অনলাইন জগতের সকল বাসিন্দাদের জন্য একটি সচেতনতামূলক লেখা। পড়ুন, জানুন, বুঝুন। এবং সবাই নিরাপদে থাকুন।

লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলামকয়েকজন ভদ্রলোকের ব্যাংক একাউন্ট থেকে নিজের অজান্তে/অজ্ঞাতসারে অন্যের একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‍্যাব-১২ একটি চক্রকে সনাক্ত করে। চক্রের একজন হ্যাকারের ভাষ্যমতে জানা যায়, উক্ত হ্যাকার বিভিন্ন ব্যক্তির ফেসবুক মেসেঞ্জারে "ফ্রি ফেসবুক ব্যবহার করতে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন" টাইপ একটা লিংক পাঠায়।

ফেসবুক লিংকে ক্লিক করার পর পুনরায় ফেসবুকে লগইন করার জন্য একটি পেইজ/উইন্ডো আসে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় এটি স্বাভাবিকভাবে পুনরায় লগইন করা হচ্ছে কিন্তু বাস্তবতা হলো এই পেজটিতে/উইন্ডোতে ইউজারনেম পাসওয়ার্ড দেওয়ার সাথে সাথে তা হ্যাকার পেয়ে যায় এবং ফেইসবুক একাউন্টটি তার দখলে নেয়। ফেসবুকের সাথে কানেক্টেড জিমেইল আইডি ছিলো সেটাও হ্যাকার তার দখলে নেয়। 

জিমেইল অ্যাকাউন্টটি ব্যাংকের একাউন্টের/লেনদেনের সাথে কানেক্টেড ছিল। হ্যাকার ওই জিমেইল দিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর জন্য ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড চায় এবং স্বাভাবিকভাবেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেটা মেইলে দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে সে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে একাউন্ট থেকে টাকা অন্য একাউন্টে সরিয়ে নেয়।

লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম, অধিনায়ক, র‍্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন-১২, সিরাজগঞ্জ 



তাহলে আমাদের করণীয় বিষয়সমূহ-

  • প্রথমত- কোনভাবেই অপরিচিত/লোভনীয় বিজ্ঞাপনের কোন লিংকে ক্লিক করা যাবে না। ক্লিক করলেও নতুনভাবে লগ ইন করার জন্য ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দেয়া যাবে না।

  • দ্বিতীয়ত- ফেসবুক এবং মেইল আইডির পাসওয়ার্ড ভিন্ন ভিন্ন থাকতে হবে।

  • তৃতীয়ত- ফেসবুক এবং মেইল আইডিতে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করতে হবে। (হ্যাকারের ভাষ্যমতে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন থাকলে সাধারণত হ্যাক করা যায় না)

  • চতুর্থত- ফেসবুক এবং মেইল আইডির পাসওয়ার্ড ফ্রিকোয়েন্টলি চেঞ্জ করতে হবে।

অনলাইন জগতের সকল বাসিন্দাদের জন্য একটি সচেতনতামূলক লেখা। পড়ুন, জানুন, বুঝুন। এবং সবাই নিরাপদে থাকুন। 

লেখক-  লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম, অধিনায়ক, র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন-১২, সিরাজগঞ্জ 

 

আরও পড়ুন- 

 


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা