দারুন সম্ভবনার, স্বপ্নের, প্রতিভার, মেধার মানুষগুলো কিছু সংখ্যা মুখস্ত করতে গিয়ে যে হারিয়ে যাচ্ছে; এতে দেশের তরুন শক্তির যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে, হচ্ছে  এবং ভবিষ্যতেও হবে– তা কি আমরা কেউ দেখতে পাচ্ছি?

আদনান কবির

রামায়ণের কাহিনীর মুল কাঠামোটি ঠিক রেখে যদি কয়েকটি বিষয়কে সামান্য পরিবর্তন করা হয়; তাহলে যে সর্বনাশটি তৈরি হয়; তা চির নিষিদ্ধ শাসনকর্তা ও ধর্মীয় আবেশকে ভেঙে গনমানুষের শক্তির গল্প বলে। ধরি; রাম সাধারন কৃষকের সন্তান। মাটির ও প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করা এ অসামান্য তরুন আরেক কৃষিকন্যা সীতার (সীতার মাটিতে পাওয়া সন্তান হিসেবে রামায়ণে এসেছে) হাত ধরতে গিয়ে ক্ষমতাশালী পরশুরামের সাথে বিরোধে জড়িয়েছে। হেরে যাওয়া পরশুরামের ক্ষমতায় রাম হয় জমিজমা হারা এক অসহায় কৃষক পরিবার। নিজ পরিবারকে বাচাঁতে বনে যায়; সেখানে রাবনের চোখ পরে সীতার উপর; অপহৃত হন তিনি। অসহায় বনবাসী রাম; তার চেয়েও অসহায় পাহাড়ীদের সাহায্যে তৈরি করেন গনমানুষের প্রতিরোধ। শাসকরাজ রাবনের রক্তচক্ষু ঠান্ডা করে সীতাকে উদ্ধার করেন এবং নিজে লংকার অধিপতি হয়ে রাম রাজ্য তৈরি করেন। হ্যা বিভীষনকে তিনি বহু আগে বিশ্বাসঘাতকতার পুরস্কার যেমন দিয়েছেন, তেমনি ধর্মব্যবসায়ীদের সীতার চরিএ নিয়ে প্রশ্ন করার অপরাধে শক্ত প্রতিরোধ করে – গণমানুষের মনের রাজা হয়েছেন রাম।

কিন্তু এ গল্প কাঠামোতে যে ভয়াবহ আপত্তি হয় শাসক কিংবা ধর্মীয় নেতা গোষ্টির। গনমানুষের শক্তির স্বরূপ; শাসকগোষ্ঠী কখনো তাঁকে বুঝতে কিংবা চিন্তা করতেও দেয় না। সে কারনে হয়তো রামায়নের রামকে হতে হয়েছে রাজপুত্র, উচ্চ বংশীয় এবং অলৌকিক শক্তির আধার। ধর্মীয় আবেশে তাঁর যে চরিএটি গঠিত হয়েছে; তাতে তিনি ধর্মীয় পুরাহিতদের কারনে ধর্মকে আগে স্থান দেন; এতো নিজ সন্তান ও সীতাকে বনবাসে পাঠাতেও পিছপা হন না, বাবার অন্যায় আচরনকে মাথায় স্থান দেন এবং ধর্মীয় গুরুদের সন্তুষ্ট করতে সীতার অগ্নি পরীক্ষার আয়োজন করেন। গণমানুষের প্রতিরোধ কিংবা শাসকগোষ্ঠীর শাসনব্যবস্থাকে প্রশ্ন করার মত কোন বিষয় রামায়নে নিয়ে আসা হয়নি। প্রথমে বর্নিত গল্পকাঠামোটি লেখকের নিছক একটি কল্পনা মাএ। কারো ধর্মীয় অনুভুতি কিংবা বিশ্বাসকে আঘাত করার জন্য নয়। তবে যে বিষয়টি সত্য: রামায়ন বিভিন্ন লেখকের হাতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে রচিত হয়েছে। এবার বাংলাদেশের পরিপেক্ষিতে কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলি। এখানে সদ্য প্রকাশিত ৩৮ তম বিসি্এস এর তথ্য ব্যবহার করে সামগ্রিক আলোচনাটি করা হয়েছে।

৩৮ তম বিসি্এস  ৩৮৯৪৬৮ জন প্রিলি পরীক্ষা দিয়েছিল (ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭) এবং ১৪৫৪৬ জন পরীক্ষায় পাস করেছিল (ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০১৮)। ১৪৫৪৬ জন লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিল (আগষ্ট ১৩, ২০১৮) এবং সেখান থেকে ৯৮৬২ জন লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছে (জুলাই , ২০১৯) ভাইবা শুরু হয়েছিল জুলাই ২৯, ২০১৯ থেকে। আজ (জুন ৩০, ২০২০) মোট ২২০৪ জন পাস করলো।

তারমানে প্রিলিতে ঝড়ে যায়: ৯৬% এর বেশি (বাকি থাকে .৭৩%) যারা এখানে টিকেছেন তারা কিন্তু সব উজ্জ্বল তারকা। আচ্ছা; এর পর লিখিত পরীক্ষায় ঝড়ে যায় ১৪৫৪৬ এর ৩৩% (বাকি থাকে ৬৭.৭৯%) তারমানে এনারা সব বাঘের বাচ্চা। ভাইবাতে গিয়ে এনাদের মধ্যে ঝড়ে যায় ৯৮৬২ এর ৭৭% এবং টিকে যায় ২২০৪ জন। যারা টিকে গিয়েছেন; তারা কি কি পাবেন (সন্মান, বেতন, ক্ষমতা, সুন্দর জীবন সঙ্গী, যোগাযোগ সহ বিভিন্ন কিছু) তা নিয়ে মাথা নষ্ট করার দরকার নেই। একটু সামান্য চিন্তা করি; বাকিদের কি হলো? ৩৮৭২৬৪ জন কি রাস্তায় ধুলা হয়ে গেল? এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে চলুন একটি খুব সাধারন যোগ-বিয়োগ-গুন-ভাগের অংক করি। নিচের অংকে ভয়াবহ কিছু ভুল আছে; চেষ্টা করুন খুঁজে বের করতে।

প্রথম অংশ:

৩৮৯৪৬৮ জন প্রিলি পরীক্ষা দিয়েছিল (ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭)। ধরে নিচ্ছি; এদের মধ্যে ৯০% দিনে ৮ ঘন্টা করে নুন্যতম ১ বছরের প্রিপারেশন নিয়েছেন। তার মানে ৩৮৯৪৬৮ (গুনন) ৩৬৫ দিন (গুনন) ৮ ঘন্টা (গুনন) ৯০% = ১০২৩৫২১৯০৪ ঘন্টা

দ্বিতীয় অংশ:

১৪৫৪৬ জন পরীক্ষায় পাস করেছিল (ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০১৮)। এর মাঝে চলে গিয়েছে প্রায় ৫১ দিন। ধরে নিচ্ছি; এদের মধ্যে ৫০% দিনে ৮ ঘন্টা করে প্রিপারেশনটা ধরে রেখেছিলেন। তার মানে ৩৮৯৪৬৮ (গুনন) ৫১ দিন (গুনন) ৮ ঘন্টা (গুনন) ৫০% = ৭৯৪৫১৪২৭ ঘন্টা

তৃতীয় অংশ:

১৪৫৪৬ জন যারা প্রিলিতে পাস করেছিল, তারা লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিল আগষ্ট ১৩, ২০১৮ তারিখে। মানে মাঝখানে ১৭৩ দিনের প্রিপারেশন সময় পেয়েছেন। ধরে নিচ্ছি; এদের মধ্যে ৯৫% দিনে ১২ ঘন্টা করে প্রিপারেশন নিয়েছেন। তার মানে ১৪৫৪৬ (গুনন) ১৭৩ দিন (গুনন) ১২ ঘন্টা (গুনন) ৯৫% = ২৮৬৮৭৬২১.২ ঘন্টা

চতুর্থ অংশ:

লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছেন ৯৮৬২ জন জুলাই , ২০১৯ তারিখে। মানে মাঝখানে প্রায় ৩৫০ দিনের সময় পেয়েছেন। ধরে নিচ্ছি; এদের মধ্যে ৮০% দিনে ১২ ঘন্টা করে প্রিপারেশনটা ধরে রেখেছিলেন। তার মানে ১৪৫৪৬(গুনন) ৩৫০ দিন (গুনন) ১২ ঘন্টা (গুনন) ৮০% = ৪৮৮৭৪৫৬০ ঘন্টা

৫ম অংশ:

লিখিত পরীক্ষায় পাস করা ৯৮৬২ জন গড়ে তিন মাস ভাইবার জন্য প্রিপারেশন সময় পেয়েছেন। ধরে নিচ্ছি; এদের মধ্যে ৯৯% দিনে ১৪ ঘন্টা করে প্রিপারেশন নিয়েছেন। তার মানে ৯৮৬২(গুনন) ৯০ দিন (গুনন) ১৪ ঘন্টা (গুনন) ৯৯% = ৮২৮৪০৮০ ঘন্টা

মোট = প্রথম অংশ + দ্বিতীয় অংশ+ তৃতীয় অংশ + চতুর্থ অংশ+ ৫ম অংশ = ১১৮৮৮১৯৬৩৭ ঘন্টা, মানে।৪৯৫৩৪১৫১.৬ দিন, মানে ১৩৫৭১০.০০৪ বছর সময়। মানে ১.৩৫ লক্ষ বছর সময় ব্যয় করে ২২০৪ জনের চাকরী নিশ্চিত হয়েছে।

টাকার হিসেবে যদি ধরি; ৪৯৫৩,৪১,৫১,৫৫০ টাকা সমতুল্যের শ্রম (দিন ১০০০টাকা ধরে; বর্তমান অর্থনীতির হিসেবে খুব বেশি ধরা হয়নি)। মানে ৪৯৫৩ কোটি টাকার সমমূল্যের শ্রমের বিনিময়ে ২২০৪ জনের চাকরী নিশ্চিত হয়েছে। গড়ে একটি চাকরীর জন্য পরিশোধিত সমমূল্য= ২২৪৭৬৬০.৪১ টাকা । মানে দু-কোটি ২৪ লাখ টাকা।

  • প্রকৃত অর্থনীতির হিসেবে, পরিমানটি অন্তত তিন থেকে চার গুন বড় হবে। সহজ হিসেবে; এক বয়সী অন্য তরুন (ছাত্র না হয়ে শ্রমজীবী বা অন্য পেশা ধরলে আরো সুবিধা হয়) কতটুকু আয় করেছে এ সময়ের মধ্যে তা বের করলে কিছুটা বুঝা যাবে। এছাড়া কিছু বিষয়ের উপর সরকারের সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকে। সে বিষয়ের পেশায় না গিয়ে যদি বি.সি.এস এর অন্য কোন পেশায় তিনি রুপান্তরিত হন, তার লোকসান। যেমন: এ বছর শুনেছি ৪০ জন ডাক্তার সুযোগ পেয়েছেন। সংখ্যার সত্যতা জানি না; তবে যে কয়জন হোক না কেন, সরকারের ছাএ প্রতি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় লোকসান খাতে চলে গেল।
  • যারা সুযোগ পেল না; তারা হয়তো হতাশা কিংবা দুর্ভাগ্যের কথা চিন্তা করে আরো এক-দু বছর এদিক ওদিক করে সময় নষ্ট করবে। মানে এ অংকের প্রথম অংশ ও দ্বিতীয় অংশ আবারো যোগ করুন।
  • মাদকাসক্ত বা আত্নঘাতি হওয়ার সম্ভবনা যে বেশি তা মোটা দাগে বুঝা যায়। কারন এ পরীক্ষার অংশগ্রহনকারীরা সাধারনত নিঃসঙ্গ এবং একাকী হয়ে প্রিপারেশন নেয় এবং হতাশা কিংবা ব্যর্থতায় তাদের কাছের কোন বন্ধু পাওয়া কঠিন হয়ে পরে।
  • কিছু জন বিসিএস নামের অংকের হিসাব মিলাতে না পেরে; হারিয়ে যাবে দেশ-সময়-পরিবার-সমাজ থেকে। কিছু চলে যাবে দেশ থেকে অভিমান করে; কিছু হতাশ হয়ে যাবে; কেউ প্রিয় মানুষটাকে হারিয়ে ফেলে জীবনযুদ্ধে সন্ধি করবে।
  • কিছু অনুপাত সাধারন চোখে মিলেনি এখনো। যেমন: যারা লিখিত পরীক্ষায় পাস করলো (৯৮৬২জন)এরা তো বাঘের বাচ্চা মেধাবী। মূল অংশগ্রহনকারীর ২.৫৩ শতাংশ। এ যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করার সাহস আমার চোদ্দ পুরুষের হয় না। তবে সরকারী খাতায় এদের ৮০ ভাগ বাদ কিভাবে পড়ে তা জানিনা। একটা সম্ভবনা হতে পারে; বাংলাদেশ সরকার ২২০৪ জনের বেশি চাকরী দিতে অক্ষম। সে কারনে প্রতি ৫ জনে ১ জন নাও; হিসাব করা লাগবে না কিছু। যদি তা হয়; তা হলে প্রশ্ন উঠে আসে; চরম মেধাবী এ ৭৬৫৮ জনকে বাদ দেওয়া অন্যায় কি না? ছাকনিটা নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন দেখি না। কোটা বিরোধী আন্দোলন বাকিটা বলে দিয়েছে এর মধ্যে।
  • ৪৯৫৩ কোটি টাকার সমমূল্যের শ্রমের বিনিময়ে যদি দেশে ৪৯৫৩ টি সফল উদ্যোগ গড়ে উঠতো কি বিশাল ও দারুন ব্যাপারটা না হতো। প্রায় ১ কোটি লগ্নির যে কোন ব্যবসা গড়ে ১০টি শ্রমনির্ভর চাকরী, ২-৪টি ব্যবস্থাপনা চাকরী এবং ১টি উন্নত আয়ের চাকরী নিশ্চিত করতে পারে। মানে হিসেবে ১৫ জন। মানে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষের আয় নিশ্চিত করতে পারতো এ সময়, শ্রম এবং মেধার বিনিময়ে।
  • বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল সরকারী হিসেবে দুই লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা। আমার মুক্তিযোদ্ধা অংকের শিক্ষকের হিসেবে খুব বেশি হলে ৯০ থেকে লক্ষ। বাকিদের নিয়ে তিনি কথা বাড়াতে চাননি। সরকারী হিসেবেরটা ধরলেও আরো একটা দেশ বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় দ্বিগুন তরুন ছিল এদেশে।

ফেসবুকে খন্ড খন্ড ভাবে লেখাটি প্রকাশ করায়; অনেকে বিভিন্ন কথা বলেছেন। খান বাপ্পীর হিসেবে; সমাজ যখন অনিশ্চিত জীবন ব্যবস্থা তৈরি করবে তখন এই রকম চাকরী জীবনের নিশ্চয়তা হয়ে যাবে, এটাই স্বাভাবিক! রাকিব হাসান তুষারের চোখে; বিসিএস এর ব্যাপারটা পুরাটাই ধৈর্য্য। আর বিসিএসটা এখন ট্রেন্ড হয়ে গেসে। কেউ এখন আর দেশের জন্য কাজ করবো চিন্তা করে বিসিএস দেয় না। একটা দেশের গোটা শিক্ষাব্যবস্থা যেখানে সৃজনশীলতাকে খুন করতে ব্যস্ত সেখানে সেই ২২-২৩ বছরের শিক্ষাব্যবস্থা পার করে এসে একজন মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতা টিকে থাকাটাই প্রশ্নবিদ্ধ। আর ব্যবসায়িক চিন্তা ভাবনার কথা বললে বলতে হবে, দেশের বিজনেস স্কুল গুলাই আমাদেরকে চাকরি পাওয়ানো নিয়ে ফোকাসড, সেখানে ব্যবসায়িক উদ্যোগের সামান্য চিন্তা আসাটাই বেশ কষ্টসাধ্য। তাও যারা করতে চায় তাদের তো ফ্যামিলি+ অন্যান্য প্রেশার থাকেই। এত কিছুর পরও যারা উদ্যোক্তা হয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাদেরকে আমি সত্যিকার অর্থেই শ্রদ্ধা করি।

আমি ব্যক্তিগত চোখে হতাশা এবং ভেঙে পরা তরুনদের কাছ থেকে দেখেছি। সেকারনে কথাগুলো বললাম। অংকে ভয়াবহ কিছু ভুল আছে বলেছিলাম; না অংকের হিসেবে ভুল নয়; যা রয়েছে তা হলো রাষ্ট্রীয় ভাবে নীতিতে ভুল। ১৮৫৩ সালে ব্রিটিশ রাজের তৈরি নকসায় Indian Civil Service (ICS) চালু হয়; তাতে যেমন প্রশাসনে ব্রিটিশ রাজের প্রতিনিধিদের ক্ষমতা পোক্ত হয়; তেমনি চরম প্রতিভাবান নেটিভদের জন্য লোকদেখানো অংশগ্রহনও নিশ্চিত হয়। দেশবিভাগের পর পাকিস্তানও একই নকসা গ্রহন করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর; প্রশাসন ব্যবস্থাপনাটি কতটুকু সক্ষমতার, সফলতার এবং গ্রহনযোগ্যতার দাবিদার; তার বিশ্লেষন এখানে করবো না। তবে বাঁছাই প্রক্রিয়াটি কেন সমসাময়িক বিশ্বের সাথে আধুনিক এবং মেধা বাছাইয়ের নিরপেক্ষ মাপকাঠি না হয়ে, অতীত সম্রাজ্যবাদী ও বর্নবাদীদের দেওয়া ফর্মুলায় কেন এখনো পরিচালিত হবে; এ প্রশ্নটি নিশ্চয়ই করা যায়। দারুন সম্ভবনার, স্বপ্নের, প্রতিভার, মেধার মানুষগুলো কিছু সংখ্যা মুখস্ত করতে গিয়ে হারিয়ে গেল; এতে দেশের তরুন শক্তির যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে, হচ্ছে  এবং ভবিষ্যতেও হবে – তা কি আমরা কেউ দেখতে পাচ্ছি?

আরও পড়ুন- 

*

প্রিয় পাঠক, এই লেখাটি একজন কন্ট্রিবিউটর লিখেছেন। চাইলে 'এগিয়ে চলো'তে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- আপনিও লিখুন 

*

যোগ দিন এগিয়ে চলো বাংলাদেশ ফেসবুক গ্রুপে


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা