হলিউডের সিনেমায় বাংলাদেশের ব্রিজে হেলিকপ্টার উড়িয়ে দেবার দৃশ্য কিংবা সদরঘাট দেখে হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে রীতিমত। কার চেসের দৃশ্যে গাড়ির নাম্বারপ্লেটে ঢাকা মেট্রো লেখা দেখেও উচ্ছ্বসিত হচ্ছেন অনেকে। আসলে হলিউডের মুভিতে নিজের দেশকে এভাবেই দেখার জন্যেই মুখিয়ে ছিলাম আমরা।

নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ, ফিরিয়ে আনবো সোনার দেশ। নেটফ্লিক্সের আপকামিং মুভি ''এক্সট্র্যাকশন'' এর দৃশ্য এটা। কিছুক্ষণ আগে রিলিজ পেয়েছে সিনেমাটার ট্রেইলার। হলিউডের সিনেমায় বাংলাদেশের ব্রিজে হেলিকপ্টার উড়িয়ে দেবার দৃশ্য কিংবা সদরঘাট দেখে হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে রীতিমত। কার চেসের দৃশ্যে গাড়ির নাম্বারপ্লেটে ঢাকা মেট্রো লেখা দেখেও উচ্ছ্বসিত হচ্ছেন অনেকে। আসলে হলিউডের মুভিতে নিজের দেশকে এভাবেই দেখার জন্যেই মুখিয়ে ছিলাম আমরা।

এক্সট্র্যাকশন সিনেমায় দেখানো সদরঘাট 

টাইলার রেক, একজন সাহসী নির্ভীক ব্ল্যাক মার্কেট আন্ডারগ্রাউন্ড এর মার্সেনারি। বাংলাদেশের ড্রাগ গ্যাংস্টার, ইন্ডিয়ার কারাবন্দী ড্রাগ গ্যাংস্টারের ছেলেকে কিডন্যাপ করে। ঐ ছেলে অভিকে বাংলাদেশের ঢাকায় আটকে রাখে। এরপর সেই সাহসী মার্সেনারীকে ভাড়া করা হয় ড্রাগ কিং এর ছেলেকে উদ্ধার করার জন্য। 

সহজ ভাষায়, বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার দুই ড্রাগ লর্ডের দ্বন্দ। অতঃপর ইন্ডিয়ার মাফিয়ার ছেলেকে ছেলেকে বাংলাদেশের মাফিয়া কিডন্যাপ করিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। তাকে উদ্ধার করতে নিয়োগ করা হয় মার্সেনারি ক্রিস হেমসওর্থকে। এই হচ্ছে সিনেমার প্লট। এই মুভির টেকনিক্যাল টিমের সাথে ওয়াহিদ ইবিনে রেজা নামের একজন বাংলাদেশীও জড়িত। ইতিমধ্যেই তিনি হলিউডের বেশ কিছু প্রজেক্টে কাজ করেছেন।

এক্সট্র্যাকশন সিনেমায় গাড়ির নাম্বার প্লেটে লেখা ঢাকা মেট্রো 

সিনেমাটার নাম প্রাথমিকভাবে ''ঢাকা'' রাখা হয়েছিলো। এবং ঢাকাতেই শ্যুটিং করার কথা ছিলো। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে এক্সট্র্যাকশন রাখা হয়। এবং বাংলাদেশের অংশের শ্যুটিংও ইন্ডিয়ায় করা হয়। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার দৃশ্য শ্যুট করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু কোনো ক্যারেক্টর অংশ নেয়নি। সাথে রয়েছে ভিএফএক্সের কারুকাজ। এভাবেই বাংলাদেশকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অ্যাকশন থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমার ট্রেইলারের ব্যাকরাউন্ড স্কোরটাও থ্রিলিং লাগলো। 

এক্সট্র্যাকশন সিনেমায় দেখানো বাংলাদেশী ব্রিজের দৃশ্য 

ট্রেইলারে বাংলাদেশ নাম আর ২:৩৮ সেকেন্ডে ব্রিজের নিচে বাংলা লেখা দেখে ভালোলাগারই কথা। অনেক দৃশ্য বাংলাদেশের মনে হলেও শুটিং বাংলাদেশে হয়নি। ভারতের আহমেদাবাদ ও মুম্বাইতে শ্যুটিং শুরু হয় এবং সেখানেই বাংলাদেশের আদলে কিছু সেট বানিয়ে শ্যুটিং হয়। তাছাড়াও থাইল্যান্ডে শ্যুটিং হয় এবং বাংলাদেশ থেকে কিছু প্লেটশট নেয়া হয়।  

থরের পাশাপাশি পরিচিত কিছু মুখের দেখা পাওয়া যাবে এই সিনেমায়। রয়েছেন স্ট্রেঞ্জার থিংসের ডেভিড হার্বর, বলিউডের পংকজ ত্রিপাঠী, রন্দীপ হুদা, ইরানী অভিনেত্রী গোলশিফটে ফারাহানি। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন এন্ডগেম খ্যাত জ্যো রুশো। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন এন্ডগেম খ্যাত জ্যো রুশো। প্রযোজনা করেছেন অ্যাভেঞ্জার্স খ্যাত পরিচালক ভাতৃদ্বয় রুশো ব্রাদার্স। পরিচালনায় আছেন স্যাম হারগ্রেভ। মুভিটা আগামী ২৪শে এপ্রিল (২০২০) নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে। মুভিটা যদি বাংলাদেশে শুটিং হতো আর বাংলাদেশী অভিনয় শিল্পীরা অংশ নিতেন তাইলে পুরো ব্যাপারটাই অন্যরকম হতে পারতো।  


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা