করোনাভাইরাস বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর কি সাবধান হওয়ার সময় পাব?
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
![](https://media.egiyecholo.com/contents/posts/images/2020/3/3/0XJINScBCCygGEMNI05YBgTL0ARaerJE6SpFLLHo.jpeg)
আশঙ্কার খবর হচ্ছে ভারতে আজ তিনটি কনফার্ম কেস ডায়াগনোসিস হয়েছে। দিল্লি, তেলেঙ্গালা, জয়পুর। তাদের আইসোলেটেড করা হয়েছে। পাঞ্জাব তার সবগুলো হাসপাতালে ফ্লু কর্নার বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রদেশে প্রদেশে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের দিকে নজর রাখতেই হবে। বাংলাদেশ ভারতের সাথে সবচেয়ে বেশি কানেক্টেড।
শুভদীপ চন্দ: ধারণা করা হয় হুয়ান প্রদেশের এক বায়ো সেফটি সুপার ল্যাব থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। সেটি ছড়ায় ১ ডিসেম্বর। চায়না গোপন রাখে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আরেকটি চেরনোবিল তৈরি করা হয় সবার অলক্ষ্যে। দেশে দেশে রাজাদের ন্যাগলিজেন্সির মূল্য চোকাতে হয় সাধারণ জনগনকে। এও তার ব্যতিক্রম নয়। পরবর্তীতে হুয়ান সিটি পুরোপুরি লক করে দিয়েও আজ পর্যন্ত চীনে মৃত্যু ৩০০০ জন। সংখ্যাটি আরো বেশি সম্ভবত। চীন কঠোরভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। নিশ্চিত কেস ৮০,০০০ এর উপর। রাশিয়া, মিশর, নিউইয়র্ক, ইন্দোনেশিয়া, তিউনেশিয়া- সবখানেই ছড়িয়ে পড়ছে এ ভাইরাস।
এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকরী চিকিৎসা আবিষ্কার হয় নি। হয় নি কোনো ভ্যক্সিন আবিষ্কার। রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো এর জন্যই কিনা, সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে খবর কম কম প্রচার করতে। সরকারগুলো বলছে প্যানিকের কিছু নেই। অথচ ফ্রান্সে ল্যুভর মিউজিয়াম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে প্যারিস বইমেলা। অধিকাংশ কনফারেন্স, স্পোর্টস ইভেন্ট, ফ্লাইট বাতিল হয়ে যাচ্ছে। বানানো হচ্ছে হাসপাতাল গুলোয় আলাদা আলাদা কর্নার। নেয়া হচ্ছে নতুন নতুন ট্রেড প্লেন। আরোপিত হচ্ছে নতুন নতুন দেশে ট্যুর নিষেধাজ্ঞা। আজ WHO মৃত্যু কমাতে ইরানে নিজস্ব এক্সপার্ট পাঠিয়েছে। ভারত নিজস্ব প্রয়োজনের কথা ভেবে ঔষধ মেটেরিয়াল রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে।
আশঙ্কার খবর হচ্ছে ভারতে আজ তিনটি কনফার্ম কেস ডায়াগনোসিস হয়েছে। দিল্লি, তেলেঙ্গালা, জয়পুর। তাদের আইসোলেটেড করা হয়েছে। পাঞ্জাব তার সবগুলো হাসপাতালে ফ্লু কর্নার বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রদেশে প্রদেশে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের দিকে নজর রাখতেই হবে। বাংলাদেশ ভারতের সাথে সবচেয়ে বেশি কানেক্টেড। আমাদের প্রস্তুতি কতদূর- জানি না। কিছু খাবার আছে, কিছু প্রিভেন্টিভ মেজার আছে- কোনো কথা কিছু শেয়ার হচ্ছে না। কোনোটিই একশো শতাংশ কার্যকরী নয়, তবে জেনে রাখতে তো দোষ নেই। আমি পত্রিকা মারফত যতটুকু জেনেছি, শেয়ার করছি-
১) এন্টিসেপটিক হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে হবে। ঘনঘন। পারলে প্রতি ঘন্টায় একবার। কোথাও গেলে ওয়েল বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। ফেস মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
২) যতটা সম্ভব কম নাক, মুখ, চোখে হাত দিতে হবে। হাঁচি কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করতে হবে। হ্যান্ডশেক বা কোলাকুলি না করাই ভাল।
৩) কাঁচা মাংস, কাঁচা ডিম, কাঁচা সবজি খাওয়া যাবে না।
৪) কিছু কিছু খাবারে এন্টিভাইরাল প্রোপার্টি আছে। যেমন- তুলসি পাতা, মধু, আদা, রসুন, বাদাম, আঙ্গুর, স্ট্রোবেরি, ব্ল্যাকবেরি, চকলেট, নারিকেল তেল, ভিটামিন সি কন্টেনিং যেকোনো ফল- টক ফল। এসব খেলে কিছু উপকার পাওয়া যেতে পারে।
৫) যারা বয়স্ক এবং যাদের ফুসফুসে কোনো রোগ আছে- তাদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। শিশুরা কম ঝুঁকিগ্রস্থ।
লক্ষণগুলো জেনে রাখা ভাল। তবে জেনেও খুব বেশি কিছু করা যাবে না। আমাদের হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে ফেলা উচিত। কোথায় যেতে হবে, কি করতে হবে, হাসপাতালে কখন যাওয়া লাগে, হাসপাতালে গেলে হাসপাতাল কতটুকু করবে- লোকজন কিছুই জানে না।
মনে রাখতে হবে এটি নোভেল ভাইরাস, এর প্রতি আমাদের শরীরে কোনো ইমিউনিটি নেই। নতুন ঔষধ, ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত হয় নি। একে দমানোর একমাত্র উপায় এটি ছড়ানো আটকে দেয়া। চেইনটা গড়তে না দেয়া। কেউ ভাইরাস আক্রান্ত হলে পাঁচ থেকে সাতদিন লাগে তার সিম্পটম প্রকাশ পেতে। সুতরাং সবাই সবার থেকে সাবধান। আপনি যদি এক মিটার দূরে থাকেন, আপনি সেফ। প্যানিক হওয়া চলবে না- এটা শেষ কথা। নিপা, জাইকা, সার্স, মার্স, করোনা- দিনশেষে মানুষের জয় হয়েছে। জাস্ট একটু সতর্ক থাকুন।