আমরা প্রায়ই দেখি বিয়ে বাড়ির গেইটে অনেক সুবিধাবঞ্চিত মানুষ অপেক্ষা করে একটু ভালো খাবারের আশায়। অথচ তাদের কপালে খারাপ ব্যবহার ছাড়া কিছুই জোটে না। এই মানুষদের জন্য সহমর্মিতা থেকেই এ ধরণের আয়োজনে উৎসাহিত হয়েছেন আয়োজকেরা।
জীবনের নতুন অধ্যায় শুধু করলেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে। কয়জন পারে এমনটা করতে? সামাজিক রীতিনীতি ও অনেকর বিরক্তি এড়িয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের দাওয়াত করে খাওয়ানো আসলেই চ্যালেঞ্জিং একটি ব্যাপার।
এমনই এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটির একজন গবেষক। তার নাম মুনীরা। ঢাকার ইস্কাটনে নিজে বিয়ের আয়োজনে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের, সাথে তাদের জন্য নতুন জামা কাপড়ের ব্যবস্থাও করেন তিনি। প্রাণোচ্ছল শিশুদের উপস্থিতিতে এ বিয়ে যেন অন্যরকম একটি আবহ তৈরি করেছে।
ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেছে এই বিয়ের ছবি। প্রশংসায় ভাসছেন এই নবদম্পতি। সাধুবাদ পাচ্ছেন এই সাহসী পদক্ষেপের জন্য। সম্পূর্ণ ব্যাপারটি আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে তারা। তাদের অন্যতম সফল প্রজেক্ট হচ্ছে ‘এক টাকার আহার’, এরই মাধ্যমে তারা সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে।
আমরা প্রায়ই দেখি বিয়ে বাড়ির গেইটে অনেক সুবিধাবঞ্চিত মানুষ অপেক্ষা করে একটু ভালো খাবারের আশায়। অথচ তাদের কপালে খারাপ ব্যবহার ছাড়া কিছুই জোটে না। এই মানুষদের জন্য সহমর্মিতা থেকেই এ ধরণের আয়োজনে উৎসাহিত হয়েছেন আয়োজকেরা।
সঙ্গীত, মেহেদি, ব্রাইডাল শাওয়ার, প্রি ওয়েডিং, ওয়েডিং, পোস্ট ওয়েডিং- এত কিছুর ভিড়ভাট্টায় খেয়াল করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে একবেলা খাবার তুলে দেয়া প্রচন্ড তাপদাহে দখিনা বাতাসের মতন। জয় হোক এ সহমর্মিতার, জয় হোক মানবতার। এ দেশের মানুষের অন্তর ভালোবাসায় পূর্ণ হোক।