কেরালার হাতিগুলোও যেমন আমাদের, দেশের হাতিগুলোও তো তাই!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
পল্লীবিদ্যুতের তারে জড়িয়ে টেকনাফে আজও একটি বুনো হাতি মারা গিয়েছে৷
হ্নীলার চেয়ারম্যান রনি ভাইয়ের প্রোফাইলে ছবিটা দেখেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। আইভরিসমেত একটা পূর্ণবয়স্ক নিরোগ হাতি এভাবে হুট করে মরে গেলো! মরে গেলো বলে দায় এড়াতে পারবো? না, ও তো মরে যায়নি। ওকে আমরা মেরে ফেলেছি!
গত কিছুদিন ধরে প্রায় প্রতি মাসেই দক্ষিণ চট্টগ্রামে হাতি মারা যাচ্ছে। স্থানীয়রা ছিলো, রোহিঙ্গারা এসেছে, কদিন পর যখন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন চালু হবে তখন আরো অনেক হাতি মরবে। মেরে মেরে অল্প যে কয়টা আছে সবগুলোকে শেষ করতে পারলে তবেই আমাদের শান্তি হবে!
আমরা হাতি-মানুষের সংঘর্ষ নিয়ে কথা বলি। অথচ হাতি তাদের একই চলার পথ ব্যবহার করছে লাখ লাখ বছর ধরে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে হাতির ডিএনএ ম্যাপে আঁকা থাকে সেই চলার পথের মানচিত্র। এর কোন ব্যতিক্রম সাধারণত হয়না, অথচ ২০-৫০ বছর হলো আমরা সেখানে গিয়ে বন পাহাড় কেটে বাড়ি ঘর বানিয়ে বিদ্যুতের তার লটকে হাতিকে সভ্যতা দেখাচ্ছি। এমনকি এটা হাতি চলাচল এলাকা এটা জানার পরেও সেই বৈদ্যুতিক তারগুলো উঁচু করে দেইনি। এই মৃত্যুর দায় যেকোন হিসেবেই পুরোপুরি আমাদের নিতে হবে।
হাতিদের দেশ নেই! কেরালার হাতিগুলোও যেমন আমাদের, তেমনই দেশের হাতিগুলো কি আমাদের না?