পায়ে একটা জ্বলুনি অনুভব করলেন নীলা, কিন্তু সেদিকে তাকাতে সাহস হলো না। আওয়াজে কানে তালা লেগে গেছে তার। ডালাটা ডান হাতে ধরা, তাকিয়ে দেখলেন দুহাতে কান ঢেকে বিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা।
আগের রাতটা একটু তাড়াতাড়িই বাড়ি ফিরেছিলেন নীলা। পরদিন খুব ব্যস্ত সময় কাটবে, তাই গোছানোর আছে অনেক কিছু। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেত্রী তিনি। স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা। রাজনীতিটা রক্তেই। বাবা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আলিম, ২৮ এপ্রিল পাইকপাড়ায় তাকে মেরে ফেলে পাকিস্তান আর্মি। মা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেত্রী, সাজেদা চৌধুরী (সাংসদ নন)। পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধু-অন্তপ্রাণ। আওয়ামী লীগের তেড়িয়া সমর্থক।
২১ আগস্ট বিকেলে একটা র্যালি আছে দলের, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। সন্ধ্যায় আবার ভাইয়ের শালীর এনগেজমেন্ট। কর্মসূচীটা সেরেই ধানমন্ডী তিন নাম্বারে সে অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্ল্যান। একাই যাবেন। পরদিন যথারীতি ভোরে শুরু হলো নীলার আরেকটি দিন। ছেলেদের স্কুলে পাঠালেন, স্বামীও চলে গেলেন ব্যবসার কাজে। ১১ টায় বাসা থেকে বের হলেন নীলা। তার আগে বুয়াকে কিছু নির্দেশ দিলেন। ফিরতে রাত হবে তার। তখনও নীলা জানেন না, এই বাড়িতে আগামী কয়েক মাসে আর ফেরা হবে না। এবং ফিরলেও, সেটা মাত্র কয়েকদিনের জন্য।
দিনটা এমনিতেও গনগনে। ভীষণ রোদ। সবুজ পাড়ের সুতি শাড়ি পরনে, ম্যাচিং অলিভ ব্লাউজ। গড়পড়তা বাঙালী মেয়ের চেয়ে লম্বা নীলা। পাঁচ ফিট সাড়ে ছয়, তারপরও একটা হিল পড়েছেন। ফ্লাট হিল, পেছনে আড়াই ইঞ্চি, সামনে দুই। এই সিদ্ধান্তটা যে ইতিবাচক ছিলো তার প্রমাণ মিলবে সামনে। অনুষ্ঠান বিকেলে হলেও ব্যক্তিগত কিছু কাজ সারতে একটু আগেই বের হয়েছেন। তারপরও পাছে দেরী হয়ে যায় এই তাগিদটা জুড়ে আছে সারাক্ষণ। একটু পরপর একে ওকে ফোন করছেন- অনুষ্ঠানে আসছেন তো! আমি কিন্তু বেরিয়ে পড়েছি…।
নীলা বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে পৌছলেন সাড়ে তিনটায়। ড্রাইভারকে ছেড়ে দিলেন। র্যালি শেষ হবে ৩২ নম্বরে। সেখান থেকেই বাগদানের অনুষ্ঠানে চলে যাবেন। পার্টি অফিসে ঢোকার পর পরিচিতদের সঙ্গে কুশল বিনিময়। আওয়ামী লীগের জন্য এই শোডাউনটা যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। আর সে কারণেই গমগম করছে চারপাশ। চারটায় বের হয় গেলেন নীলা। যদিও বিরোধী দল নেত্রীর আসতে এখনও একটু দেরী আছে। অফিসের বাইরে খোলা ট্রাকে মঞ্চ। সেখানে ওঠার সিড়ির দুপাশে সারি বেধে দাঁড়ানোর একটা প্রতিযোগিতা চলছে। বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বড় নেতারা সবাই আছেন। নেত্রীকে চেহারা দেখানোর একটা প্রচ্ছন্ন তাগিদ সবার মাঝেই। নীলার উল্টো দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাহাউদ্দিন নাসিম। একটু পর সেখানে এলেন মাহবুবা আখতার। সাভার থাকেন। নাসিম তাকে বললেন নীলার পাশে দাঁড়াতে।
গরমের তীব্রতা আরো বেড়েছে। হাতে একটু সময় আছে বলে নীলা মাহবুবাকে নিয়ে আবারও গেলেন পার্টি অফিসে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যানারটার কী অবস্থা খোঁজ নিলেন। এমনিতে অন্যসব অঙ্গসংগঠনে মেয়েদের সংখ্যা প্রচুর হলেও স্বেচ্ছাসেবক লীগে মেয়ে মাত্র তারা চারজন। এডভোকেট কাজল, নাজনীন, মাহবুবা ও নীলা। র্যালিতে- মিছিলে মেয়েরা সামনের দিকে থাকে। ব্যানারটা উচিয়ে তোলা চাই। নেত্রীর চোখে পড়তে হবে। তখনও ভেতরে বসে থাকা পরিচিতদের তাড়া দিলেন নীলা। তার ডাকে যারা বের হলেন, তাদের একজন কুদ্দুস পাটওয়ারী। আর কিছুক্ষণ পর তিনি লাশ হয়ে যাবেন। এখনও নীলা আফসোস করেন যে অমন জোরাজুরি না করলে হয়তো কুদ্দুস এখনও জীবিত থাকতেন।
ঘামজবজবে চেহারাটা দেখে তাকে একটু বসতে অনুরোধ করেছিলেন অনেকে। নীলার সময় নেই এসব ফালতু বিশ্রামের। সাড়ে চারটা বেজে গেছে, শেখ হাসিনা আসার সময় হয়ে গেছে। একটা হালকা ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে গেছে আশেপাশে। এই একটা জিনিসে বড্ড ভয় নীলার। ট্রাকের গা ঘেষে দাঁড়ালেন। পারভীনকে সামনে রেখে একরকম আড়াল নিলেন। তার উচ্চতায় চেহারা দেখানোটা সমস্যা নয়। এর মধ্যে হালকা রসিকতা চলছে নেতাদের মধ্যে। মেয়র হানিফ আইসক্রিম খাচ্ছেন। মতিয়া চৌধুরী-সাহারা খাতুন কয়েকজনকে নিয়ে এগুলেন আমড়া পাওয়া যায় কিনা দেখতে। পানি পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও। নীলা একটু অনুযোগের সুরে বললেন- আপনারা তো মজাতেই আছেন, আর গরমে সিদ্ধ হচ্ছি আমরা। শুনে তার দিকে একটি পানির বোতল ছুড়ে দিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সেটা ধরতে পারলেন না নীলা।
এর মধ্যে আরেক কাণ্ড। মাহবুবার সিল্কের শাড়ির আঁচল পাশের এক মহিলার আচলে গিট বেধে দিয়েছে কে যেন দুষ্টুমী করে। দুজনের ঝগড়া। নীলা আঁচল খুলে দিতে না দিতেই চারদিকে সাড়া পড়ে গেলো। নেত্রী এসে গেছেন। তার দিকে নজর দেওয়ার আগেই পেছন থেকে অনুরোধ, একটু জায়গা দিন না প্লিজ, আইভি আপা সামনে যাবেন। ডান হাতে ট্রাকের ডালা ধরে জায়গা করে দিলেন নীলা। একে একে তাকে পেরিয়ে গেলেন শাহীন আপা, শিরিন আপা, লাইলী আপা।
ট্রাকে উঠলেন শেখ হাসিনা। ছোট বক্তৃতার পরই শুরু হবে র্যালি। বাক্য বিরতিতে শ্লোগান চলছে। বক্তৃতার শেষ লাইন। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু বলার সুযোগ আর পেলেন না তিনি। প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হলো ট্রাকের সামনে। এরপর স্লো মোশনে দৃশ্যগুলো আমরা কল্পনা করি।
পায়ে একটা জ্বলুনি অনুভব করলেন নীলা, কিন্তু সেদিকে তাকাতে সাহস হলো না। আওয়াজে কানে তালা লেগে গেছে তার। ডালাটা ডান হাতে ধরা, তাকিয়ে দেখলেন দুহাতে কান ঢেকে বিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা। নীলার মুখ থেকে একটা আর্তির মতো বেরুলো- নেত্রীকে বাঁচাও, তোমরা নেত্রীকে বাঁচাও। ওই অবস্থাতেই দেখলেন একদল লোক শেখ হাসিনাকে ঘিরে ট্রাক থেকে নামিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেই মুহূর্তে নীলার ধারণা ছিলো শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরপর কয়েকটা বিস্ফোরণ, লোকজন ছুটোছুটি করছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। সামনে ফাঁকা, আহত এবং নিহত হয়ে পড়ে আছে একটু আগেই তাকে ঘিরে থাকা মানুষগুলো। একটু আগে ইঞ্চির ফারাক ছিলো না যেসব শরীরে সেখানে এখন যোজন ব্যবধান। আস্তে আস্তে মাথাটা ঘোরালেন নীলা। চোখে পড়লো অফিসের সামনের ড্রেনটা রক্তে লাল হয়ে আছে।
ট্রাকের ডালা ধরে দাঁড়িয়ে নীলা। একা। গুলির শব্দ থামেনি। এবার তার বাঁচার আকুতি জাগলো। চোখে ভেসে উঠলো দু’ছেলের মুখ। মাকে ছাড়া ওরা কীভাবে থাকবে! ডান পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে গিয়ে দেখেন সাড় পাচ্ছেন না। এবার তাকিয়ে দেখলেন হাঁটুর কাছ থেকে শাড়ী রক্তে ভেজা। পায়ে হিল নেই। স্ট্র্যাপ আঁটা সেই স্যান্ডেল স্রেফ উড়ে গেছে। এমনিতে ফ্লাট পড়ে অভ্যস্ত নীলা। আজ পড়লে গোড়ালি উড়ে যেত। হাঁটতে পারছেন না। মাত্র সাত কি আট ফুট দূরে পার্টি অফিসের দরজা। চেষ্টা করে দেখলেন, সম্ভব না। মাটিতে বসে পড়লেন। সম্মোহিতের মতো চেয়ে দেখলেন সামনেই পড়ে আছে তখনও না ফাটা একটি গ্রেনেড! এতক্ষণ পর্যন্ত বোমা হামলা হয়েছে বলেই ভেবেছেন নীলা। এবং সে হামলার লক্ষ্য তিনি নন, বরং শেখ হাসিনা। কিন্তু নেত্রী তো আর জীবিত নেই। সব শেষ হয়ে গেছে।
জলপাই রঙা মারণাস্ত্রটি দেখামাত্রই চিনে ফেললেন। মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে, গ্রেনেড চেনেন। যে কোনো মুহূর্তে ফাটবে এটি। চোখ বন্ধ করলেন। তারপর কনুইয়ে ভর দিয়ে ক্রল করে এগোতে লাগলেন, নির্ঘাত মৃত্যু থেকে যতটা সম্ভব দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা প্রাণপন। হামাগুড়ির পথে দেখছেন নিথর হয়ে ফ্যালফ্যালে চোখে তাকিয়ে মাহবুবা, কালো ব্যাগটা বুকের ওপর। একটু দূরে আইভি রহমান। নিরব-নিস্তেজ। এগোতেই সামনে দেখলেন একটা সাইকেল পড়ে আছে। পাশে বসে আছেন সবার প্রিয় আদা চাচা। ওই অবস্থাতেই মৃত্যু হয়েছে তার। বাটা দোকানের সামনে পৌছে কলাপসিবল গেটটা ধরে দাঁড়ালেন নীলা। তাকিয়ে দেখেন পেট্রলপাম্পের সামনে সাদা শার্ট পড়া কে একজন এদিকে গুলি ছুড়ছে। পুলিশ আছে, নীরব দর্শকের ভূমিকায়। এতক্ষণ বাঁচার তীব্র আকাঙ্খায় স্রেফ মনের জোরে এইটুকু এসেছেন। কিন্তু যে পরিমাণ রক্ত হারিয়েছেন তাতে দূর্বল হয়ে পড়ছিলো শরীর। জ্ঞান হারানোর আগে- বাঁচাও বলে একটা চিৎকার দিতে পারলেন শুধু।
পর দিন শমরিতা হাসপাতালের সাততলার ওয়ার্ডে জ্ঞান ফিরলো নীলার। টের পেলেন মাথার কাছে মা বসে আছেন। পলওয়েল সুপারমার্কেটে ছোটভাই শাহীনের দোকান আছে। সে তার বন্ধুদের কাছে খবর পেয়েই বোনের খোঁজে ছুটে আসে। নীলাকে সেখান থেকে নেওয়া হয়েছিলো ঢাকা মেডিকেলে। বান্ধবী ও বর্তমানে সাংসদ সাগুফতা ইয়াসমিনের চাপে তাকে শমরিতায় পাঠানো হয়। পাঁচদিনের মাথায় অবশেষে জ্ঞান ফিরে তার। এর মাঝেই নিশ্চিত হয়েছেন নেত্রী বেঁচে আছেন। এদিকে মা অস্থির। শোনা যাচ্ছে ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীলার পা দুটো কেটে ফেলার। এই সিদ্ধান্তটা রদ করার জন্য তিনি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন আবদুল জলিলের কাছে। আওয়ামী লীগের তখনকার সাধারণ সম্পাদক অনেকটা জোর করেই সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য করেন অধ্যাপক রুহুল হককে।
ভাগ্যদেবী সেবারই শুধু হাসেননি। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এরপর নীলাকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় ভারতে। সেখানে পিকে ব্যানার্জির তত্বাবধানে ছিলেন কয়েক মাস। বাংলাদেশে ফিরে ট্রমা সেন্টারে কিছুদিন। দু বছর কাটলো এভাবেই। কিন্তু নিউরোসার্জারির সুলভ কিংবা উন্নত চিকিৎসা এই উপমহাদেশে নেই। এবার নীলাকে প্যারিস পাঠানো হলো। সঙ্গে তার ছোট ছেলে। শেখ হাসিনা মোট ৩৫ লাখ টাকা খরচ করেছেন নীলার চিকিৎসায়, এতটা সৌভাগ্য হয়নি আহত আর কোনো জনের। মাহবুবা বেঁচে আছেন এখনও কিন্তু সেটা বেঁচে না থাকার মতোই। নীলা এই মহত্ব ও ঔদার্য্যের কথা স্বীকার করেন। তিনি কৃতজ্ঞ।
তারপরও খরচ পোষাতে একমাত্র ঠিকুজি এপার্টমেন্ট, গাড়ি, জমি সব বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই অবস্থায় হিসেবটা এমন যে ঢাকায় তার যাওয়ার জায়গা নেই। তিনি নিঃস্ব। প্যারিসেই মামাতো ভাই রানা চৌধুরীর পরামর্শে সুইডেন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। সেখানে বন্ধুরা আছে। তার ভিসাও আছে তিন মাসের। চিকিৎসা করতেই সুইডেনে চলে গেলেন। ২০০৯ সালে তার বড় ছেলে এবং স্বামীও তার সঙ্গী হয়েছেন। ছেলেরা পড়াশোনা করছে সরকারী খরচে। নীলার চিকিৎসার ভারও সুইডিশ সরকারের। বেঁচে গেছেন, কিন্তু তারপরও তার অনুভূতিটা মৃতের মতো। সারাক্ষণ হাসিখুশী থাকার চেষ্টা করেন। গানবাজনার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারপরও তাকে তাড়া করে বেড়ায় অসংখ্য স্প্লিন্টার। সেই জ্বলুনি, সেই অসার ভাব, সেই না ফাটা গ্রেনেডটি যখন তখন চোখের সামনে এসে ফাটবো ফাটবো করে।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সুইডেন গিয়েছিলেন। সেবার তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন নীলা। তাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেঁদেছেন। হাসিনা বলেছেন- তুমি তারপরও অনেক ভালো আছো নীলা। অনেকের চেয়ে অনেক ভালো আছো। নীলা জানেন, খুব জানেন যে আসলে তিনি ভালো নেই। এই নৃশংস আক্রমণের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তিনি ভালো থাকবেন না। চোখের সামনে তার দীর্ঘদিনের সঙ্গীদের একতাল মাংসপিণ্ড বানিয়ে দেওয়া সেই খুনেদের কাঠগড়ায় না দেখা পর্যন্ত তার শান্তি নেই। মনের সবটুকু জোর নিয়ে সেই দিনটির প্রতীক্ষা তার। পায়ের সবটুকু শক্তি দিয়ে সজোরে হেটে তিনি আদালতে স্বাক্ষীর কাঠগড়ায় উঠতে চান। শুধু এটুকু বলতে- মাননীয় আদালত, আমি ন্যায় বিচার চাইতে এসেছি। আমাকে ন্যায়বিচার দিন।
*
প্রিয় পাঠক, চাইলে এগিয়ে চলোতে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- আপনিও লিখুন