ছোটখাট শীর্ণ একটা মানুষ, গায়ে ময়লা শার্ট- দেখে ঘুণাক্ষরেও কেউ ধারণা করতে পারবে না সে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটাতে পারে। মনে পড়লো গত বছরে কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী রেপ হওয়ার পরের ঘটনার কথা...

রাতটা ছিল আর কয়েকটা রাতের মতোই সাধারণ। খাওয়া দাওয়া শেষে স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে প্রতিদিনের মতো রাত ১১ টার দিকে ঘুমিয়ে পরেছিলেন রানা (ছদ্ম নাম) সাহেব, ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেননি কী বিপদ অপেক্ষা করছে তার জন্য।

২৭ জুলাই তারিখ সকালে নাশতার টেবিলে বসে অভ্যাসমত অফিসিয়াল ফোনের মেসেজ চেক করছিলাম, রাতে আমি ঘুমাতে গিয়েছি প্রতিদিনের মতো দুইটার সময়, গরম ছিল চরম, এর মধ্যে ১ ঘন্টা বিদ্যুত ছিল না, তাই ওয়ারলেস সেটে বলেছিলাম সকল থানায় যেন টহল দল তৎপর থাকে; কারেন্ট যখন আসে ঠিক তার পর পরই আকাশ ভেঙ্গে বজ্রপাত আর মুষলধারে বৃষ্টি। জেলা পুলিশের গ্রুপে পাঠানো শেষ ছবিটি ছিল ওসি রাজারহাট রাজুর, চায়নাবাজার চেকপোস্টে ডিউটি তদারকির।

মেসেজে চোখ বুলাতে গিয়ে দেখলাম ওসি রাজারহাটের মেসেজ- ছিনাই ইউনিয়নের এক বাড়ীতে গভীর সাতে তিনজন দরজা ভেঙ্গে ঢুকে গৃহকর্তাকে মারধর করেছে, সবচেয়ে দুঃখজনক তাদের কিশোরী মেয়ে এই দুর্বৃত্তদের দ্বারা বাড়ির বাইরে নিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দেখে চিন্তিত হলাম,  কুড়িগ্রামে আসার পর এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি, এডিশনাল এসপি সার্কেল উৎপলকে কল করলে সে জানালো ঘটনাস্থলে আছে; সিআইডির ক্রাইম সিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে; ওকে সব কিছু  ভাল করে দেখে, শুনে আপডেট দিতে বললাম। দ্রুত ডিআইজি স্যারকে জানালাম; মূল ঘটনা চুরির উদ্দেশ্যে, নাকি কিশোরী মেয়েটিকে কোনো বখাটে আগে বিরক্ত করতো সেটা জানতে বললেন স্যার।

ঐ দিন নাগেশ্বরী আর ফুলবাড়ীতে দুইটি পূর্ব নির্ধারিত প্রোগ্রাম থাকায় রাজারহাট ঘটনাস্থলে কাজ সেরে যাব ঠিক করলাম; ঐ মুহুর্তে যাওয়া হল না, প্রোগ্রাম শেষে করে বিকাল চারটায় সরাসরি চলে গেলাম মামলার পিও তে। 

ভিকটিমের একতলা সেমি পাকা ঘর, বাড়ীর পেছন দিকটাতে আরেকজনের জমি, যেটা কাটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা; অপরাধীরা প্রবেশ করেছে কাটাতারের বেড়া কোন কিছু দিয়ে কেটে যেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, জং ধরা কাটাতারের খন্ডিত অংশে চকচকে দেখে; বুঝলাম পূর্ব পরিকল্পিত এবং এই জায়গা আগে রেকি না করলে দ্রুত কাজ সেরে চলে যাওয়া সম্ভব না; স্থানটি পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট সীমানা সংলগ্ন; তাই সেখান থেকে আসা কোন সংঘবদ্ধ চক্রের কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে মনে হল।

পাশের পিও থেকে সরাসরি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভিকটিম দুইজনকে দেখতে গেলাম, গৃহকর্তার মাথায় গভীর আঘাত, সম্ভবত ভারী সরু কোন লোহার বস্তুর, কাউকে সন্দেহ করেন কিনা জিজ্ঞেস করলে বললেন, না। পাশের জমির মালিকের সাথেও তেমন কোন বিরোধ নেই; কিশোরী মেয়েটি তার উপর বয়ে যাওয়া পাশবিক নির্যাতনে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তাকে সাহস যোগালাম, বললাম  মনে করো এটা একটা দুর্ঘটনা, এই মেমোরী তোমার মাথা থেকে ডিলিট করে ফেল, কথা বলে জানলাম তার মায়ের ফোনে মাঝে মাঝে আননোন নম্বর থেকে কল করে মূলত তার বড়বোনকে বিরক্ত করত। ঘটনার রাতে বড়বোন নানির বাড়িতে ছিল। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের একজনের বর্ননা পেলাম- লম্বা, ফর্সা, মুখে খোচাখোচা দাড়ি। বললাম কোন চিন্তা করবে না, কথা দিলাম অপরাধীদের ধরবো খুব শীঘ্রই। 

হাসপাতালে পরিদর্শনকালে 

বাসায় ফিরে বিকাল পাঁচটার পর লাঞ্চ করে একটু রেস্ট নিয়ে সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে বসলাম অফিসারদের নিয়ে, দ্রুততম সময়ে আসামীদের গ্রেফতার করাই মূল কাজ এখন।

ঘটনার পরদিনই RAB এর সিও মহোদয় তার একটি টিমসহ চলে এলেন; তারাও ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করলেন। সিও'র সাথে কথা বলে মনে হল আমরা যে আঙ্গিকে এগোচ্ছি, তারাও একই ধারায় তদন্ত করছেন। যে কোন মূল্যে আসামী গ্রেফতারই মূল লক্ষ্য, তাই তাদের সকল সাপোর্ট আমরা দিবো বলে রাখলাম, তবুও মনে মনে ভাবছি এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। তদন্তে দ্রুততার জন্য এডিশনাল এসপি উলিপুর সার্কেল মাহমুদকে দিয়ে একটি টিম করে দিলাম।

আধুনিক তদন্তের প্রথাগত সকল পদ্ধতি অনুসরন করলেও তিন দিন কোন সূত্রই পাচ্ছিলাম না, একটু হতাশ লাগলো। এর মধ্যে অতি উৎসাহী কিছু এলাকাবাসী ঘটনার বিচার চেয়ে মানব বন্ধন করলেন দুই দিন, মানববন্ধনের এই কালচার দেখে মনে হয়- নেতা সাজার জন্য সবাই-ই মরিয়া, আমাদের টিম যেখানে দিনরাত কাজ করছে , সেখানে এই ধরনের মানববন্ধন মানসিক চাপ তৈরী করে কাজের গতি নষ্ট করে, এটা এই এলাকার সহজ সরল মানুষ কবে বুঝবেন কে জানে! দুই  দিন পর ঈদ, ঈদকে সামনে রেখে আবার কাজের গতি যাতে কমে না যায় সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক করি আর অপেক্ষা করতে থাকি সুখবরের; এর মধ্যে সদর সার্কেল উৎপল জানালো আশার আলো পাওয়া গেছে; ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আসামীদের সাথে যোগাযোগ হয়েছে এরকম একজনকে ট্রেস করা গেছে। 

খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, ঘটনার পরদিন (মূলত ঘটনার পরের সকাল) ঐ ব্যক্তি একটি মামলায় জামিন পেয়ে জেল থেকে বের হয়েছে, দ্বিধায় পরলাম ঘটনার রাতে তো সে জেলে, তাহলে ঘটনার সাথে জড়িত থাকা কীভাবে সম্ভব? বললাম ভালভাবে অনুসন্ধান করতে; সারা দিন লেগে থেকে তাকে ট্রেস করা গেল তার স্ত্রীর মাধ্যমে, তবে তিনি হাওয়া! জেল থেকে বের হয়ে স্ত্রীর সাথে দেখা করলেও চলে গেছেন অন্যত্র। লেগে থাকলো আমাদের টিম, অবশেষে পেলাম তাকে। সে ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলেও আসামীদের একজনের স্ত্রীর সাথে তার স্ত্রীর পরিচয় আছে।

ঈদের আগের দিন খবর পাওয়া গেল সন্দেহভাজন এক  আসামী বাসে করে ভূরুঙ্গামারী থেকে ঢাকা যাবে। চারটা টিম মোতায়েন করে চেকপোস্ট করে সারা দিনেও যখন হদিস পাওয়া গেল না, তখন হতাশা একটু গ্রাস করলো। ঈদের দিন নামাজের পর এডিশনাল এসপি মাহমুদ ও উৎপল সারাদিন পরে থাকলো ভূরুঙ্গামারী, পুলিশ লাইনে অফিসিয়াল প্রোগ্রাম থাকলেও ওরা দুপুরের খাবার খেল থানায়। রাতে যখন আপডেট দিতে আসলো তখন রাত ৯ টা; ঈদের রাতে ডিসি সাহেবের বাসায় দাওয়াত থাকায় ওদের খালি মুখেই বিদায় দিলাম। ডিটেইল শুনে একটু আশার সঞ্চার হল যে অচিরেই আসামীদের পাওয়া যাবে। একজন ঢাকার সাভারে অবস্থান করছে, তবে অতি সতর্ক; বাকি দুইজন কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে আছে। জড়িতদের এখন শুধু এরেস্টের অপেক্ষা।

অপারেশনের ছক রেডি করা হল, দুইজনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে, একটা টিম ঢাকা যাবে পলাতক আসামী সালামকে ধরতে; সকল কিছু রেডি করে রওনা হওয়ার আগে জানা গেল সে ঢাকা ছেড়ে কুড়িগ্রাম রওনা করেছে। যাক, পাখি নিজেই খাচায় আসছে! টোপটাও দারুন; তাদের নেতা ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী কালামের স্ত্রীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক; কালাম গ্রেফতার হওয়ার পর আমাদের কাছে অভিযোগ করে যে যেদিন সালাম এলাকায় আসে, সেদিনই তার স্ত্রী নতুন কাপড় পরে, প্রসাধনী দিয়ে সাজে। 

৮ আগষ্ট এক সাথে দুই টিম অভিযানে নামল; রাজারহাট ঘটনাস্থলের কাছেই আসামী সালামের বাড়ি থেকে তাকে এরেস্ট করা হল। ভোররাতে ধরা পরল মালেক, বাড়ী লালমনিরহাট। আগে অটো চালাতো। এখন চুরিই পেশা। তার বাড়ি থেকে তাকে চার-পাঁচ জন পুলিশ টেনে নিয়ে আসতে প্রচন্ড কষ্ট হয়েছে। আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দায় অস্বীকার করে একজন আরেক জনের উপর দোষ চাপাতে লাগল তারা; অপরাধীদের এই এক বৈশিষ্ট্য জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে যতটুতু তথ্য থাকবে তা ব্যতীত সহজে মুখ খুলবে না। 

তবে বাবাজীদের কপাল খারাপ, ইতিমধ্যে যথেষ্ট তথ্য প্রমান পুলিশের হাতে চলে এসেছে। দুইজনকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদে সুর সুর করে সব স্বীকার করল। মূলত চুরির উদ্দেশ্যে তারা বাড়ির পেছনের তারকাটার বেড়া কেটে বারান্দায় প্রবেশ করার পর বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢোকে, টাকা পয়সা নেয়ার পর কিশোরী মেয়েটির উপর ঝাপিয়ে পরে। ঘটনার পর সালাম পালিয়ে ঢাকা চলে যায়; নাটের গুরু কালামের অবস্থান তখনও ভূরুঙ্গামারী; আমাদের জালে সেও ধরা পরলো ঐ রাতেই। থানায় গিয়ে কালামকে দেখে রীতিমত আশাহত হলাম, ছোটখাট শীর্ন একটা মানুষ, গায়ে  ময়লা শার্ট, দেখে ঘুনাক্ষরেও কেউ ধারণা করতে পারবে না সে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটাতে পারে। 

ঘটনাস্থান পরিদর্শনকালে 

মনে পরলো গত বছরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী রেইপ হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে, পুলিশ যখন ক্লু লেস এই মামলার আসামী গ্রেফতার করে তখন একদল বিশ্বাস করেনি যে সে আসামী,  অনেকেরই ধারণা ধর্ষক হতে হলে শক্ত সমর্থ্য পুরুষ হতে হবে, কিন্তু অপরাধীদের মনস্তত্ব বড় অদ্ভুত। কালামকে দেখে প্রবল ঘৃণা বোধ করছিলাম, সন্ধ্যার পর ভিকটিমকে দেখে এসেছি, এখনও বেশ অসুস্থ।  তার একটাই চাওয়া- বিচার হোক; তার চোখের পানি দেখলে যে কেউই বলবেন আসামীদের তাৎক্ষনিক বিচার করতে; আইন তো তা সমর্থন করে না। এই নরপিশাচদের বিচার কতদিনে করতে পারবো? 

সবই খুলে বলল কালাম। তারই পরিকল্পনাতেই মূল ঘটনা ঘটে, সালাম বাদীর স্ত্রীর কানে সোনার দুল দেখে টার্গেট ঠিক করে, তাদের ধারণা হয় ঐ বাড়িতে আরও স্বর্ণালংকার আছে, পাশাপাশি বাড়িটা একটা নির্জন জায়গায় হওয়ায় সহজ টার্গেট। ঘটনার আগের দিন রাতেই তারা নিজেদের মধ্যে মোবাইলে  যোগাযোগ করে কাছাকাছি একত্রিত হয়, সালামের বাসা থেকে ছোট শাবল জাতীয় অস্ত্র (লোকালি কয়াল নামে পরিচিত) নিয়ে আসে। 

রাতে ঘটনা ঘটানোর সময় প্রচন্ড বৃষ্টিতে চারপাশে কোন শব্দ শুনতে পাওয়ার কথা না, এই সুযোগটা তারা কাজে লাগায়, ঘটনা ঘটিয়ে তাড়াহুড়ো করে পালাতে গিয়ে তাদের মধ্যে একজন একটা শার্ট ফেলে যায়; শার্টের পকেটে ডারবি সিগারেট; শার্টের মালিককে জিজ্ঞেস করায় সালাম ও কালাম একে অপরকে দায়ী করে, আবার দুইজনই ডারবি সিগারেট খায়। শার্টটা উদ্ধার হওয়ার পর যখন প্রথম দেখি তখন মনে হচ্ছিল লোকাল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ছবিগুলো সব যাচাই করে এই শার্টের কাউকে পাওয়া যায় কিনা! কাজটা একেবারে অসম্ভব, তবে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কোন তৎপরতাই বন্ধ রাখিনি আমরা। এখন শার্টের মালিক বের করা খুব কঠিন কিছু না, সালামের উচ্চতা কালামের চেয়ে অনেক বেশী; শার্টটা তার গায়ে ছোট হল; কালামের গায়ে একবারে সুন্দর ফিট হল, এবার আর কালাম অস্বীকার করল না। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে নাগেশ্বরীর যে দোকানে কালাম নিজের স্ত্রীর গয়না বলে স্বর্ণ বিক্রি করেছে, সেটার খোঁজ পাওয়া গেল, মালিকও বললেন তিনি সরল বিশ্বাসে কিনেছেন, এই বিষয়ে আদালতে সাক্ষীও দিলেন। ভিকটিমের একটা মোবাইল উদ্ধার করা হল কালামের এক স্কুল পড়ুয়া শ্যালকের কাছ থেকে; ঘটনার পর যে অটোতে করে তারা পালিয়েছে, সে অটো চালককেও সনাক্ত করা হয়েছে সাক্ষী হিসেবে, ঘটনা সংক্রান্তে মিডিয়া ব্রিফিং করলেও আমরা আসামীর কোন ছবি প্রকাশ করিনি, মামলার তদন্তের স্বার্থে। 

ভিকটিম দুইজন তিন আসামীকে আদালতে টিআই প্যারেডের মাধ্যমে সনাক্ত করেছেন। মালেক তার দোষ স্বীকার করে প্রথমে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়; কালাম ও সালামের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৫ টি ও ৩ টি চুরির মামলা পাওয়া গিয়েছে রংপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানায়। তারা পেশাদার অপরাধী হওয়ায় আমরা আশংকা করেছিলাম তারা আদালতে দোষ স্বীকার করতে চাইবে না, মালেকের ১৬৪ ধারার জবানবন্দী শুনে বিজ্ঞ মেজিস্ট্রেট নিজে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করে সালাম ও কালামের কাছ থেকে ঘটনার বিবরন শুনেছেন, জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন; তাদের  বিরুদ্ধে  সকল তথ্য প্রমাণসহ দ্রুত আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হবে।

এই মামলাটির রহস্য উদঘাটন আমাদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল; ঘটনাটি জেলায় আলোড়ন তুলেছিল, সবচেয়ে বড় কথা কিশোরী মেয়েটিকে দেয়া কথা রাখতে পেরেছি আমি। এই মামলার আরেকটি বড় দিক হল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মামলার রহস্য উদঘাটন হলেও তদন্ত শুধুমাত্র ১৬৪ ধারার জবানবন্দিনির্ভর হয়, দিনরাত কষ্ট করে সফল অভিযানের মাধ্যমে আসামী গ্রেফতার করা হলেও, পেশাদার অপরাধীরা আদালতে যাওয়ার পর মুখে তালা মেরে বসে থাকে; তখন সকল পন্ডশ্রম; এই মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট বস্তুগত সাক্ষ্য রয়েছে যা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে হয়তো।

** মামলাটি তদন্তাধীন বিধায় আসামীর ছবি প্রকাশ করা হলো না

তথ্যসূত্র কৃতজ্ঞতা: পুলিশ সুপার, কুড়িগ্রাম ফেসবুক পেজ 


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা