জন আব্রাহাম নয়, গল্পটা মানিয়া সুরভের!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
বলা হয়, এক মানিয়া সুরভে দুই বছর সময়কালে দাউদ ইব্রাহিমের যতটা ক্ষতি করেছিলেন, সেটা এখনও পর্যন্ত দাউদের বাকী সব প্রতিপক্ষ আর দুনিয়ার তাবৎ পুলিশ মিলেও পারেনি। আর তাই পথের কাঁটা মানিয়াকে সরাতে ঘুম-নিদ্রা হারাম করে কাজে নেমেছিল দাউদ, সফলও হয়েছিল।
এক. সাল উনিশশো বিরাশি। এগারোই জানুয়ারীর শীতল এক দুপুর। রোদের তেজ নেই খুব একটা। বোম্বের আম্বেদকর কলেজের সামনে প্রতিদিনের মতো ব্যস্ততা। ছাত্র-ছাত্রীরা আসছে, গেটের সামনে সারি বেঁধে জায়গা করে নিয়েছে জনাকতক পানিপুরিওয়ালা। ব্যস্ত সড়ক, লোকজনের আসা যাওয়া চলছে। এরমধ্যে কয়েকজন ব্যতিক্রম। একেকজন একেক ছদ্মবেশে রয়েছেন, কিন্ত সবার পরিচয় একটাই, ওরা বোম্বে পুলিশের লোক।
কারো জন্যে অপেক্ষা করছে ওরা। পাকা খবর আছে, টার্গেট এখানে আসবেই। দু’বছর আগে জেল থেকে পালিয়ে বোম্বেতে এসেছিল লোকটা, এরপরেই আন্ডারওয়ার্ল্ডে মোটামুটি হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে সে। ছিনতাই, ব্যাংক ডাকাতি থেকে শুরু করে খুন- কী করেনি সে! তারই অপেক্ষায় এখানে আধঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশের জনাবিশেক সদস্য। এমন সময় হলদেরঙা ট্যাক্সিটা এসে থামলো গেটের সামনে!
দুই. সবার জীবনটা একরকম হয় না। সহজসরল পথে চলতে থাকা জীবনের নদীপথটা হঠাৎ করেই বাঁক নেয়, ভুল গন্তব্যের দিকে বইতে থাকে স্রোত। সেটার নিয়ন্ত্রণ সবসময় মানুষের হাতে থাকে না। ভাগ্য বলেও একটা ব্যপার আছে। মনোহর অর্জুন সুরভে’র কথাই ধরুন না, কীর্তি কলেজের বি.এ গ্র্যাজুয়েট ছিল লোকটা। তার একটা পরিবার ছিল, ভালোবাসার একটা মানুষ ছিল হয়তো, কাউকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্নও হয়তো দেখেছিল একদিন।
ভালো রেজাল্ট করেছিল অনার্সে, আকর্ষণীয় বেতনের চাকরীও জোগাড় হয়ে যেত একদিন। অথচ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল কামরার বদলে মনোহর নিজেকে আবিষ্কার করলো ইওয়াদা জেলের ছোট্ট সেলে! যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পাওয়া আসামী সে তখন!
তিন. বড়ভাই ভার্গব দাদা ছিলেন ছিঁচকে মাস্তান। সেকালে বোম্বেতে গুণ্ডা হবার ঝোঁক উঠেছে, জাতপাত নির্বিশেষে সবাই গ্যাংস্টার হবার স্বপ্নে বিভোর। কিন্ত হিসেবে গোলমাল করে ফেললেন ভার্গব দাদা, পাড়ার আরেক উঠতি ছোকড়া গুণ্ডা খুন হয়ে গেল তার হাতে। কিন্ত কোপটা এসে পড়লো নিরপরাধ মনোহরের ওপর। খুনের সঙ্গে সরাসরি কোন সংযোগ না থাকলেও, বোম্বে পুলিশের ইন্সপেক্টর দাভোলকরের রিপোর্ট এলো দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধেই। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলো না মনোহর, জায়গা হলো ইওয়াদা কারাগারে। সাদাসিধে এক মেধাবী ছেলের জীবনটা বদলে গেল এখানেই। উল্টোপথে হাঁটার শুরুটাও করে দিল এই অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা।
চার. শান্ত নিস্তরঙ্গ নদীতে তখন ঢেউয়ের তোড়, পাড় তখনও ভাঙেনি। ধীরস্থির স্বভাবের ছেলেটা সংগ্রাম করতে লাগলো জেলের কঠিণ জীবনে মানিয়ে নেয়ার, অসম্ভব রূক্ষ্ম আর মেজাজী হয়ে উঠলো মনোহর। সুভাষ ভাটকর নামের আরেক গ্যাংস্টার তখন বন্দী ছিল ইওয়াদা কারাগারে, তার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই খিটিমিটি বেঁধে যেত মনোহরের। একবার তো ভালোমতোই মারামারি হলো দুজনের, সুভাষকে মেরে ভর্তা বানিয়ে ফেললো মনোহর। জেল কর্তৃপক্ষ তখন তাকে বদলী করে দিল রত্নাগিরি জেলে।
এই রত্নাগিরিতেই ১৯৪৪ সালে জন্ম হয়েছিল মনোহরের। ইওয়াদায় ফিরিয়ে নেয়ার দাবীতে সেখানে সুরভে শুরু করলো অনশন, শরীরের ওজন প্রায় বিশ কেজি কমে গেল তার, অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছিল যে, একপর্যায়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। রত্নাগিরি জেল থেকেই ১৯৭৯ সালে বিশেষ বিবেচনায় ছাড়া পায় মনোহর। জমানো টাকা আর কাপড়চোপড় নিয়ে বোম্বের বাস ধরলো সে। আরব সাগরের তীরে থাকা শহরটা তখনও জানেনা, দু’বছর ধরে এখানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে আসছে কেউ!
পাঁচ. জীবন থেকে নয়টা বছর হারিয়ে গেছে, সেইসঙ্গে হারিয়ে গেছে আরো অনেক কিছু। পরিবার, ভালোবাসা, স্বপ্ন সবকিছুরই অকাল মৃত্যু হয়েছে, নিজের অজান্তে খুন হয়ে গেছে একটা সুন্দর মন, শুধু শরীরটা জীবিত আছে তার। বোম্বেতে টিকে থাকতে হলে পায়ের নীচের জমিটা শক্ত থাকতে হবে, বিশেষ করে মনোহরের মতো জেলখাটা আসামী, যাদের গায়ে খারাপ মানুষের সিল পড়ে গেছে- তাদের জন্যে তো এই শহরে রোজগার করাটা খুবই কষ্টের।
মনোহর তাই শুরু করলো নিজের গ্যাং খোলার চিন্তাভাবনা। ধারাবীর বস্তি থেকে সে খুঁজে বের করলো মুনীরকে, ইওয়াদা’র জেলে থাকার সময় দুজনের পরিচয় হয়েছিল। জোগাড় করা হলো বিষ্ণু আর শুটার উদয়কেও। মনোহর অর্জুন সুরভে তখন নিজের পরিচয় দেয় মানিয়া সুরভে নামে, যে নামটা পরের দুই বছর তটস্থ করে রাখবে পুরো বোম্বের আন্ডারওয়ার্ল্ডকে, রাতের ঘুম কেড়ে নেবে বোম্বে পুলিশের।
ছয়. ১৯৮০ সালের ৫ই এপ্রিল একটা অ্যাম্বাসডার কার ছিনতাইয়ের মধ্যে দিয়ে অপরাধের যাত্রা শুরু করলো মানিয়া সুরভে গ্যাং। সেই গাড়ি ব্যবহার করেই দশদিন পরে লক্ষ্মী ট্রেডিং কর্পোরেশন থেকে ৫৭০০ রূপি লুটে নেয় ওরা। মুনিরের সঙ্গে শত্রুতা ছিল আরেক সন্ত্রাসী শেখ আজিজের সঙ্গে, তাকে রাস্তায় টেনেহিচড়ে ইচ্ছেমতো মেরেছিল সুরভে গ্যাং, প্রায় আধমরা অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল এক ডোবায়। প্রতিপক্ষ এক গ্যাংলিডারের ওপর হামলা চালিয়েছিল সুরভে গ্যাং, সেই ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত করেছিল মানিয়া সুরভে।
সাত. বোম্বের আন্ডারগ্রাউন্ড যারা নিয়ন্ত্রণ করতো তাদের প্রায় সবাই উঠে এসেছিল দরিদ্র্য কোন পরিবার থেকে, শিক্ষার অভাব ছিল তাদের। এই জায়গায় ব্যতিক্রম ছিল মানিয়া সুরভে। ছাত্রজীবনের মেধাটা কর্মজীবনে ঠিকঠাক ব্যবহার করতে শুরু করলো সে। কারাগারে থাকা অবস্থায় জেমস হ্যাডলি চেজের উপন্যাস পড়েছিল সে, ঠিক সেই উপন্যাসের মতো করেই টাকা লুট করার প্ল্যান সাজালো মানিয়া।
রাস্তা থেকে একটা গাড়ি চুরি করলো প্রথমে, তারপর প্ল্যানমাফিক হানা দেয়া হলো সরকারী দুগ্ধাগারে, সেখান থেকে এক লাখ ছাব্বিশ হাজার রূপি লুট করলো মানিয়া গ্যাং। তারপর ব্যবহৃত গাড়িটা ফেলে রেখে গেল বান্দ্রার ন্যাশনাল কলেজের সামনে, জেলে পড়া থ্রিলার বইতে ঠিক যেমনটা ঘটেছিল। একই কায়দায় ডাকাতি করা হলো কানাড়া ব্যাংক আর ডিউক এন্ড সন্স কোম্পানীতে; তাও একই দিনে। প্রায় দুই লাখ টাকা লুটে নেয়া হয়েছিল এই দুই জায়গা থেকে।
ডাকাতি ছাড়াও ড্রাগ স্মাগলিং আর চাঁদাবাজির সঙ্গেও জড়িত ছিল মানিয়া গ্যাং, এই ডাকাতিগুলোর ফলে বোম্বের আন্ডারগ্রাউন্ডে মানিয়ার নাম ছড়িয়ে পড়ে খুব দ্রুত, প্রতিপক্ষের সমীহ আদায় করে নিতে শুরু করে সে। বোম্বের মাফিয়াদের মধ্যে তখন তোলপাড়, কে এই মানিয়া? এসেই ত্রাসের সঞ্চার করা শুরু করে দিয়েছে!
প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের কাছে দুশ্চিন্তার প্রতীক হয়ে তো উঠছিলোই, আর সেইসঙ্গে বোম্বে পুলিশের মাথাব্যথারও নাম হয়ে যায় মনোহর অর্জুন সুরভে, ওরফে মানিয়া সুরভে। নিজের বিচারবুদ্ধি আর সিদ্ধান্ত গ্রহণের দারুণ সক্ষমতার জন্যে মানিয়াকে বিশেষভাবে সম্মান করতো তার গ্যাঙের সদস্যেরা। আর শিক্ষিত হওয়ায় মাফিয়া লিডারদের কাছেও খানিকটা সমীহ পেতো সে।
আট. পুলিশের নজর পড়লো সুরভে গ্যাঙের ওপর। তখন বোম্বের আন্ডারগ্রাউন্ডে চলছে অস্থির সময়, খুন হয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের বড়ভাই শাবির ইব্রাহিম। যে পাঠান গ্যাঙের হাতে খুন হয়েছিল শাবির, তাদের প্রত্যেককে সোজা জাহান্নামে পাঠানোর মিশনে নেমেছিল দাউদ। একই সময়ে পুলিশও ধরপাকড় অভিযান শুরু করে ব্যপকহারে, বিশেষ করে সুরভে গ্যাং ছিল তাদের প্রাইম টার্গেট।
এক কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রি থেকে চাঁদা তুলতে এসে ধরা পড়লো শেখ মুনীর, গ্যাঙের বাকীরাও একে একে গ্রেফতার হলো পুলিশের হাতে। অবস্থা বেগতিক বুঝে গা ঢাকা দেয় সুরভে। এদিকে পুলিশের মতো মানিয়া সুরভেকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল দাউদের লোকেরা। কারণ পাঠান গ্যাঙের সঙ্গে সখ্যতা ছিল সুরভের, এমনকি শাবিরের হত্যায় সুরভে জড়িত ছিল এমন অভিযোগও এসেছে দাউদের পক্ষ থেকে।
প্রায় মাস ছয়েক একদম নিরুদ্দেশ হয়েই ছিল সুরভে। ভেবেছিল পরিবেশ শান্ত হলে আবার সব গুছিয়ে নেবে। তখন অপরাধজগতের অবস্থাটাও ছিল বেসামাল। তবে হিসেবটা কষতে সামান্য ভুল করে ফেলেছিল মানিয়া। বোম্বে পুলিশের দুই নাছোড়বান্দা অফিসার ইসাক বাগওয়ান আর রাজা তাম্বাট তার পেছনে লেগেছিলেন, এরা যে হাল ছাড়ার পাত্র নন সেটা জানা ছিল না মানিয়া সুরভে’র।
নয়. আবার ফিরে যাই লেখার একদম শুরুতে, ১৯৮২ সালের এগারোই জানুয়ারি দুপুরবেলাটায়। আম্বেদকর কলেজের গেটে ট্যাক্সি থেকে নেমে এল মানিয়া। প্রেমিকা বিদ্যার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে সে। ছদ্মবেশে থাকা আঠারো জন পুলিশ সদস্য তিনভাগে ভাগ হয়ে ঘিরে ফেলছে তাকে, সেটা বেশ দেরীতেই চোখে পড়লো তার, এমন কিছু হয়তো আশা করেনি সে। মূহুর্তের মধ্যে ক্ষীপ্র হাতে কোমরে গুঁজে রাখা ওয়েবলি এন্ড স্কট রিভলভারটা বের করলো সে, কিন্ত ট্রিগ্রারে আঙুল চেপে ধরার সময়টা সে পেল না।
চারপাশের কোলাহলকে ম্লান করে দিয়ে দুই পুলিশ অফিসার ইসাক বাগওয়ান আর রাজা তাম্বাটের রিভলভার গর্জে উঠলো সহসাই, একবার, দু’বার, তিন...চার...পাঁচবার! নিজের বুক আর পেট বেয়ে নামতে থাকা রক্তের ধারাগুলোর দিকে অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো মানিয়া সুরভে! বোম্বের ইতিহাসে সেটাই প্রথম এনকাউন্টারের ঘটনা! কথিত আছে, দাউদ ইব্রাহিম নাকি দিল্লীতে পুলিশের বড়কর্তাদের টাকা খাইয়ে মানিয়াকে এনকাউন্টার করার আদেশ আনিয়ে নিয়েছিল। পুলিশকে মানিয়া’র অবস্থানের খবরও নাকি দাউদই জানিয়েছিল।
আবার অনেকে বলেন মানিয়া সুরভের প্রেমিকা বিদ্যার কাছেই পুলিশ মানিয়া’র ব্যপারে তথ্য নিয়েছিল। তার জীবনী অবলম্বনে বানানো সিনেমা ‘শুটআউট এট ওয়াদালা’তেও তেমনটাই দেখানো হয়েছিল। সেখানে মানিয়া'র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জন আব্রাহাম। তবে গল্পের প্রয়োজনে কাহিনীর অনেক জায়গাতেই অল্পবিস্তর পরিবর্তন আনা হয়েছিল।
দশ. বুকে আর কাঁধে পাঁচটা গুলি খেয়েও বেঁচে ছিল মানিয়া সুরভে। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয় তাকে, সিওন হাসপাতালে নিয়ে যাবার উদ্দেশ্যে। অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে পুলিশদের গালাগালি করেছিল মানিয়া, বলেছিল তার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি। কিন্ত বেশীক্ষণ সইতে পারলো না শরীর, ক্রমাগত রক্তপাত দুর্বল করে দিয়েছিল তাকে। অ্যাম্বুলেন্সও বারো মিনিট দূরত্বের রাস্তা পেরোতে সময় নিয়েছিল ত্রিশ মিনিট! অ্যাম্বুলেন্সের বেডেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিল মানিয়া সুরভে- যে ছেলেটার সন্ত্রাসী হবার কথা ছিল না, ভাগ্য যাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে ইচ্ছেমতোন!
পরিশিষ্ট- দু’বছরের রাজ্যপাট শেষ হলো মানিয়া সুরভে’র। এই দুই বছরেই সে কাঁপিয়ে দিয়েছিল বোম্বের আন্ডারওয়ার্ল্ড, ভীতির সঞ্চার করেছিল বাকী মাফিয়াদের মনে। বলা হয়, এক মানিয়া সুরভে দুই বছর সময়কালে দাউদ ইব্রাহিমের যতটা ক্ষতি করেছিলেন, সেটা এখনও পর্যন্ত দাউদের বাকী সব প্রতিপক্ষ আর দুনিয়ার তাবৎ পুলিশ মিলেও পারেনি। আর তাই পথের কাঁটা মানিয়াকে সরাতে ঘুম-নিদ্রা হারাম করে কাজে নেমেছিল দাউদ, সফলও হয়েছিল।
মনোহর অর্জুন সুরভে, ভাগ্য যাকে কোনদিন সাহায্য করেনি, উল্টো একের পর এক বিরূপ পরিস্থিতিতে ফেলেছে, সেই ছেলেটা ভাগ্যকে ছুঁড়ে ফেলে শুধু নিজের দুঃসাহস আর বুদ্ধির জোরে বোম্বের বুকে ত্রাসের সঞ্চার করেছিলে একদিন!
তথ্যসূত্র-
*
প্রিয় পাঠক, চাইলে এগিয়ে চলোতে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- আপনিও লিখুন
আরও পড়ুন-