ইতালি থেকে করোনাভাইরাসের সম্ভাবনা নিয়ে ঢাকায় এলো শতাধিক যাত্রী!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
কতটুক উদাসীন হলে করোনাভাইরাসের সম্ভাবনা ভর্তি একটি ফ্লাইটকে অনুমতি দেয়া হলো আসার জন্য? বাকি দেশগুলো যেখানে করোনা-আক্রান্ত দেশ থেকে আসা সকল ফ্লাইট নিষদ্ধ করে দিয়েছে। আমরা সেখানে সব খুলে বসে আছি আক্রান্ত হবার জন্য।
এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে আজকে ১৪ই মার্চ, শনিবার সকাল ৮টায় ইতালি থেকে এসেছে পৌঁছেছেন শতাধিক যাত্রী। ঢাকায় আসার পর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাদের সরাসরি নেওয়া হয়েছে আশকোনার হজ ক্যাম্পে। সম্ভাব্য ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এই ব্যক্তিদের সেখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিমানবন্দরে নামার পর পুলিশ পাহারায় বিআরটিসির কয়েকটি বাসে এই ব্যক্তিদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে নেওয়া হয়।
চীনে তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটানোর পর এখন ইউরোপের দেশ ইতালিতে এই ভাইরাস সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়ে দেখা দিয়েছে। সেখানে কভিড-১৯ রোগে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। আক্রান্তের সংখ্যাও ১৭ হাজারের বেশি। বাংলাদেশে যে তিনজনের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের দুজনই এসেছেন ইতালি থেকে।
ইতালি থেকে আসা আরও অনেককে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখার মধ্যে একসঙ্গে শতাধিক ব্যক্তিকে নিয়ে শনিবার এল এমিরেটসের ফ্লাইটটি। রোম থেকে দুবাই হয়ে সকাল ৮টায় এই ব্যক্তিরা ঢাকায় আসেন বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিমানবন্দর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. শাহারিয়ার সাজ্জাদ। বিমানটিতে কতজন এসেছেন- জানতে চাইলে সংখ্যাটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি ডা. শাহরিয়ার।
তিনি বলেন, “অ্যাডজেক্ট ফিগারটা এখনও বলতে পারছি না। সাড়ে ৫টায় দুবাই থেকে যখন ফ্লাইট ডিপার্চার করে, তখন আমাদের জানানো হয়েছিল ১২৫ জন পূর্ণ বয়স্ক এবং দেড় বছরের একটি শিশু।পরে আমরা হিসেব মেলাতে গিয়ে দেখি মেলে না। সংখ্যাটি বেশি হতে পারে। এখন আমরা নিয়ে এসেছি, দেখতে হবে কত এসেছেন।”
ইতালির ভেনেতো রিজিওন থেকে ভেনিস এয়ারপোর্ট হয়ে এমিরাতের শেষ ফ্লাইট যোগে তারা বাংলাদেশে ফিরছেন বলে ইতালির গণমাধ্যম লিখেছে। এদিকে এ বিষয়ে কামরুল হাসান মামুন নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, এবার যদি সত্যি সত্যি সরকার আন্তর্জাতিক মানের কোয়ান্টেইন না করে তাহলে ডিসেস্টর হওয়ার সম্ভবনা দেখছি। এটা খুব সিরিয়াস ব্যাপার।'
তিনি আরো বলেন, এই মানুষগুলার কি নিজেদের পরিবার পরিজনের প্রতি মায়া নাই? দেশের মানুষজনের প্রতি মায়া নাই। ওই রকম একটি উন্নত চিকিৎসার দেশ ছেড়ে ওখান থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে আসার কোন মানে হয়?