যখন করোনা হলো তখন স্রেফ তিন-চার দিনের জ্বর আর কাশি ছাড়া আর তেমন কিছুই ভোগায়নি অন্তত। ভুগেছি আসলে পরে, এখনও ভুগছি...
করোনা বুঝতে পারার পর আগামীকাল দুই মাস পূর্ণ হবে। এর শুরুর পনেরো দিন তো বাদ। পরের দেড় মাসের কাহিনী লিখি। এর মাঝে দুইবার ডায়রিয়া মত হয়েছে। ডায়রিয়ার এক্সট্রিম টাইপ। দিনে ৮০-৯০ বার টয়লেটে যেতে হয়েছে! অবশ্য ১-২ দিনের বেশি থাকেনি। তৃষা বলেছিলো, কোনোদিন তোমার পেট খারাপ হয় শুনিনি তো। আমার প্রিয় খাবারের তালিকায় স্ট্রিট ফুড আছে। প্রায়শই যা-তা খাই। হোটেলের, বাইরের পানি খাই। গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল প্রবলেম কখনোই হয় না।
আমি বেশি পরিমান খেলে টুকটাক ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করি ঘরে। সেটা করতে কখনো এক্সারশনে ভুগিনি। লেথার্জি বা ফ্যাটিগ কাজ করেনি। গত দেড়মাসে মাত্র একবার করতে গেছিলাম। এই কয়েকদিন আগে। মিনিট পাঁচেক পরেই এত দূর্বল লেগেছে। কান ধরেছি।
কন্টিনিউয়াস কাশি ছিলো মাসখানেকের বেশি। প্রথম ১৫ দিনের পর আরো ১৫-২০ দিন। বাইরে বের হতে কী যে সংকোচ হতো! তখন আবার যেতে হয়েছে ডিএমসিতে। লেকচার গ্যালারিতে বসে ঢোক গিলে গিলে কিভাবে যে একেকটা কাশি গিলেছি! তৃষার জোরাজুরিতে এক্সরে করিয়ে দেখা গেলো, রাইট লাংগসে ফাইব্রোসিস হয়ে গেছে। তার জন্যে স্টেরয়েড পর্যন্ত খেলাম।
৪-৫ দিন আগে আরেক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম। দুপুরের দিকে চেয়ারে বসে ছিলাম। হঠাৎ মাথা ঘুরিয়ে উঠলো। অস্থিরতা নিয়ে বিছানায় এসে আধঘন্টা শুয়ে কাটালাম। তারপর আর ঠিকঠাক মাথা তুলতে পারি না। এপাশ কাৎ হলে ওপাশ ভারী লাগে, ওপাশ হলে এপাশ। কষ্ট করে উঠে দাঁড়িয়ে অন্য কাজে লেগে গেলে একটু সময় ভালো থাকা যায়। কিন্তু হাঁটতে গেলে মনে হচ্ছিলো যেকোনো একদিকে কাৎ হয়ে পড়ে যাবো। এরকম না যে শয্যাশায়ী হয়ে গেছি, কিন্তু দুই-তিনদিন সারাদিন পড়ে যাবার ভয় কাজ করেছে। মাথা ঘুরিয়েছে। রাস্তা পার হবার সময় ভয় লেগেছে।
প্রচুর চুল পড়ছে৷ প্রচুর। সাথে তৃষা কয়েকটা পাকা চুল পেয়ে তুলে দিতে দিতে বলেছে, এরকম চললে মানুষ তো বলবে জামাই তো বুইড়া! আরো একটা বিষয় নোটিশ করেছি, এটা হাস্যকর শোনাবে, তাও- অনেক কিছু দ্রুত ভুলে যাচ্ছি।
বরং যখন করোনা হলো তখন স্রেফ তিন-চার দিনের জ্বর আর কাশি ছাড়া আর তেমন কিছুই ভোগায়নি অন্তত। ভুগছি আসলে পরে। এসব বোঝার জন্যে বেশ কিছু আর্টিকেল পড়ছিলাম নেটে। বিভিন্ন পোস্ট কোভিড সিম্পটমের আর্টিকেলে একটা বিষয় ঘুরেফিরে লেখা হয়েছে, Even though the number of COVID-19 cases worldwide now approaches fifty five million with more than 1.3 million dead, we are still amazed how little we know about this very complex disease.
কিছু আর্টিকেল থেকে আরো কিছু তথ্য যোগ করি- It is observed that the virus not only affects the lungs, many studies have documented lingering damage to many organs or systems including one's heart, brain, vascular system, the digestive system, and kidneys amongst other organs. This new phenomenon that has emerged is termed as the Post Covid-19 syndrome.
The damage seems to be caused by severe inflammatory responses, thrombotic microangiopathy, venous thromboembolism, and oxygen deprivation. Low blood oxygen saturation has been found even in asymptomatic and presymptomatic patients with COVID-19 pneumonia, where it has been called “silent hypoxia.” Organ damage has been documented to persist in the lungs, the heart, the brain, and the kidneys, even in some people who had only mild symptoms. The slow pace of recovery readily explains the duration of what has come to be called the “post-COVID syndrome.” Some people may also be suffering from post-intensive care syndrome, a group of symptoms that involves muscle weakness, balancing problems, cognitive decline, and mental health disturbance.
Patients who have recovered from Covid-19 might experience: 1) Abnormal heart rate 2) Chronic fatigue 3) Persistent diarrhea 4) Rapid weight loss and digestive issues 5) Mild to severe inflammation in the brain 6) Nausea 7) Loss of appetite, taste and smell 8) Reduced exercise tolerance 9) Disturbed sleep patterns 10) Muscle weakness 11) Neuropsychiatric implications like Depression, Insomnia, etc.
আপনি আশপাশের খোঁজ রাখলেই জানবেন, কারো জ্বর আসলেই ইদানিং মানুষ আর করোনা পরীক্ষা করাতে যায় না। কম্পলিকেটেড হয়ে গেলে সরাসরি ভর্তি হয়। এজন্যে দেশে এখন সাধারণ বেড থেকে করোনার আইসিইউ পেশেন্টের পরিমান বেশি। এসবের পরেও আজ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পর আবার দুই হাজার ক্রস করেছে, ২১৩৯।
এতখানি লেখার উদ্দেশ্য- পোস্ট কোভিড নিয়ে একটু খোঁজ খবর নিচ্ছিলাম, নেটে আর্টিকেল খোঁজ করছিলাম নিজের বিপদ আপদ বুঝতে। তাতে আতঙ্কিত হবার বিষয় আছে। বেশ আছে। ওয়েল, স্টিল হাউ লিটল উই নো অ্যাবাউট দিস স্ট্রেঞ্জ অ্যান্ড কমপ্লেক্স ডিজিস!
*
প্রিয় পাঠক, চাইলে এগিয়ে চলোতে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- আপনিও লিখুন