ভালোবাসা দিয়ে যদি মানুষগুলোকে আঁকড়ে রাখা যেত!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
মেক্সিকোর এই ঘটনাটি ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আমরা যারা এখনো সুস্থ আছি, তারা এই মরনঘাতি করোনার ভয়াবহতা এখনো বুঝেই উঠতে পারিনি। আমাদের কাছে মৃত্যুটা শুধু একটা সংখ্যা মাত্র। কিন্তু যারা আক্রান্ত হয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন, আপনজন হারাচ্ছেন। তাদের কাছে প্রতিটা মুহূর্ত যে কী পরিমাণ বিভীষিকাময় সেটা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারবো না।
মহামারি সৃষ্ট প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে নতুন করে মৃত্যুপুরী হয়ে উঠছে ম্যাক্সিকো। লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ব্রাজিলে। বিশ্ব তালিকায় দেশটি এখন দ্বিতীয়। এবার ব্রাজিলের পথেই এগোচ্ছে ১৫তম স্থানে থাকা মেক্সিকো।
ইতিমধ্যেই মেক্সিকোতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড় লাখ, যার ভেতর মৃত্যুবরণ করেছেন সতেরো হাজারেরও বেশি। এমনই এক ক্রান্তিবেলায় ভাইরাল হলো ম্যাক্সিকোর এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য।
মেক্সিকোর এই ঘটনাটি ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেক্সিকো জেনারেল হাসপাতালের প্রবেশ পথের পার্কিং এর দৃশ্য এটা। করোনায় আক্রান্ত এক বৃদ্ধাকে নিয়ে আসা হয়েছিলো সেখানে। মেডিকেল কেয়ার টিম সেখানে পৌছানোর আগেই বৃদ্ধাটি তার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাকে সেখানে নিয়ে আসা তার নাতি এই দৃশ্য মেনে নিতে পারেনি। করোনার আতঙ্ককে উপেক্ষা করে দাদীর মুখে শ্বাস দিয়ে জীবিত করার চেষ্টা করে সে। ‘মাউথ টু মাউথ’ এই ব্রিদিং পদ্ধতিতে অনেক সময় কাজ হয়। যদিওবা এক্ষেত্রে করোনার কাছে হার মানতে হয়েছে।
ছেলেটা জানতো এভাবে চেষ্টা করলে তার নিজের করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা শতভাগ। কোনো ভুল নেই এতে। তবুও সেই ভয়ে ভীত হলো না কেন? ছবিগুলোতেই রয়েছে এর উত্তর। এই করোনা আমাদেরকে এক কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দিয়েছে সত্যি, কিন্তু আমাদের পুরোপুরি অমানবিক করে দিতে পারেনি।
তাইতো সম্ভাব্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে প্রিয়জনকে বাঁচানোর এই তাগিদ উঠে আসে। যে মর্মস্পর্শী দৃশ্যগুলোর অবতারণা ঘটে সেটা আমরা হরহামেশাই দেখতে পাই। যা দেশ দেশান্তরের সীমানা পেড়িয়ে আমাদের হৃদয়প্রকোষ্ঠে আঘাত হানে। আমাদের দেশেও সাম্প্রতিক সময়ে এমন কিছু দৃশ্যের দেখা মিলেছে।
করোনা একটি অতি ক্ষুদ্র জীবাণু। এমন ভাইরাস, যার ভয়ে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব হয়েও বাড়িতে লুকিয়ে আছি। বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হোক, সবচেয়ে ধনী দেশ হোক, কিংবা মধ্যম আয়ের দেশ, কাউকেই সে ছাড় দিচ্ছে না।
আমরা যারা এখনো সুস্থ আছি, তারা এই মরনঘাতি করোনার ভয়াবহতা এখনো বুঝেই উঠতে পারিনি। আমাদের কাছে মৃত্যুটা শুধু একটা সংখ্যা মাত্র। কিন্তু যারা আক্রান্ত হয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন, আপনজন হারাচ্ছেন। তাদের কাছে প্রতিটা মুহূর্ত যে কী পরিমাণ বিভীষিকাময় সেটা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারবো না।
আরও পড়ুন-