ব্যয়বহুল সেট, নজরকাড়া সিনেমাটোগ্রাফি, দামী কস্টিউম, সুমধুর গান, সাথে মনোমুগ্ধকর কোরিওগ্রাফি, অসাধারন সংলাপ, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, এবং প্রতিটি চরিত্রের অসাধারন অভিনয় নিয়ে 'দেবদাস' একটি অনুভূতির নাম। যে অনুভূতির আবেদন ১৮ কেন, ৮০ তেও ফুরাবে না...

কলকাতার প্রভাবশালী ভারতবর্ষ গোষ্ঠীর মালিকানাধীন প্রকাশনা সংস্থা গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় অ্যান্ড সন্স থেকে ১৯১৭ সালের জুন মাসের ৩০ তারিখে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় একটি উপন্যাস। এর জন্য অগ্রিম পারিশ্রমিক হিসেবে সেই উপন্যাসের লেখক পেয়েছিলেন সেই সময়ে দুই হাজার টাকা। অথচ লেখক এই উপন্যাসটি মদ খেয়ে কিছুটা মাতাল অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন বলে তার এক বন্ধুকে চিঠিতে জানিয়েছিলেন। সেই লেখক হলেন বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। উপন্যাসের নাম 'দেবদাস'। তার লেখা সেই উপন্যাসটি বাংলা এবং বাঙালিদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যাবে তা তিনি নিজেও হয়তো ভাবেননি। 

শরৎচন্দ্রের উপন্যাসে বরাবরই নারী-পুরুষ চরিত্রের নানা রকম জটিলতা ও সমস্যা আমরা দেখতে পাই, তার পেছনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কারণ হিসেবে সেই সময়কার সমাজের নানা রীতিনীতি বড় ভূমিকা হিসেবে উঠে এসেছে। তার সব উপন্যাসে সমাজব্যবস্থাই প্রধান পটভূমি। নারীকেন্দ্রিক উপন্যাসের মাধ্যমে তিনি পরিচিতি পেলেও একমাত্র দেবদাস উপন্যাসেই তিনি সৃষ্টি করেছেন নায়ককেন্দ্রিক কাহিনি, যদিও উপন্যাসের নায়ক সেই সময়ে দাড়িয়ে কলকাতা থেকে পড়াশোনা করে আসার পরেও সমাজব্যবস্থার বিপরীতে দাড়াতে পারেনি। তবুও একটু জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে দেবদাস শরৎচন্দ্রের অন্য উপন্যাসগুলোকে অতিক্রম করেছে, তা এর ট্র্যাজিক কাহিনি। তাঁর অন্য উপন্যাসে ট্র্যাজেডি এমন প্রাধান্য পায়নি। ট্র্যাজেডির কাহিনি এমন এক অনুভূতি যা মানুষের ব্যর্থতার প্রতিনিধিত্ব করে, একই সঙ্গে প্রকাশ করে তার মহত্ত্ব। এভাবে ট্র্যাজেডি একটি চরিত্রকে জীবনের চেয়ে বড় মাপের করে তোলে। এ কারণেই শরৎচন্দ্রের দেবদাস  এক শতাব্দী পার করে এসেও বাঙালির হৃদয়ের কাছে আবেদন অক্ষুন রেখেছে।

শরৎচন্দ্রের 'দেবদাস' এর কাহিনি নিয়ে এখন পর্যন্ত উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে ও ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১৬। ১৯২৮ সালে নির্বাক সিনেমার যুগে দেবদাস প্রথমবার সিনেমা হিসেবে রুপালি পর্দায় দেখা দেন। তারপর ১৯৩৫ সালে প্রমথেশ বড়ুয়া বাংলা ভাষায় নির্মান করেন 'দেবদাস'। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন প্রমথেশ বড়ুয়া, পার্বতী চরিত্রে অভিনয় করেন যমুনা বড়ুয়া এবং চন্দ্রমুখী চরিত্রে অভিনয় করেন চন্দ্রাবতী দেবী। পরবর্তীতে ১৯৩৬ সালে হিন্দি ভাষায় এবং ১৯৩৮ সালে অসমীয়া ভাষায় এই সিনেমাটি মুক্তি পায়।

১৯৫৫ সালে পরিচালক বিমল রায় দিলীপ কুমারকে নিয়ে হিন্দি ভাষায় নির্মান করেন 'দেবদাস'। বাঙালির মহানায়িকা সুচিত্রা সেন পার্বতী এবং বৈজয়ন্তীমালা ছিলেন চন্দ্রমুখী চরিত্রে। এই সাদাকালো 'দেবদাস' সিনেমাটি কাল্ট ক্ল্যাসিক সিনেমার মর্যাদা পায়। দীলিপ কুমার পান ট্র‍্যাজেডি কিং এর খেতাব। ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও লাভ করেন তিনি। বলা হতো এই 'দেবদাস' সিনেমাটি দেবদাস উপন্যাসের সবচেয়ে সফল সিনেমার সংস্করণ। আমাদের বাংলাদেশেও ১৯৮২ সালে তৈরী হয় দেবদাস। দেবদাস চরিত্রে বুলবুল আহমেদ, পার্বতী চরিত্রে কবরী এবং চন্দ্রমুখী চরিত্রে আনোয়ারা ছিলেন সেই সিনেমায়। বাংলাদেশ সংস্করণটিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। 

তবে 'পিকচার আভি বাকি হ্যায়' কথাটির এর মতোই  ২০০২ সালে বলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালি নির্মিত বিগবাজেটের বিগ স্কেলের ‘দেবদাস’ সিনেমাটির সংযুক্তি ছাড়া 'দেবদাস' নিয়ে কোনো লেখাই পূর্ণতা পায় না। ২০০২ সালের ১২ জুলাই মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমার আঠারো বছর পূর্ণ হল। কিন্তু দেবদাস রূপে শাহরুখ খান, পার্বতীর চরিত্রে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও চন্দ্রমুখী চরিত্রে মাধুরী দীক্ষিতের অসাধারণ অভিনয় এখনো দাগ কেটে আছে দর্শক মনে। সেলুলয়েডে এই 'দেবদাস' উপন্যাসের তৃতীয় হিন্দি সংস্করণ এবং হিন্দিতে প্রথম রঙিন চলচ্চিত্রের সংস্করণ। ইংরেজি, ফরাসী, জার্মান, মান্দারিন, থাই, এবং পাঞ্জাবী ভাষায়ও রিলিজ হয়েছিলো এই হিন্দি ক্ল্যাসিক।

সঞ্জয় লীলা বানশালির দেবদাস

'দেবদাস' সিনেমাটি বলিউডের ইতিহাসেরই অন্যতম ব্যয়বহুল সিনেমা। সেই সময়ে সিনেমাটির ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন সেট নির্মানে খরচ হয় ২০ কোটি রুপি। প্রোডাকশন প্রায় ৪২ টি জেনারেটর ব্যবহার করেছিলো শ্যুটিং চলাকালীন সময়ে। এছাড়া ২,৫০০ লাইট, ৭০০ লাইটম্যান এবং অসংখ্য জুনিয়র আর্টিস্টদের ব্যবহার করা হয়েছে যা আজ থেকে ১৮ বছর আগে বলিউডের জন্য অকল্পনীয় ছিলো। সিনেমায় বিদ্যুৎ ব্যয়ই হয়েছে ৩০ লাখ ওয়াট। খরচের এখানেই শেষ নয়, সিনেমায় কেবল চন্দ্রমুখীর মানে মাধুরীর যে আলিশান কোঠাটি দেখতে পাওয়া গেছে শুধু সেটি নির্মান করতেই নাকি ১২ কোটি রুপি খরচ হয়েছিলো। চন্দ্রমুখীর জন্য নির্মিত সেটটি একটি হৃদের পাশে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু, বিপদ হয়েছিলো যে, হৃদটি শুকিয়ে যেতো এবং প্রতিনিয়ত গ্যালন-গ্যালন পানি দিয়ে সেটা আবার পরিপূর্ণ করা হতো।

সিনেমায় পার্বতীর একটি রুম দেখা যায়, যেটি বাহারি রঙের কাচ দিয়ে নির্মান করা হয়েছিলো। সেই কাচের কক্ষটি সাজানো হয়েছিলো বারো হাজার দুইশত কাচের খন্ড দিয়ে। বলা হয়ে থাকে পরবর্তীতে সঞ্জয় লীলা বনশালীর সিনেমাগুলোতে যে বিগ স্কেলের বিশাল দামী সেট, দামী কস্টিউম বা অসাধারন সিনেমাটোগ্রাফি বা কোরিওগ্রাফি দেখতে পাওয়া যায় তার শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালে, দেবদাস দিয়েই। সেই সময়ের দর্শকদের সাথে রিলেট করার জন্য কয়েকটি জায়গায় উপন্যাস থেকে কিছু কিছু জায়গায় চিত্রনাট্যের পরিবর্তন এনেছিলেন সঞ্জয় লীলা বনশালী। এটা নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা থাকলেও সাধারন দর্শক প্রানভরে উপভোগ করেছিলেন নতুন সময়ের নতুন 'দেবদাস'কে। 

