খাবার জিভকে ভারি করে তোলে, জিভের সমস্ত সুক্ষ্মতাকে ধ্বংস করে দেয়। অবশ্য যারা খাবারকে পেট ভরার জিনিস মনে করে তাদের কথা আলাদা। পল্লীকবি জসিমউদ্দীন সাহেব খেতে পছন্দ করতেন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম খেতে পছন্দ করতেন। দেশ সেরা আকাশচুম্বী জনপ্রিয় গুণী অভিনয়শিল্পী হুমায়ূন ফরীদি খেতে পছন্দ করতেন। মূলত তাদের কেউ'ই পেটুক ছিলেন না বরং ভোজন রসিক ছিলেন। আজ সেই খাবাররের জের ধরেই আপনাদের একগাল টানটান থ্রিলার বলব।
সারাংশ, অতঃপর স্পয়লার:
“ঝড় উঠেছে তপ্ত হাওয়ায় হাওয়ায়
মনকে সুদূর শূন্যে ধাওয়ায়
অবগুণ্ঠন যায় যে উড়ে
চক্ষে আমার তৃষ্ণা...”
রবীন্দ্রসংগীত গাইতে পারেন না অনেকেই তবে রবীন্দ্র সংগীত পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছে। রবীন্দ্রনাথ নামটা শুনলে কিংবা তাকে কোনভাবে দেখলেই আমি আলাদা একটা স্বস্তি পাই সবসময়। সেটা কোন রেস্তোরাঁয় ভুলে লেখা থাকুক আর আর কারও দেয়ালে টানানো থাকুক।
ছবির মতোই সুন্দর মফস্বল শহর সুন্দরপুর। প্রকৃতির শোভা ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছু নেই বললেই চলে। কিন্তু 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি' সুন্দরপুরের একটি রেস্টুরেন্ট আছে। গ্রামীন পরিবেশে অদ্ভুত এ নামের পেটপুজার আশ্রয়স্থল। অনেকে দূর দূরান্ত থেকে এখানে খেতে আসেন এবং একবার খেলে আবার তাকে আসতেই হবে এমন যেন জাদুর মেশিন পেতে বসেছেন তারা। না চাইতেই দেয়া হয় নতুন সব আইটেম। দামও বেশি রাখেন না। আমি যেমন ভেবেছিলাম যে, এই বই নিয়ে ওয়েব বানানোর মতো কি আছে ঠিক তেমনি সবারও ভাবনা যে কি আছে এই অতিথিশালায়।
যেখানে রয়েছে অনেক রহস্য। সেসব রহস্য সম্পর্কে সুন্দরপুরের মানুষজন জানে খুব কমই। এই সুন্দরপুরের জমিদার বাড়িতেই থাকত উপন্যাসের সেই রহস্যময়ী নারী মুশকান জুবেরি। কোন এক সময় তিনি ছিলেন ঢাকার এক হাসপাতালের ডাক্তার। বিশেষ এক কারণে সে ডাক্তারি ছেড়ে দেয়। চলে আসে সুন্দরপুরে। চালানো শুরু করে সেই রেস্তোরাঁটি। রান্নায় বিশেষ কিছু উপাদান মিশিয়ে দেয় সব খাবারে। খাবারগুলোও হত ভীষন রকম সুস্বাদু কিন্তু সেই উপাদান সম্পর্কে কারোর ক'মাত্রও ধারনা নেই।
তারপর হঠাৎ একদিন এক আগন্তুক এসে হাজির হয় সুন্দরপুরে। তিনি নুরে ছফা। শহুরে একজন টগবগে যুবক। রহস্যসন্ধানী একজন সুপুরুষ। খাবার খান 'রবীন্দ্রনাথে'। রহস্য শুরু এখান থেকেই। তিনি খুঁজতে থাকেন অজানাকে। জানতে চেষ্টা করেন কি এমন সিক্রেট রেসিপি আছে মুশকান জুবেরির যে তার বানানো খাবার খেলে সবাই আবার খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়! তদন্তে নেমে এমন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় নুরে ছফা। নুরে