হে রাষ্ট্র! করোনাকে তুমি সিরিয়াসলি নাও! আমরা চাই না করোনা আমাদেরকে সিরিয়াসলি নিয়ে নিক...

এফেক্টেড দেশ থেকে অনেক দেশই তাদের সিটিজেনদের ফিরিয়ে নিয়েছে। আমরাও সরাসরি উহান থেকে এনেছি। তাদের আলাদা করেছি। ভাইরাস না পেয়ে তাদের বাড়ি যেতে দিয়েছি। আমরা কোনো দেশের সাথেই ফ্লাইট ক্যানসেল করি নি। কেউ ফিরতে পারবে না এমন কোন ঘোষণা দেইনি। এখন কেউ যদি ফিরে আসে এখানে তাদের না করার কোন সুযোগ নেই।

সব মানুষ বাঁচতে চায়। বাঁচা মরার ব্যাপারটা সামনে চলে এলে মানুষ স্বার্থপর হয়ে যায়। তবে রাষ্ট্র কখনও কাউকে না করতে পারে না। রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিতে পারে না। আর আপনার রাষ্ট্র যখন ব্যাপারটা হালকা ভাবে নিচ্ছে তখন তো আর এসব ব্যাপার আসেও না। উন্নত দেশগুলোর রাণী থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট, সিনেটর, জেনারেলরা এফেক্টেড হচ্ছে, মারা যাচ্ছে।

আর আমাদের মন্ত্রী থেকে শুরু করে ডাক্তাররাও মোটিভেশনাল স্পিকার হয়ে যাচ্ছে। জাস্ট এনাদার ফ্লু বলে দায় সাড়াচ্ছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে বলে দিচ্ছে উন্নত দেশের চেয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। করোনার ফ্যাটালিটি রেট নিয়েই সবার আগে মোটিভেশনটা ছড়ানো হয়েছে। চীনে ২% মানুষও মারা যায়নি, কাজেই আপনার কিছু হবে না। সেই মোটিভেশনকে ফাঁকি দিয়ে ইউরোপে ফ্যাটালিটি রেট বাড়ছে। প্রতিদিন রেশিও বাড়ছে।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনের সাফল্য 

রোড এক্সিডেন্টে আমাদের এরচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, ধর্ষণ করেও এরচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। আবার কেউ একজন বলে দিলো করোনার মরার চেয়ে ঠাঠা পড়ে নাকি আমাদের মরার চান্স বেশি। এটা খেলনা ভাইরাস। আর সেই খেলনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য পুরা দুনিয়া লকডাউন হয়ে যাচ্ছে। আমাদেরই মানুষজন লাস্ট ফ্লাইট ধরতে দৌড়াদৌড়ি করেছে। দেশে এসে সবার গালি খাচ্ছে। তাদের এত কারেন্ট কোথা থেকে আসে আমি জানি না। প্লেন ক্র‍্যাশেও তাদের মরার চান্স করোনার থেকে বেশি থাকার কথা ছিলো।

একটা মহামারীর ব্যাপারে পুরা দেশের সামগ্রিক ইমপ্যাক্টের সাথে আপনার রিএকশন যায় না। হয় আপনি ওভার রিএক্ট করতেছেন না হয় আপনার রাষ্ট্র সঠিক রিএক্ট করতেছে না। মহামারী ঠেকানোর জন্য যেভাবে সিনক্রোনাইজ করার কথা ছিলো সব ব্যাপারে সেভাবে কিছুই হলো না। তারপরও আমরা পড়ে আছি খুচরা মোটিভেশনে। সাধারণ জ্বর ঠাণ্ডার চেয়ে করোনা নাকি বেশি কিছু না। আর WHO হয়ত ঘাস লতাপাতা খায়। এজন্য তারা এই সাধারণ রোগকে মহামারী ঘোষণা করে দিয়েছে।

ইভেন ইন্ডিয়াও আমাদের সাথে বর্ডার ক্লোজ করে দিয়েছে, এন্ট্রি রেস্ট্রিকটেড করে দিয়েছে। আমরা করি নি। আমরা সবাইকে নিচ্ছি। নিতেই থাকবো। আমরা সুপারম্যান। করোনা আমাদের কিছু করতে পারবে না। আমাদের পাবলিক ক্রাউড এড়িয়ে চলার ঘোষণা এসেছে অথচ সবকিছু রেগুলার ভাবে চলছে। কোথাও কোনোকিছু বন্ধ করা হলো না। তাহলে এড়িয়ে চলবে কীভাবে মানুষজন?

আমরা আমাদের লিমিটেশনস জানি। আমরা জানি ফাপড়বাজরা কতটুকু করতে পারবে আমাদের জন্য। আমরা আমাদের মেডিকেল টিমের সামর্থ্যও জানি। এজন্য চোখ বন্ধ করে "কিছুই হয় নাই, কিছুই দেখতেছি না"র মত করে ভালো থাকার ভান ধরে থাকি সবাই। হে রাষ্ট্র! করোনাকে তুমি সিরিয়াসলি নাও! আমরা চাই না করোনা আমাদেরকে সিরিয়াসলি নিয়ে নিক...


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা