আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যদি অসুস্থ বোধ করেন তবে এই লক্ষণসমূহের সাথে মিলিয়ে দেখুন- করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা!

যদি আপনি অসুস্থ বোধ করে থাকেন তবে কিভাবে বুঝবেন আপনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত? দিন অনুযায়ী লক্ষ্মণসমূহ মিলিয়ে দেখুনঃ 

দিন ১ থেকে ৩ 

সাধারণ সর্দি-কাশি, হাঁচি, হাল্কা গলা ব্যথা, তেমন কোনো জ্বর থাকবে না। আপেক্ষিক ভাবে সুস্থ বোধ করবেন এবং খাওয়া দাওয়া করতে সমস্যা হবে না।  

দিন ৪

গলা ব্যথা প্রথম ৩ দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। মাথা ঘোরানো ও কিছুটা ভারসাম্যহীন অনুভব করা। কথা বলতে কষ্ট হওয়া, শরীরের তাপমাত্রা 36.7°c এর আশেপাশে। খাওয়া দাওয়া করতে সমস্যা হওয়া। হাল্কা মাথা ব্যথা,অনেক সময় ডায়রিয়ার মতো হওয়া।  

দিন ৫

গলা ব্যথা পূর্বের চেয়ে বেশি। কথা বললে গলায় বেশি ব্যথা করা। দেহের তাপমাত্রা ৩৬.৫°-৩৬.৭° এর কাছাকাছি। শারীরিক দুর্বলতা ও জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা।

দিন ৬

জ্বরের তীব্রতা আস্তে আস্তে বেড়ে 37°c এর আশেপাশে থাকা। শুকনা কাশি শুরু হওয়া। কথা বলার সময় বা ঢোক গিলতে গেলে ব্যথা করা। অস্বাভাবিক দুর্বলতা,বমি বমি ভাব, মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট হওয়া। হাতের আঙুলগুলোতে ব্যথা শুরু হওয়া। বমি, ডায়রিয়া।

দিন ৭

উচ্চমাত্রায় জ্বর (37.4°c - 37.8°c), কফ সহ কাশি, মাথা ও শরীর ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া বৃদ্ধি পাওয়া।

দিন ৮

জ্বরের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে 38° বা 38°C এর উপরে চলে যাওয়া। শ্বাসক্ষট এবং প্রতিবার শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়ার সময় বুক ভার ভার লাগা। বিরতিহীন কাশি। মাথা ব্যথা, জয়েন্ট ব্যথা এবং কোমরের মাংস ব্যথা।

দিন ৯

আগের সকল লক্ষণস্মূহ থাকবে তবে সেগুলো মারাত্মক আকার ধারন করবে। যেমন: জ্বরের অবস্থা আরো অবনতি, শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। এগুলোর যেকোনো একটা লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত IEDCR এর ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায়, তাদের ঝুঁকি বেশি।

উল্লেখিত তথ্যসমূহ অনুসরন করুন

 

(Singapore Health Ministry এর Data Analysis করে Dr. Richard Matta এই গাইডলাইন প্রকাশ করেছেন)


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা