মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, করোনা টেস্ট করিয়েছেন তো?
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট

সিলেটের এই মেয়রের তো আইসোলেশনে থাকার কথা। তিনি কী করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? তাও আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে!
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ বলেছেন- আমেরিকা এই মুহূর্তে যুদ্ধে আছে। তিনি নিজেকে 'যুদ্ধকালীন প্রেসিডেন্ট' হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এছাড়া তিনি বলেছেন- আমরা যুদ্ধ করছি অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে, তাই যুদ্ধটা হবে কঠিন। কিন্তু আমরা জয়ী হবো। পৃথিবীর সব দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানরা করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিন ব্রিফিং করছেন। আর আমাদের বাংলাদেশে?
আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো দিক নির্দেশনা দিতে শুনলাম না। এই জরুরী পরিস্থিতে মানুষজনের কীভাবে চলাফেরা করা উচিত; সব কিছু বন্ধ হয়ে গেলে গরীব-খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কীভাবে বাঁচবে ইত্যাদি এই সব দিকনির্দেশনা তো তার দেবার কথা। আজ শুনতে পাচ্ছি, এর মাঝেই নাকি বাংলাদেশে জিনিস-পত্রের দাম বাড়তে শুরু করছে! এই পরিস্থিতিতেও কেউ কেউ লাভ করতে চাইছে! আমরা বাংলাদেশিরা আসলে সত্যিই একটা জাতিই বটে!
এগুলো নিয়ে তো প্রধানমন্ত্রীকেই নির্দেশনা দিতে হবে। তাঁর তো প্রতিদিন এখন ব্রিফিং করে উল্টো আমাদের সবাইকে আশ্বস্ত করার কথা। উল্টো তিনি কিনা সিলেটের সাবেক মেয়রের সাথে একই প্রোগ্রামে মুজিব বর্ষ পালন করছেন! সিলেটের এই মেয়র দুই দিন আগ পর্যন্তও ইংল্যান্ডে ছিলেন। এর তো আইসোলেশনে থাকার কথা। তিনি কী করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? তাও আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে! এখন তো দেশের নাগরিক হিসেবে আমি জানতে চাই- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, করোনা টেস্ট করিয়েছেন তো?
রাষ্ট্রের উচিত হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর করোনা টেস্ট করানো এবং সেই টেস্ট রেজাল্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই দেশের জনগণকে জানাবেন; সেই সঙ্গে প্রতিদিন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের করনীয় সম্পর্কে ব্রিফিং করবেন। আমেরিকা-কানাডা-ইংল্যান্ড-জার্মানি থেকে শুরু করে সকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা নিয়মিত এই কাজ করছেন এখন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পুরো পৃথিবী এখন সব চাইতে ভয়ংকর পরিস্থিতির মাঝ দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আপনি দেশের জনগণকে উদ্দেশ্য করে আজ পর্যন্ত কোনো ভাষণ কিংবা ব্রিফ করেননি। এতে দেশের জনগণের মাঝে আপনাদের নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া হওয়াই স্বাভাবিক।