ছফা নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে এগুলেও সবাই জেনে যায় সত্যটা। সে আসলে সাংবাদিক নয় বরং ডিবির একজন ক্ষমতাধর ইনভেস্টিগেটর। প্রধানমন্ত্রীর পিএস এর অনুরোধেই ছফা সুন্দরপুরে এসেছে একটা কেসের তদন্তে। তার গতিবিধি ছিল অস্পষ্ট আর রহস্যময়। সুুুন্দরপুুুরে এসে ছফা মুশকানের এই রহস্য উদঘাটন করার তাগিদে নেমে পরে। সাহায্য নেয় স্থানীয় বিবিসি খ্যাত আতর আলীর।
উদঘাটন করতে থাকেন নতুন সব ঘটনা। কোন না কোন ভাবে জড়িতদের সন্ধান পেয়ে যান। জানতে শুরু করে রহমান মিয়া, খুবই ধুরন্ধর আর টাউট বাটপার টাইপ মাদক সহ সব ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত ইনফর্মার আতর আলী, সুরত আলীর বেশ্যাপল্লী সানমুন, এসপি মনোয়ারা হোসেন, বোবা ইয়াকুব, এসআই আনোয়ার, স্কুলশিক্ষক রমাকান্তকামার, মুশকান সোহেলী, এমপি আসাদুল্লাহ্, সোমারানী, সোবহান মোক্তার, রাতকানা সাফিনা কিংবা ফালুদের। আরও জানতে পারেন এমপির বাবা হামিদ্যা রাজাকার, অলোকনাথ বসু, অঞ্জনা বসু, সাঈদ জুবেরি, রাশেদ জুবেরি, তিলোকনাথ বসু সহ পূর্বপুরুষদের কথা। তৈরি হয় আবার নতুন কোন থ্রিল।
অথচ ডিবির জাঁদরেল ইনভেস্টিগেটর নুরে ছফার আপাত অমীমাংসিত কেস এটা। দশ বছরের চাকরির জীবনে এর আগে কোন অমীমাংসিত কেস নেই তার। একেরপর এক নিত্যনতুন কৌতূহল ছফাকে ক্রমশই অস্থির করে তুলছে। রহস্যময়ী চরিত্র মুশকান জুবেরি সম্পর্কেও নতুন কিছু জানলো সে। যেন নতুন কোন ঘটনা জানান দিচ্ছে, আবার এরকম হচ্ছে। আবার। আবার। অসি, এসপি, এমপি সহ বড় বড় লোকজন এ মহিলার কাপড়ে বাঁধা। কে এই রহস্যময়ী তরুণী। গোরখোদকের মতো সামন্য মানুষের সঙ্গেই বা এই মহিলার কি খাতির। কাহিনী মোড় নেয় আবার নতুন এক দিকে। থ্রিলের পরেও থ্রিল। তবে এখানে কি ভুতপ্রেতের মতো কুসংস্কার কিছু লুকিয়ে রয়েছে?
নাহ, কোনভাবেই এক্সপ্লেইন করতে পারছেনা ছফা। এই মহিলার অনেক গোমর রয়েছে আর সেগুলো সুকৌশলে, অত্যন্ত যত্নের সাথে লুকিয়ে রাখে সে। কে এই জুবেরি? কোথা থেকে এসেছে! এখানেই বা কেন এসেছে? আতর আলী কি সত্যিই ইনফর্মার নাকি জুবেরির'ই দালাল! এরা কি সবাই জুবেরির হয়েই কাজ করে? ভাবতে ভাবতে মাথা হ্যাং হয়ে যায় কিন্তু রহস্য উদঘাটন হয়না।
ছফার পা এলাকায় পড়ার পর ঘটে অদ্ভুত সব ঘটনা। সে রহস্য অনেকাংশ উদঘাটন করতেও পেরেছিল বটে। মুশকানকে ধরতে সে চলে যায় জমিদার বাড়িতে। মুশকান সবকিছুই স্বীকার করে নিয়েছে ছফার সঙ্গে কিন্তু বিশেষ এক বুদ্ধি খাটিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় পালিয়ে যায় সুন্দরপুর থেকে।
খুন হওয়া এমপির আরেক থ্রিল। ফালুও বা কোথায় হারিয়ে গেল। আতরকেও কি উদ্ধার করা গিয়েছিল। নুরে ছফাকেও কি ওই মহিলা গুম করে ফেলেছিলেন...
মূল প্লটে একজনকে সামনে থেকে দেখা মানুষের ভিতরগত খোঁজ, লুকায়িত রহস্য আর দুর্দান্ত থ্রিল। টানটান সব অজানার মধ্য দিয়ে উঠে আসা অধ্যায়গুলো পড়ে মনে হলো প্রথম কোন এ টাইপ লেখা পড়ছি যেখানে একটা বিশেষ গল্প থাকবে চরিত্রের পেছনের, তাদের ব্যক্তিগত জীবন দেখাতে হবে ভিন্ন অঙ্গিকে। গল্পের রোমাঞ্চ ছিলো অসাধারণ। অচেনা কাহিনী অথচ তারপর আবার কি ঘটবে আন্দাজ করাও ছিল কঠিন।
নামকরণের স্বার্থকতা:
'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি' মানে এ নাম থেকে স্পষ্ট যে এটা একটা পেট পূর্ণ করার আশ্রয়স্থল। সাধারন কিংবা অসাধারণ মানুষরা ভোজনের টানে এখানে আসেন। তবে অন্যান্য অনেকে এলেও রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি। সত্যিই কি রবি ঠাকুরের আসার কথা ছিল! কেনই বা এই মফস্বলে আসার কথা থাকবে? আদৌ তিনি কি বিশ্বকবি রবি ঠাকুরই নাকি অন্য কেউ! এসবের উত্তর বইপোকাদের জন্য তোলা থাকল। চলুন পড়ে আসি সেই রহস্যময়ী লেখা বই 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি', অতঃপর আপনার আমার মাথায় থাকা উশখুশ করা রহস্যভেদ তরজমা করি।
লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনকে নিয়ে এ অধমের লেখা দু'কলম:
বর্তমান লেখকদের ভিড়ে তিনি অসাধারণ লিখেন। পাঠকের মন জয় করার অজস্র কৌশল জানা রয়েছে বলে এ পাঠেও আমি ঠিক আগের সব তার লেখাগুলোর মতোই টের পেয়েছি। প্রত্যেকটা লেখা নিয়ে হয়ত এক সমুদ্র স্টাডি করেন তিনি। বড্ড ভাবেন, ভাবেন অতঃপর ভাবেন। সবকিছুর উপরে মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন বাকিসব বইয়ের মতো করেই ভিন্নধর্মী আরেকটা থ্রিলার তত্ত্বকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন, যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার এক উপন্যাসেই আপনি ভক্ত বুনে যাবেন নির্দিধায় বলা যেতে পারে। প্রিয় এ লেখকের তরে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

পরিশিষ্ট: মুশকান জুবেরি চরিত্রে যেন জয়া আহসান আষ্টেপৃষ্ঠে লেগে রয়েছেন। 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি' পড়ছিলাম আর এ চরিত্রে শুধু জয়াকেই কল্পনা করেছি। বয়স আন্দাজ করতে না পারা এ চরিত্রে তিনিই পার্ফেক্ট চুজ। উক্ত বইয়ের লেখক “নাজিম” ভাইও তার লেখা নিয়ে ওয়েব হবার কথা শুনেই জয়াকে ভেবে রেখেছেন। তবে পরী সহ অন্যান্য কাস্টিংও নাকি অফিসিয়াল না। বলছিলেন নাজিম ভাই। জয়া তার ব্যস্ততা কাটিয়ে একটু লেটে হলেও এ চরিত্রে হ্যা মত পোষন করুক সেটাই চাইব। অনির্বাণ নুরে ছফা চরিত্রে আর চঞ্চল চৌধুরী আতর আলী চরিত্রে ঠিকঠাক। তবে মাষ্টার চরিত্রটা আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছে; এ চরিত্র সহ অন্যান্য চরিত্র কারা প্লে করবেন তা ব্লাষ্ট হওয়ার অপেক্ষায়।
ইতিকথা: হ্যাপি রিডিং। অসম্ভব সুন্দর একটা প্লট নিয়ে লেখা চমৎকার একটি থ্রিলার। তবে বইয়ের টাইপিংয়ে ঠিক চোখে লাগার মতোই বেশ কিছু মিস্টেক ছিলো। বইমেলা কাছে থাকায় হয়ত এমনটা হয়েছিল বলে আমার ধারনা। চাইলেই বইটা আরেকটু সময় নিয়ে এসব মিস্টেক শুধরে লেখা যেত হয়ত। এই অল্পস্বল্প কিছু দুর্বলতার বাইরে বাকিসব এতো এতো পারফেক্ট, এতো হিপনোটিক আর স্টাইলিস্টিক যে পড়ার সময় ভেসে গিয়েছিলাম একদম। একটু বেশিই জোশ ছিলো। সাথে চমৎকার ঘোরের পর স্মার্ট একটা এন্ডিং। আপনাকে ভাবাবে, ক্ষুধা রেখে দেবে, তৈরি করবে আলাপ আলোচনার ক্ষেত্র। বিরক্ত হবেন না বলতে পারি। অসম্ভব রকম অসাধারণ বই যেন। পাক্কা থ্রিলার লেখার ভক্ত হলে তো এটা আপনার জন্য মাস্ট রিড।
*
প্রিয় পাঠক, চাইলে এগিয়ে চলোতে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- আপনিও লিখুন