করোনা মোকাবেলায় সেই 'কসাই'গুলো যখন জবাই হচ্ছেন!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
করোনা নিজেয় বিদায় হবার আগে অনেকের প্রাণ হরণ করবে। আর জনগণ তার স্বজন মরার দায় চাপাবে- এই ঢাল তলোয়ারবিহীন স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর। মানুষ এতদিন যাকে কসাই জেনেছে, তার যে ঘাড় চলে যাচ্ছে খাজ কাটা গিলোটিনে!
বাংলাদেশের মানুষ এতদিন যাদের 'কসাই' জেনে এসেছে, তাদেরকেই গোপনে জবাই দেয়ার যে নকশা হচ্ছে! এই জিনিস বুঝতে পারছে না- এই দূর্যোগেও। করোনা হয়তো অনেক মানুষ বিদায় করে ক্ষান্ত হবে। ডিপ-স্টেইট আরও বেশি ডিপে গিয়ে জনগণের ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস নিবে।
আর জনগণ তার স্বজন মরার দায় চাপাবে- এই ঢাল তলোয়ারবিহীন স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর। ডাক্তার, নার্সদের ক্ষমতা নাই;- ক্ষমতার বানর-বাটোয়াড়ায় তাদের দাঁত বসানো নেই। কিন্তু সামগ্রিক রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতায় মানুষ তাদেরকেই দোষারোপ করবে।
মানুষ কোনদিন জানবে না, তার ভাই মারা গেছে ফুসফুস ছেদা হয়ে। এর পেছনে উপজেলা হাসপাতালের তরুণ ডাক্তারটির ততটুকু দায় নাই। যতটুকু দায় আছে যুগ যুগ ধরে পুরো রাষ্ট্রকাঠামো কুক্ষিগত করে রাখা বড় বড় তালেবর শক্তির।
দুই মাস পরে উপজেলা হাসপাতালের পাউরুটি খেয়ে চিকিৎসা দেয়া এক ডাক্তারকে কলার ধরে সে জিজ্ঞেস করবে- কেন তার ভাইয়ের চিকিৎসা হয়নি। কেন রোস্টার ডিউটি শেষে সে ঘুমাচ্ছিল! এটা তার জন্য সহজ!
কিন্তু দুই মাস পর বাজেট অধিবেশনে গিয়ে ডিপ স্টেইটের পুংটাদের সে জিজ্ঞেস করতে পারবে না- ক্যান এই বাজেটের সিংহভাগ তার কল্যাণে না গিয়ে বিশেষ কিছু গোত্রের কাছে যায়!
একদিন দুইদিন না! বছরের পর বছর। দশকের পর দশক। কোনদিন জানবে না গণি রোড থেকে যে বাজেট যায়- সেই বাজেটে মানুষের হিস্যা কেন এত কম! কই কই যায় এসব!
মানুষ এতদিন যাকে কসাই জেনেছে, তার যে ঘাড় চলে যাচ্ছে খাজ কাটা গিলোটিনে! তবুও মানুষ সেই জবাই হতে যাওয়া স্কেপগোটকেই গালি দিচ্ছে। নিজের গলার উপর নিঃশ্বাস ফেলা ডিপ-স্টেইট আর তার তর্পীবাহকদের না চিনে!
আরও পড়ুন-