এমন করেও ভাবা যায়, এমন করেও আয়োজন করা যায়, এমন করেও মানুষের মুখে হাসি ফোটানো যায়...
স্বচ্ছল পরিবারের একটি মেয়ে, বস্তির ভাঙা ঘরে রান্না করে চলেছে এক বৃদ্ধ দম্পতির জন্য। পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই, ড্রেনের পচা পানির গন্ধ, ঘরের পাশেই ময়লা আবর্জনায় টিকে থাকা দায় হলেও সারাদিন এখানেই থাকার ব্রত নিয়ে এসেছে মেয়েটি।
নিঃসন্তান দম্পতির জন্য পছন্দের ইলিশ মাছ, গরুর মাংস নিজে বাজার করে এনেছে মেয়েটি। হয়তো বৃদ্ধ দম্পতির নিজের মেয়ে থাকলে এভাবেই তাদের জন্য বাজার করে এনে রান্না করতো। নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে ৪৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে সন্তানের মুখ দেখেননি তারা।
জন্মের পর মেয়েটি দেখেনি তার মাকে, আর এই মা কখনো পায়নি মাতৃত্বের স্বাদ। দুইপক্ষের সেই শূন্যতা একসাথেই পূরণ করবার চেষ্টা করা হয়েছে এই ভালোবাসা দিবসে। বৃদ্ধ দম্পতির আজীবনের স্বপ্ন, একদিনের জন্য হলেও কারো মুখে ‘মা-বাবা’ ডাক শুনবেন। আর সেটাই করার সাহস দেখিয়েছে মেয়েটি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাটিয়েছে মা-বাবার সাথে, বিদায়বেলায় চোখের জলে ভাসিয়েছে তাদের। বরাবরেই মতোই এই অভিনব উদ্যোগটি নিয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
বিদ্যানন্দের এই স্বেচ্ছাসেবক মেয়েটি জন্মের সময়েই তার মাকে হারিয়েছে। আর বৃদ্ধ এই দম্পতি ভুগতেন সন্তানহীনতার শুন্যতায়। এমন আয়োজনের মাধ্যমের একদিনের জন্য হলেও তাদের মুখে ফুটেছিলো হাসি। আর এই হাসি ভাগাভাগি করে নিয়েছে ভালোবাসা দিবসজুড়ে।
আপনার আশেপাশেই এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের খুব প্রয়োজন আপনার ভালোবাসাটুকু। আমাদের আশেপাশেই আছেন এমন অনেক নিঃসন্তান দম্পতি। আপনি চাইলে কিছুটা শূন্যতা পূরণে এগিয়ে আসতে পারেন, ভালোবাসার পরশটুকু পৌঁছে দিতে পারেন তাদের শূন্য বুকে। আসুন তাকেই আমরা ভালোবাসা দেই, যার ভালোবাসাটুকু বেশি প্রয়োজন। একটু সময় বের করতে পারবেন তাদের জন্য?
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সম্পর্কে জানতে আরো পড়ুনঃ
ভাষার মাসে অনাথ শিশুর মায়ের ভাষা ফিরিয়ে দিচ্ছে বিদ্যানন্দ!
সাবাশ বাংলাদেশ! ভালো কাজের প্রতিদান এভাবেই দিতে হয়!
অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার পর এবার বাসস্থান তৈরি করছে বিদ্যানন্দ!
সমুদ্র সৈকতের আবর্জনা দিয়ে বইমেলার স্টল! বিদ্যানন্দ, ইউ বিউটি!
পুরাতন জিনিস দিন, বিনিময়ে বইমেলায় বই নিন: বাহ বিদ্যানন্দ!
নির্বাচনী ব্যানার দিয়ে এতিমদের স্কুলব্যাগ, অবিশ্বাস্য!