শাহরুখ খান এই সিনেমার শ্যুটিং করার আগে থেকেই দেবদাস চরিত্রটিকে নিজের ভেতরে দেখতে পেয়েছিলেন তবে কিভাবে সেটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন সেটি বুঝতে পারছিলেন না, শ্যুটিং শুরুর দিন পাচেক আগে হঠাৎ তার ছেলে আরিয়ান একদিন একটি কাচের শোপিস ভেঙে ফেলে তখন পাশে বসা শাহরুখ তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন এটি কি হলো?? আরিয়ান হাসিমুখে জবাব দিয়েছিলেন 'ভেঙে গেলো' তখন তার ছেলের উত্তর দেবার সময়কার এক্সপেশন দেখেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এটাই দেবদাস, যে কিনা শিশুর মতো সরল, রাগী আবার মতের অমিল হলেও প্রতিবাদ না করে নিজের ভেতর গুটিয়ে থাকার প্রবনতা এসব গুনাবলী মিলেই 'দেবদাস'।

চরিত্রকে আরও বাস্তব করে তুলতে শাহরুখ খান অল্প মদ্যপান করেই অভিনয় করেছেন এই সিমেমাতে। সিনেমায় 'দেবদাস' চরিত্রে তার অভিনয় এতোটাই জীবন্ত ছিলো যে, স্বয়ং দীলিপ কুমার সিনেমাটি দেখার পরে মন্তব্য করেছিলেন, শাহরুখ খান ছাড়া এই সময়ের কেউ এই চরিত্র এতো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারতো না। আমার নিজের থেকেও শাহরুখ এই চরিত্রটির সাথে বেশি জাস্টিফাই করেছে। একমাত্র জাতীয় পুরস্কার ছাড়া ফিল্মফেয়ার সহ সেবছরের সকল পুরস্কারে সেরা অভিনেতার ট্রফিটা শাহরুখ খানের হাতে উঠেছিলো। একাধিক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়েছেন 'দেবদাস' তার ক্যারিয়ারের খুব স্পেশাল একটা প্রোজেক্ট। একবার তিনি বলেছিলেন, ‘অন্তর থেকে আমি একজন দেবদাস!

সেট এবং বাজেট নিয়ে কোথাও কোন কার্পন্য করেননি বানশালি

'হাম দিল দে চুকে সানাম' এর পরে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন পার্বতী চরিত্রের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন এবং তার পরে তাকে নির্বাচন করা হয়েছিলো। সুচিত্রা সেন যে অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন এই চরিত্রে সেটা ছাড়িয়ে যাওয়া নিয়ে অনেকের সন্দেহ থাকলেও ঐশ্বরিয়া তার অসাধারন সৌন্দর্য্য আর অভিনয় দক্ষতা দিয়ে প্রমান করেছিলেন তিনিই পার্বতী হিসেবে সবচেয়ে যোগ্য। এত বড় এবং ভারী কানের দুল পরে 'ডোলা রে ডোলা রে' গানে নাচতে হয়েছিল যে, কান কেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ পর্যন্ত হয়েছিল তাঁর। সিনেমার শেষ দৃশ্যে একবারের জন্য মৃতপ্রায় দেবদাসকে দেখার জন্য তার আকুলতা, সেই সময়কার সমাজব্যবস্থা পায়ের তলায় ঠেলে দিয়ে দৌড়ে যাবার সময়কার দৃশ্য এবং অসাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সিনেমাপ্রেমীদের চোখে লেগে আছে এখনো। বাঙালী কন্যা হিসেবে ঐশ্বরিয়া'র অভিনয় মুগ্ধ করেছিলো সবাইকে। শাহরুখ খানের মতো সে বছর সব পুরস্কার জিতেছিলেন তিনিও। 

চন্দ্রমুখী চরিত্রে প্রথম থেকেই মাধুরী দীক্ষিত পরিচালকের মাথায় ছিলো। মজার বিষয় হলো সঞ্জয় লীলা বনশালী তার প্রতিটা সিনেমা 'খামোশী' বা 'হাম দিল দে চুকে সানাম' এর জন্য প্রথমে মাধুরীকে নিয়েই কাজ করতে চেয়েছিলেন। তবে কোনবারেই শিডিউল না মেলার কারণে কাজ করা হয়নি তাদের। এই সিনেমার অফার যখন মাধুরীর কাছে নিয়ে যান তখন মাধুরী বিয়ে করে অভিনয় কমিয়ে দিয়ে পাকাপাকিভাবে আমেরিকা যাবার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু অফার আসার সাথে সাথেই রাজি হয়ে গিয়েছিলেন মাধুরী।

হয়তো মাধুরী নিজেও বুঝে গিয়েছিলেন যে, তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা একটি মাইলফলক হতে যাচ্ছে 'দেবদাস' সিনেমার চন্দ্রমুখী চরিত্রটি। এবং সিনেমার প্রায় হাফ টাইমে তার দেখা মিললেও তার অভিনয় দক্ষতা, মায়াবী হাসি, নজরকাড়া সৌন্দর্য আর চোখ ধাধানো নৃত্য তাকে অমর করে রাখবে হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে। সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার সহ অসংখ্যা পুরস্কার লাভ করেন তিনি। 'মার ডালা' 'কাহে ছেড়ে মোরে' এবং ঐশ্বরিয়ার সাথে 'ডোলা রে ডোলা' কালজয়ী এই গান এবং গানে তার রাজসিক পারফরম্যান্স এখনো সমান জনপ্রিয়। সিনেমায় 'কাহে ছেড়ে মোরে' গানের জন্য ৩০ কেজি ওজনের লেহেঙ্গা এবং 'মার ডালা' গানের জন্য ১৫ কেজি ওজনের আনারকলি ড্রেস পড়ে নাচতে হয়েছিলো তাকে। 

দেবদাস সিনেমাতে চুনীলালের ভূমিকায় প্রথম ভাবা হয়েছিল গোবিন্দকে। গোবিন্দ রাজি না হওয়ায় সাইফ আলি খানকে এই চরিত্র করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন পরিচালক। সাইফ আলি খান না করার পরে জ্যাকি শ্রুফ রাজি হন এই চরিত্রের জন্য। এবং সিনেমা মুক্তির পর স্বল্প সময়ের চরিত্র হলেও বেশ প্রশংসা লাভ করেন তিনি। 

'দেবদাস' চলচ্চিত্র গানের জন্য সংগীত পরিচালক ইসমাইল দরবার এবং পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালী একটি বৈশিষ্ট্য বা ট্রেন্ড সেট করেছিলেন যে, সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল (পার্বতী হিসেবে), কবিতা কৃষ্ণমুর্তি (চন্দ্রমুখী হিসেবে), এবং উদিত নারায়ন (দেবদাস হিসেবে) গাইবেন। আড়াই বছর সময় নিয়েছিলেন ইসমাইল দরবার দেবদাস সিনেমার মিউজিক তৈরি করতে। উল্লেখ্য আজকের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল এই সিনেমার মধ্য দিয়ে তার বলিউড চলচ্চিত্রের গানে অভিষেক করেন। সেই বছর গায়িকা হিসেবে কবিতা কৃষ্ণমুর্তির সাথে তিনিও সবগুলো পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন। ফিল্মফেয়ারে 'রাহুল দেব বর্মন' পুরস্কার ও জয় করেছিলেন তার ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমায় গান গেয়েই। 

'দেবদাস' সিনেমার প্রিমিয়ার হয়েছিল কান ফেস্টিভ্যালে। ২০০৩ সালে অস্কারেও ভারতীয় সিনেমা হিসেবে অফিসিয়াল এন্ট্রি পেয়েছিল এই সিনেমা। বিশাল সেট, দামী বাঙালি কস্টিউম কোনো কিছুতেই ছাড় দেননি পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালী। কস্টিউম ডিজাইনার নীতা লুল্লাকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশেও এসেছিলেন শাড়ি কেনার জন্য। পাঁচটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১০ টা ফিল্মফেয়ার সহ আইফা, জি-সিনে সহ এতো পুরস্কার দিয়েও আসলে ‘দেবদাস’ নামক সিনেমাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা যাবে না। এটা বলিউডের ইতিহাসে সাফল্যের চেয়েও বেশি পেয়েছে সার্বজনীন ও সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্লাসিক সিনেমার সম্মান। শাহরুখ খান, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, মাধুরী দীক্ষিত, কিরন খের কিংবা জ্যাকি শ্রফ সবার ক্যারিয়ারেই অন্যতম একটা মাইলফলক হয়ে হয়ে রয়েছে ‘দেবদাস’। বিশাল ব্যয়বহুল সেট, নজরকাড়া সিনেমাটোগ্রাফি, দামী কস্টিউম, সুমধুর গান, সাথে মনোমুগ্ধকর কোরিওগ্রাফি, অসাধারন সংলাপ, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, এবং প্রতিটি চরিত্রের অসাধারন মনোমুগ্ধকর অভিনয় নিয়ে 'দেবদাস' একটি অনুভূতির নাম। যে অনুভূতির আবেদন ১৮ কেনো ৮০ তেও ফুরাবে না।

_

* প্রিয় পাঠক, চাইলে এগিয়ে চলোতে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- আপনিও লিখুন
* সমাজের নানান অসঙ্গতি নিয়ে আওয়াজ তুলুন। অংশ নিন আমাদের মিছিলে। যোগ দিন 'এগিয়ে চলো বাংলাদেশ' ফেসবুক গ্রুপে


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা