ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকেরা কেন তাদের শর্টনেমে(ম্যানইউ) ডাকাটা পছন্দ করে না জানেন? এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ এক বিমান দূর্ঘটনার ইতিহাস, যে দূর্ঘটনা স্তব্ধ করে দিয়েছিল বিশ্ব ফুটবলকে, পঙ্গু করে দিয়েছিল রেড ডেভিলদের!

ওয়েম্বলি ভাসছে আনন্দের জোয়ারে। উড়ছে ইংল্যান্ডের পতাকা, খুশীর জোয়ারে ভাসছে সারাদেশ। নিজেদের মাটিতে ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম শিরোপা জিতেছে তারা, তাও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী জার্মানীকে হারিয়ে, আনন্দের মাত্রাটা তাই বেশীই হবার কথা। স্টেডিয়াম থেকে রাণীর বাসভবন পর্যন্ত পুরোটা এলাকাই যেন উৎসবক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মাঠে সোনালী রঙের জুলেরিমে ট্রফিটা তুলে দেয়া হয়েছে ইংল্যান্ড দলের হাতে, সেটা নিয়েই উল্লাস করছেন সবাই। কয়েকজনের হাত ঘুরে সেটার দখল পেলেন ইংলিশ স্ট্রাইকার ববি চার্লটন, তিনি আলতো করে একটা চুমু খেলেন সেটায়। সঙ্গে সঙ্গে একটা অদ্ভুত ব্যপার ঘটলো। এই উল্লাস, উৎসবের আমেজ, চারপাশের গগণবিদারী চিৎকার সবকিছু যেন থেমে গেল এক লহমায়! বাতাসের শনশন শব্দ শুনতে পেলেন চার্লটন, টাইম মেশিনে করে অন্য একটা জগতে চলে এসেছেন যেন তিনি! হুট করেই চোখ ধাঁধানো আলোকরশ্মি চোখে পড়লো তার, সেই আলোর বন্যা থেকে একে একে বেরিয়ে এলেন কয়েকটা মানুষ। এদের সবাইকে চার্লটন চেনেন, মানে চিনতেন। সবাই তার সতীর্থ ছিলেন একটা সময়ে, আট বছর আগে মিউনিখে এক বরফশীতল দুপুরে যাদের চিরতরে হারিয়ে ফেলেছিলেন! সোনালী রঙের ট্রফিটা হাতে নিয়ে চার্লটন এগিয়ে যান ওদের দিকে, পুরনো বন্ধুরা এসেছে তার আনন্দের ভাগীদার হতে, তার উদযাপনের অংশ হতে!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের বিমানবাহিনী বোমা ফেলেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে। ম্যানচেস্টারের ক্লাবটার আর্থিক অবস্থা তখন সুবিধার নয়, মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে এলো এই ঘটনাটা। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে ক্লাবটা বন্ধ করে দেয়া হবে, এমন গুঞ্জও ভাসছিল বাতাসে। তবে সেই অস্থির সময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড পেয়ে গিয়েছিল একটা মানুষকে, যিনি জাদুকরের মতো পাল্টে দিয়েছিলেন ইউনাইটেডের খোলনলচে, সাধারণ ক্লাবটাকে পরিণত করেছিলেন ইউরোপের পরাশক্তিতে! নাম তার ম্যাট বাসবি, ফুটবল বিশ্বে তার সেই তরুণ দলটা পরিচিত ছিল ‘বাসবি বেইবস’ নামে। দারুণ প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড় বের করতে জুড়ি ছিল না ম্যাট বাসবি’র, প্লেয়ারদের স্কাউট করতে নিজে উপস্থিত থাকতেন তিনি। তিনি যখন দায়িত্ব নিয়েছেন, দলের বেশীরভাগ খেলোয়াড়ই তখন ক্যারিয়ার সায়াহ্নে। সময় নিয়ে তিনি প্রত্যেকের বিকল্প খুঁজে বের করেছিলেন, প্রতিটি পজিশনের জন্যে তার দলে ছিল একাধিক বিকল্প খেলোয়াড়। তার দলের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ছিল বাইশ-তেইশ। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন ববি চার্লটন, যিনি পরে ম্যানচেস্টারের রেকর্ডবুকে নিজের নামটা চিরদিনের জন্যে খোদাই করে রেখেছেন।

ম্যাট বাসবি জানতেন, একদিনে তিনি বিশ্বজয় করতে পারবেন না। তবে এই দলটা একসঙ্গে কয়কবছর খেললে, তাদের সামর্থ্য হবে ইউরোপসেরা হবার। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছিল তার ‘বাসবি বেইবস’। কিন্ত তাদের সব সাফল্যই ছিল ইংল্যান্ডের ভেতরে, কারণ তখন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবগুলো ইউরোপীয়ান প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করতো না, লীগ কমিটির নিষেধাজ্ঞা ছিল এই ব্যপারে। কিন্ত ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে লীগ টাইটেল ঘরে তুললো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বাসবি চাইলেন নিজের দল নিয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর আসরে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে, কিন্ত বাধ সেধে বসলো কমিটি। বাসবি নিজেও ছিলেন একরোখা, তিনি ক্লাবের খরচেই দল নিয়ে গেলেন সেই আসরে। সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল্বাসবি বেইবসরা, রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় তাদের।

সেই মৌসুমেও লীগ চ্যাম্পিয়ন হয় রেড ডেভিলরা, পরের মোউসুমে ইউরোপিয়ান মঞ্চে আবারও দল নিয়ে গেলেন ম্যাট বাসবি। কোয়ার্টার ফাইনালে ঘরের মাঠে যুগোশ্লাভিয়ান দল রেড স্টার বেলগ্রেডকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ফিরতি লেগের ম্যাচ খেলতে যেতে হবে বেলগ্রেডে। সেই সময়ে ইংলিশ লীগের ম্যাচগুলো হতো শনিবার সন্ধ্যায় বা রাতে, আর ইউরোপিয়ান কাপের ম্যাচ হতো বুধ বা বৃহস্পতিবারে। ফলে লীগের ম্যাচের প্রস্ততি নেয়ার সময় খুব কম পাওয়া যেতো। আগের রাউন্ডেই চেক রিপাবলিকের প্রাগ থেকে ফেরার পথে একটা বিড়ম্বনায় পড়েছিল বাসবির দলটা, নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল হয়ে গিয়েছিল খারাপ আবহাওয়ার কারণে, এদিকে যথাসময়ে ফিরতে না পারলে লীগের ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যাবে, পয়েন্ট হারাতে হবে, গুণতে হতে পারে জরিমানাও। সেকারণে ফেরি পার হয়ে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ পথ পাড়ি দিয়ে আমস্টারডাম পৌঁছেছিল দলটা, সেখান থেকে ট্রেনে চড়ে ফিরেছিল ইংল্যান্ডে। তবুও শেষরক্ষা হয়নি, টানা ভ্রমণের ধকলে ক্লান্ত এই দলটা ড্র করেছিল বার্মিংহাম সিটির সঙ্গে।

ম্যাট বাসবির সেই বিখ্যাত বাসবি বেইবস

ম্যাট বাসবি এবার আর কোন ঝুঁকি নিতে চাইলেন না, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটা প্লেন ভাড়া করলেন যুগোশ্লাভিয়ায় যাওয়া আর আসার জন্যে। নির্বিঘ্নেই যুগোশ্লাভিয়ায় পৌঁছে গিয়েছিল দলটা, নির্ধারিত দিনে ম্যাচটাও আয়োজিত হয়েছিল, ৩-৩ গোলে ড্র করে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে টানা দ্বিতীবারের মতো ইউরপিয়ান কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল রেড ডেভিলরা। পুরো দলেই একটা খুশীর আমেজ, ফুরফুরে মেজাজে বিমানবন্দরে ফিরে এসেছিলেন সবাই। দলের ডিফেন্ডার জনি বেরি তার পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেছিলেন, কিটব্যাগের ভেতরেই রাখা ছিল, খুঁজে পাচ্ছিলেন না সেটা। এজন্যে ফ্লাইট বিলম্বিত হলো ঘন্টাখানেক। প্লেনে জ্বালানী স্বল্পতা থাকায় সেটা সরাসরি ইংল্যান্ডে না এসে রিফুয়েলিঙের জন্যে অবতরণ করেছিল জার্মানীর মিউনিখ এয়ারপোর্টে। প্লেনে বসে থাকা হাসিখুশী মানুষগুলো তখনও জানতেন না, কিছুক্ষণ পরেই ভাগ্যের কি নির্মম এক নিষ্ঠুরতার শিকার হতে যাচ্ছেন তারা!

জ্বালানী সংগ্রহ শেষে প্লেনের ইঞ্জিন চালু করতে গিয়ে দেখা গেল ইঞ্জিন জমে গেছে ঠান্ডায়। দু’বার টেক-অফের প্রস্ততি নিয়েও করা গেল না। ইঞ্জিন গরম করার ব্যবস্থা করা হলো, খেলোয়াড় আর সাথে থাকা সাংবাদিক এবং দলের টেকনিক্যাল স্টাফেরা গিয়ে বসলেন এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে। বাইরে তখন তুষারপাতের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ছে, রানওয়ে ঢেকে যাচ্ছে সাদা তুষারে। যাত্রীরা সবাই নিজেরা কথা বলছিলেন, আজ আর বিমানে না উঠলেই ভালো। দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে, ঘুমানো দরকার। লীগের ম্যাচ আট তারিখ সন্ধ্যায়, মাঝে পুরো একটা দিন পড়ে আছে। আজ তো সবে ফেব্রুয়ারীর ছয় তারিখ। তখন ওরা কেউ জানতেন না, ১৯৫৮ সালের ফেব্রুয়ারীর ছয় তারিখ দিনটাই ফুটবল বিশ্বে কালো একটা দিন হয়ে থাকবে, শোকের আবরণে ঢাকা থাকবে তারিখটা! তবে বাড়তি একটা দিন অপচয় করতে রাজী ছিলেন না ম্যাট বাসবি, প্লেনের ক্যাপ্টেনেরও মিউনিখে রাত কাটানো ইচ্ছে ছিল না। কাজেই কিছুক্ষণ পরে ডাক পড়লো যাত্রীদের, যার যার আসনে গিয়ে বসলেন সবাই।

বিকেল তিনটা বেজে চার মিনিটে তৃতীয়বারের মতো টেক-অফের প্রস্ততি নিলেন দুই পাইলট। চিফ পাইলট হিসেবে ছিলেন জেমস থেইন, আর তার কো-পাইলট হিসেবে বিমানে ছিলেন কেনেথ রেমেন্ট। দুজনেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রয়্যাল এয়ারফোর্সে কাজ করেছিলেন, অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ বলা চলে দুজনকেই। নাক বরাবর সজোরে ছুটলো বিমানটা, ঘন্টায় প্রায় ১৭০ কিলোমিটার গতিবেগ তখন সেটার। কিন্ত হুট করেই গতি কমে এলো একশো কিলোমিটারের আশেপাশে, ওড়ার জন্যে যেটা মোটেও যথেষ্ট নয়। কি হচ্ছে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিমানটা গিয়ে আঘাত করলো এয়ারপোর্টের সীমানাপ্রাচীরে, সেখানে থাকা একটা বাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলো বিমানের, সামনের দিকটা দুমড়ে মুচড়ে গেল, আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলে উঠলো ভেতরে। বাড়ির অধিবাসীরা সবাই নিরাপদেই ছিলেন, কারো গায়ে আচড়টিও লাগেনি। কিন্ত বিমানের যাত্রিদের ভাগ্য অতটা ভালো ছিল না, ভাগ্য ভালো ছিল না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এয়ারবাসটা মূহুর্তেই পরিণত হয়েছিল মৃত্যুকূপে। ম্যাট বাসবি গুরুতর আহত হয়েছিলেন, রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কোনমতে বেরিয়ে এসেছিলেন বাইরে। হ্যারি গ্রেগ আর বিল ফক্স মোটামুটি অক্ষতই ছিলেন, তারা দুজনে মিলে ভেতরে থেকে অন্যান্য জীবিত যাত্রিদের বের করে আনার চেষ্টা করছিলেন। দমকল কর্মীরা ছুটে এসেছিল সঙ্গে সঙ্গেই, একপাশের ডানা ভেঙ্গেচুরে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল বিমানটার। বনি চার্লটন এখনও ভাবলে অবাক হন, ডানার পাশটায় বসেও তিনি বেঁচে আছেন! কয়েকটা কাটাছেড়া ছাড়া বেশ অক্ষত অবস্থাতেই বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন বিমান থেকে!

ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া সেই বিমান

তবে বাকীরা হ্যারি-বিল বা ববি’র মতো সৌভাগ্যবান ছিলেন না। একুশজন যাত্রী মারা গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলেই। কো-পাইলট রেমেন্টও ছিলেন সেই দলে। ম্যানচেস্টারের প্রথম একাদশের সাত খেলোয়াড় সেদিন হারিয়ে গিয়েছিলেন, এদের মধ্যে টমি টেইলর, রজার বার্নস, উইলান, বেইন- এদের প্রত্যেকেরই ক্লাবের হয়ে কমপক্ষে একশো গোল করার কীর্তি ছিল! আরেক খেলোয়াড় ডানকান অ্যাডওয়ার্ডস মিউনিখে যাত্রাবিরতির সময় স্ত্রীকে টেলিগ্রাম করেছিলেন, ফ্লাইট বাতিল হয়েছে লিখে। সেই টেলিগ্রামটা তার ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল, তিনি যেতে পারেননি। হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। সেবছরের একুশে ফেব্রুয়ারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সেই ঘটনায় মোট তেইশজনের মৃত্যু হয়েছিল। সাত খেলোয়াড়ের পাশাপাশি দলের তিনজন টেকনিক্যাল মেম্বারকেও হারিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বাকী নিহতেরা ছিলেন সাংবাদিক এবং কো-পাইলট। এই ঘটনায় শুরুতে পাইলট জেমস থেইনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। পরে বৃটিশ এয়ারফোর্সের তদন্তে অবশ্য তার দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি, আবার মিউনিখের এয়ারপোর্ট এই ঘটনার তদন্তে যে কমিটি গঠন করেছিল, তারা সরাসরি থেইনকেই অভিযুক্ত করেছে দুর্ঘটনার জন্যে। তার বিমা চালানোর লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছিল এই ঘটনার পরে।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলটা সেবার ইউরোপীয়ান কাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল, এসি মিলানের কাছে হেরে। সেই দূর্ঘটনায় প্রাণ হারানো খেলোয়াড়েরা হয়তো অন্য একটা জগত থেকে দেখেছিলেন, ওদের অভাবে প্রিয় দলটার বিদায়। নিজেদের গুছিয়ে নিতে অনেক সময় লেগেছিল রেড ডেভিলদের, ম্যাট বাসবি এক মৌসুম পরে ফিরেছিলেন ক্লাবের ডাগআউটে, ববি চার্ল্টন বা আর যারা বেঁচেছিলেন, তারাও মেন্টাল একটা ট্রমার মধ্যে দিয়ে পার করেছেন অনেকটা সময়। তবে এর দশ বছর বাদে ম্যাট বাসবির অধীনেই ইউরোপিয়ান শিরোপা ঘরে তুলেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বেনফিকাকে হারিয়ে জেতা সেই ট্রফিটা বাসবি উৎসর্গ করেছিলেন মিউনিখে প্রাণ হারানো ফুটবলারদের প্রতি। বিশ্বফুটবলের ইতিহাসে এই ঘটনাটা মিউনিখ ট্র্যাজেডি নামে পরিচিত, যে দুর্ঘটনা প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল রেড ডেভিলদের, শূন্য করে দিয়েছিল ইংলিশ ফুটবলের একটা প্রজন্মকে। তবে লিভারপুল এবং ওয়েস্টব্রমউইচের ভক্তরা এই ঘটনা নিয়ে বিদ্রুপাত্নক গান বানিয়েছিল, কারণ ইংলিশ ফুটবলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিল আদায়-কাচকলায়। "Man U Man U went on a plane, Man U Man U never came back again" শিরোনামের এই গানটা যেন শূল হয়ে বিঁধত প্রতিটা রেড ডেভিল ভক্তের হৃদয়ে। একারণে ম্যানচেস্টার ভক্তরা কখনোই তাদের শর্টনেমে(ম্যানইউ) ডাকাটা পছন্দ করে না...


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা