জীবন যদি যুদ্ধক্ষেত্র হয়, তবে সালমান খান হয়ে যান!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
𝐈𝐟 𝐋𝐢𝐟𝐞 𝐊𝐢𝐜𝐤 𝐘𝐨𝐮 𝐇𝐚𝐫𝐝𝐞𝐫, 𝐁𝐞 𝐋𝐢𝐤𝐞 𝐒𝐚𝐥𝐦𝐚𝐧 𝐊𝐡𝐚𝐧.
'ট্রাইগমিনাল নিউরালজিয়া' নামে এক ভয়ংকর রোগ আছে, যে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সুইসাইড করে। এজন্য এই রোগকে 'Suicide Disease' বলা হয় । আপনি জানলে অবাক হবেন যে সালমান খান প্রায় ৩০ বছর যাবৎ এই রোগে ভুগছেন। পৃথিবীতে খুব কম ব্যক্তিই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে এতো বছর ধরে সার্ভাইভ করতে পারছেন, তাদের মধ্যে সালমান একজন। এখনো সালমান প্রতিনিয়ত এই রোগের সাথে লড়ছেন।
২০০১ সালে সালমান বলেছিলেন, এই রোগের কারণে তাঁর মাথায় অনেকবার সুইসাইডের চিন্তা এসেছে, কিন্তু তিনি কখনো হার মানেননি। তিনি রাতের পর রাত ঘুমোতে পারতেন না, তবুও লড়াই চালিয়ে গেছেন।
শুধু এটা নয়, সালমান জীবনে এমন সব জিনিস ফেইস করেছে যা মানুষকে মানসিকভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে। প্রথমেই তাঁর কোর্ট কেসের কথা বলি, প্রায় ২০-২৫ বছর যাবত এই কেসগুলো লড়ছেন, জেলও খেটেছেন। এখনও যোধপুরে গিয়ে হাজিরা দিতে হয়, ইভেন এখনও তাঁর বিদেশ যেতে হলে তিনটা থানা ঘুরিয়ে আদালতের পারমিশন নিয়ে তারপর পারমিট আসে।
বলিউডে একটি কথা আছে, মিডিয়ার সাথে লড়াই করে কেউ বলিউডে টিকতে পারে না। অথচ সালমান আর মিডিয়ার সম্পর্ক সবসময় দা কুমড়ো ছিল। অনেক বড় বড় ক্রিটিক-জার্নালিস্টরা এটা অকপটে স্বীকার করেন যে মিডিয়া সবসময় সালমানের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।
একটা সময় পিআর এজেন্সি বুক করা হয়েছিল সালমানের বিরুদ্ধে নেগেটিভিটি করার জন্য, সালমান খান ব্র্যান্ডকে নষ্ট করার জন্য। অথচ এসব কিছুর সাথে লড়াই করে সালমান এখনো নাম্বার ওয়ান হয়ে আছেন।
প্রেমসম্পর্কিত সমস্যাগুলো কতোটা ভয়ংকর সেটা সকলেই জানেন । এখানেও সালমান সবচেয়ে বেশি সমস্যা আর কন্ট্রোভার্সি ফেইস করেছেন। এগুলো নিয়ে একটা উপন্যাস লেখা যাবে। এসব কারণে সহকর্মীদের সাথে ঝামেলাও হয়েছে অনেক। কখনো বিবেকের সাথে, কখনো বা শাহরুখ খানের সাথে।
কিন্তু এতসব কন্ট্রোভার্সি নেগেটিভিটি তাকে একটু ও মানসিকভাবে দূর্বল করতে পারে না। অথচ নিজের সবচেয়ে খারাপ সময়ে সহকর্মী আমির খান যখন ডিপ্রেশনে গিয়ে ঘরবন্দি হয়ে গিয়েছিলেন, তখন এই সালমান গিয়ে তাকে ঠিক করে তুলেন। সবাই ঠিকই বলে- এই লোক আসলেই অন্য ধাতুর তৈরী!
সালমান অসম্ভব মানসিক শক্তির অধিকারি, হাজার কঠিন সিচুয়েশনে সে নিজেকে শক্ত রাখতে পারে। তাঁর আরেকটা শক্তি হচ্ছে পরিবার আর বন্ধুবান্ধব। এখনো দুই বেডরুমের ফ্ল্যাটে পরিবারের সাথে থাকেন, কারণ তিনি জানেন এটাই মানুষের সবচেয়ে বড় সাপোর্ট।
সেলিম সাহেব একবার বলেছিলেন, সালমান যত বড় ঝামেলায় পড়ুক না কেন, সে কখনো প্যানিক নেয় না। কখনো রাগ হলে জিমে গিয়ে ক্যালোরি বার্ন করতে শুরু করেন, তাঁর লড়াই নিজের সাথে। সুলতানের ডায়লগটা তাঁর সাথেই সবচেয়ে সুন্দর মানায়- "কোয়ি তুমে তাব তাক নেহি হারা সাকতে, যাব তাক তুম খুদছে না হার যাও"। মানুষটা পর্দায় যেমন দাবাং, বাস্তব জীবনেও তেমনি দাবাং।
এই লোকটার মতো হওয়ার চেষ্টা করুন। জীবনে বাধা-বিপত্তি, ঝড়, ডিপ্রেশন আসবে, কিন্তু হার মানা চলবে না। যোদ্ধা হও, জীবনটা যুদ্ধক্ষেত্রের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। নিজের সাথে যুদ্ধ করো, কখনো হাল ছেড়ো না। Be a Tiger, Keep Roaring & fighting.