সালেহা জাবীন: আমেরিকান এয়ারফোর্সের প্রথম নারী ইমাম হয়েছেন যিনি!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট

বর্তমানে চ্যাপলেন্সি ট্রেনিং শেষ করে ডিউটি স্টেশনে যোগ দেবার অপেক্ষায় রয়েছেন সালেহা। আর্ত মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে মুখিয়ে রয়েছেন তিনি। সালেহা মনে করেন, অন্য নারীরা অবশ্যই আগ্রহী এবং অনুপ্রাণিত হবেন তার সাফল্য দেখে। কারো কথায় চুপ করে বসে না থেকে, নিজ উদ্যোগ এবং চেষ্টায় হার না মানা সংগ্রাম করে যেতে হবে।
আমেরিকান এয়ারফোর্সের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মুসলিম নারী ‘চ্যাপলেন বা ইমাম’ হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট সালেহা জাবীন।
গত ১৮ই ডিসেম্বর ক্যাথোলিক থিওলজিকাল ইউনিয়ন শিকাগোতে, এয়ারফোর্সের চ্যাপলেন চিফ মেজর জেনারেল স্টিভেন শেইখ নিজে সালেহা জাবীনকে এ কমিশন প্রদান করেন। উত্তর আমেরিকার মুসলিম সোসাইটি সালেহাকে প্রমোট করে আসছিলো এতদিন ধরে।
এটা শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্যই গুরুত্ববহ নয় বরং প্রতিটি ধর্মের স্বাধীনতার জন্য জরুরী। এবং এই বৈচিত্রতা আমাদের জন্য দরকারি। এভাবেই এ ব্যাপারে কথা বলেন চ্যাপলেন চিফ। নিজ ধর্মের পাশাপাশি অন্য ধর্মের সৈনিকদের স্পিরিচুয়াল হিলিং এর দায়িত্ব থাকে চ্যাপলেনদের।

১৪ বছর আগে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে ভারত থেকে আমেরিকায় স্থানান্তরিত হন সালেহা জাবীন। তার ইচ্ছে ছিলো লেখাপড়া শেষ করে দাপিয়ে বেড়াবেন কর্পোরেট দুনিয়া। কিন্তু তার ভাই সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার পর যে সমস্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হোন, তাতে সালেহা একজন সৈনিকের জীবন বেছে নেন। আর্মি মেডিকেল কর্পস থেকে শুরু করে কাজ করেছেন চ্যাপেলদের সাথেও।
বর্তমানে চ্যাপলেন্সি ট্রেনিং শেষ করে ডিউটি স্টেশনে যোগ দেবার অপেক্ষায় রয়েছেন সালেহা। আর্ত মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে মুখিয়ে রয়েছেন তিনি। সালেহা মনে করেন, অন্য নারীরা অবশ্যই আগ্রহী এবং অনুপ্রাণিত হবেন তার সাফল্য দেখে। কারো কথায় চুপ করে বসে না থেকে, নিজ উদ্যোগ এবং চেষ্টায় হার না মানা সংগ্রাম করে যেতে হবে।