টেনেট শুট করার সময় ভিক্টোরভিল, ক্যালিফর্নিয়ায় যখন লোকেশন স্কাউটিং চলছিলো তখন তারা পুরোনো প্লেনের একটা ম্যাসিভ আরের সন্ধান পান। দুইশো মিলিয়নের উপর টেনেট সিনেমার বাজেটের হিসেব কষে দেখলেন সিজিআই এবং মিনিয়েচার দিয়ে দৃ্শ্যটা শুট করার চাইতে, একটা আসল বিমান কিনে সেটা দিয়ে করলেই বেশি এফিশিয়েন্ট হয়।

৫ মিলিয়ন দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভিন্টেজ এয়ারক্রাফট কিনেছিলেন ‘ডানকার্ক’ এর শুটিংয়ের জন্য। ‘ইন্টারস্টেলার’ জন্য ৫০০ একর জমিতে ভুট্টা বুনে ক্ষেত বানিয়েছিলেন। শুটিং শেষে সেটা বিক্রী করে মুনাফাও গুনেছেন।

‘দ্য ডার্ক নাইট’ এ হাসপাতালের পুরো বিল্ডিংটাই উড়িয়ে দিয়েছেন, বিগ ট্রাক ফ্লিপটা আসলেই ঘটিয়েছিলেন, এক্সপ্লোসিভের সিকুয়েন্স শুট করার সময় একটা আইম্যাক্স ক্যামেরাও উড়িয়ে দিয়েছিলেন- যার তৎকালীন মূল্য ছিলো হাফ মিলিয়নেরও বেশি। আর তখন পুরো দুনিয়ায় আইম্যাক্স ক্যামেরা ছিলো মাত্র চারটা।

‘মেমেন্টো’ এর আউটলাইন লিখেছিলেন ভাইয়ের সাথে রোড ট্রিপে গিয়ে। আবার ‘ইনসেপশন’ স্ক্রিপ্ট লিখেছেন দশ বছর ধরে। সেইটার রোটেটিং হলওয়ের শুটিং করেছেন সেট ডিজাইন করে। পারতপক্ষে বাস্তবসম্মত দৃশ্যায়নের জন্য এই নির্মাতা পাগলামির শেষ সীমাটুকুও ছাড়িয়ে যান।

মিঃ হাইজিন: জীবাণুমুক্ত হাতের প্রতিশ্রুতি 

সম্প্রতি, তার আপকামিং সিনেমা ‘টেনেট’ এর জন্য একটা বোয়িং ৭৪৭ বিমানের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। জাংকইয়ার্ড থেকে কেনা বিমানটা বেশ পুরোনো হলেও আসল। বিজনেস ইনসাইডার, আইএমডিবি, ইয়াহু, ইন্ডিওয়্যার এর মতো সাইটে বোয়িং বিমান কিনে শুট করার নিউজটা এসেছে।

জিকিউ ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাতকারে টেনেটের অন্যতম অভিনেতা রবার্ট প্যাটিন্সন জানিয়েছেন, তারা ৫০০ জনের বিশাল ক্র্যু নিয়ে বিভিন্ন দেশ ঘুরেছেন। প্রত্যেকটা দেশের সেট ডিজাইন এতোটাই এনোর্মাস ছিলো, যার যেকোনো একটা সেটে কোনো এভারেজ মুভির ক্লাইমেক্স শুট করা যেতো। একটা বোয়িং প্লেন উড়িয়ে দেয়াটা সামনে থেকে দেখেছেন তিনি। পুরো ইনসেন ছিলো ব্যাপারটা।

টেনেট সিনেমার সেই বোয়িং বিমান বিস্ফোরণের দৃশ্য 

টেনেট শুট করার সময় ভিক্টোরভিল, ক্যালিফর্নিয়ায় যখন লোকেশন স্কাউটিং চলছিলো তখন তারা পুরোনো প্লেনের একটা ম্যাসিভ আরের সন্ধান পান। তখনই মূলত আইডিয়াটা আসে। দুইশো মিলিয়নের উপর টেনেট সিনেমার বাজেটের হিসেব কষে দেখলেন সিজিআই এবং মিনিয়েচার দিয়ে দৃ্শ্যটা শুট করার চাইতে, একটা আসল বিমান কিনে সেটা দিয়ে করলেই বেশি এফিশিয়েন্ট হয়। যেই ভাবা, সেই কাজ। মানুষটা ক্রিস্টোফার নোলান বলেই এসব সম্ভব।


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা