এই মহামারি মানুষকে 'মানুষ' হবার শিক্ষাটাই দিচ্ছে!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
প্রেস ব্রিফিংয়ে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র বিল দে ব্লাসিও বলেন, 'রমজানের শিক্ষা অভুক্তদের খাদ্য দেয়া, সামর্থ্যহীনদের কথা মনে রাখা, বিশেষ করে এই সময়ে যখন দেশে কঠিন পরিস্থিতি চলছে এবং মানুষজন নামাজ আদায় করতে মসজিদে যেতে পারছে না'।
সালমান খান নিবিড়: উল্লেখ্য যে, নিউইয়র্ক সিটিতে প্রায় আধ মিলিয়ন কর্মসংস্থান পার্মানেন্টলি বা টেম্পোরারিলি বন্ধ হয়ে গেছে। দরিদ্র নিউইয়র্কারদের খাদ্য সংকটের কথা চিন্তা করে ঈদ ও রমজান সামনে রেখে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ মেয়রকে জানালে মেয়র বলেন, 'চিন্তা করবেন না, এই মাসের রমজানের দিনগুলিতে আমরা দশ মিলিয়ন খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী সরবরাহ করব, মে মাসের জন্যে আরো ১৫ মিলিয়ন খাদ্যদ্রব্য সরবরাহের জন্যে তৈরী, পবিত্র রমজান মাসে কোনো নিউইয়র্কার অভুক্ত থাকবে না, your city will provide'।
না, এটা মক্কা-মদিনার কোনো শহর না। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি হিট খাওয়া শহর নিউইয়র্ক সিটি, কিছুদিন আগে জনমানবহীন শুন্য টাইমস স্কয়ারের একটা ছবি দিয়েছিলাম, সেখানে মুমিন-মুসল্লিরা ঝাপিয়ে পড়েছিল এই বলে যে- আল্লাহর গজব নাকি আসছে, টাইমস স্কয়ারের টাইম নাকি আল্লাহ থামিয়ে দিয়েছে!
তো ভাইসব, আপনাদের প্রিয় ইসলামিক দেশগুলির কর্তৃপক্ষ অন্য ধর্মের জন্যে কী করছে? পুজার সময় আপনারা মুর্তি ভেঙ্গে মন্দির জ্বালান, কেও শুয়োর খাচ্ছে শুনলে বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেন, আর এখানে কেও রোজা রাখছে শুনলে ইফতারের ব্যবস্থা করে লোকজন। কর্পোরেট জব করি, তাই কীভাবে ইফতারের সময় কলিগদের ব্রেক দিতে হয়, ভালোই জানি, দেখি। আমি রোজা-টোজা বা ঈদ-চাঁদ কখনই তেমন রাখি না, অথচ সব সময় আমার বস আমাকে পুশ করে যে দরকারে আমি যেন যখন খুশী ব্রেক নিই, কিছু লাগলে যেন বলি।
কিছু কিছু দুর্যোগ মানুষকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে কিছু শিখিয়ে যায়, এই মহামারিও ঠিক এমন, মানুষকে আবার মানুষ হতে শেখানো এক সময়।