মানবদেহে করোনার টিকা: আশি ভাগ সফলতার আশা গবেষকদের
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট

গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন ভ্যাকসিনোলোজির প্রফেসর সারাহ গিলবার্ট। তিনি বলেছেন, 'আমি মোটামুটি ৮০% নিশ্চিত যে টিকাটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করবে।'
পুরো পৃথিবী এখন করোনার আতঙ্কে অস্থির। একদিকে চলছে লাশের মিছিল, চিকিৎসকরা লড়ছেন মৃত্যুর সংখ্যাটা যথাসম্ভব কম রাখার জন্য। অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন করোনার প্রতিষেধক তৈরীতে। ফ্লুয়ের বিপক্ষে কাজ করে, এমন বেশ কিছু ঔষধের নাম এলেও, এদের কোনটাও শতভাগ কার্যকর বলে প্রমাণীত হয়নি এখনও। গবেষকদের ধারণা, ১২-১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে প্রতিষেধক আবিস্কারে।
তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে অবিরত। ঔষধ, টিকা সবকিছুই বানানোর চেষ্টা চলছে। চীন ও আমেরিকার পরে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে এবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে বৃটেন। গতকাল দুইজনকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে।
অক্সফোর্ডের গবেষকদের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবী আহ্বান করা হয়েছিল যাদের ওপর এই টিকার প্রয়োগ করা হবে। দুই হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে সুধু যুক্তরাষ্ট্র থেকেই। বয়স আর শারীরিক বিভিন্ন উপসর্গের বিচার করে সেখান থেকে ৮০০ জনকে মনোনীত করেছে গবেষক দল।

বিবিসি জানিয়েছে, পরীক্ষায় যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের অর্ধেককে কোভিড-১৯ টিকা এবং বাকী অর্ধেককে ম্যানিনজাইটিস প্রতিরোধক টিকা দেওয়া হবে। টিকা যারা নেবেন তারা জানতে পারবেন না যে তাদের কোন টিকা দেওয়া হয়েছে। কেবল চিকিৎসকরাই তা জানবেন। আগামী কয়েকমাসে দুই গ্রুপের মানুষের তুলনামূলক বিচার করে এই টিকায় কাজ হচ্ছে কিনা তা নির্ধারণ করতে পারবেন গবেষকরা।
মানবদেহে এই টিকাটির পরীক্ষা সফল হলে এবছর সেপ্টেম্বরে লাখ লাখ ডোজ টিকা বাজারে ছাড়া সম্ভব বলেই মনে করছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষকদল তিন মাস ধরে টিকাটি তৈরি করেছে। গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন ভ্যাকসিনোলোজির প্রফেসর সারাহ গিলবার্ট। তিনি বলেছেন, 'আমি মোটামুটি ৮০% নিশ্চিত যে টিকাটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করবে।'
প্রাথমিক পরীক্ষায় ভাল ফল এলে আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা পরীক্ষার আওতায় আনার পরিকল্পনাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে যে কোনো বয়সের প্রায় ৫ হাজার মানুষের ওপর টিকা প্রয়োগ করা হতে পারে। আশি পার্সেন্ট রোগীর আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা মানে বড়সড় একটা প্রাপ্তি, এখান থেকে প্রায় শতভাগে পৌঁছানো সম্ভব। বলে রাখা ভালো, যুক্তরাজ্যে অক্সেফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজও টিকা তৈরিতে কাজ করছে। খুব দ্রুত তারাও মানবদেহে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে যাবে...

প্রিয় পাঠক, করোনার এই দিনগুলিতে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হতেই পারেন আপনি। সেটা হতে পারে অর্থনৈতিক, মানসিক- বা অন্য কিছু। আপনার সমস্যার কথা জানান আমাদের, আমরা চেষ্টা করব সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করার, যাতে বেরিয়ে আসে সমাধানের পথ।