এরা জানাজায় যাবে, মসজিদে যাবে, মাহফিলে যাবে। এদের ঘরে আটকায় রাখবেন, এরা দরজা ভেঙে চলে যাবে, এদের আইনের আওতায় আনবেন এরা আইন ভাঙবে, এদের কোন ভাবেই আটকানো যাবে না। কেন যাবে না, বলেন তো?

আপনাদের কি মনে হয় যে মানুষগুলো জানাজায় গেছে, এরা সবাই অশিক্ষিত? এদের বাসায় ইন্টারনেট নাই, এরা জানে না করোনা কি, এরা জানে না, জনসমাবেশ করলে কি হতে পারে?

এরা আপনার চেয়ে বেশি জানে, এদের মধ্যে বহু মানুষকে পাবেন যার মোবাইলে আপনার চেয়ে বেশি সোশ্যাল মিডিয়া এবং এডিটিং অ্যাপস আছে, এদের প্রোফাইলে গিয়ে দেখেন এরা আপনার চেয়ে বেশি জানে গুজব কি, কারণ এদের মধ্যে থেকেই গুজব সৃষ্টি হয়।

তারপরেও এরা জানাজায় যাবে, মসজিদে যাবে, মাহফিলে যাবে। এদের ঘরে আটকায় রাখবেন, এরা দরজা ভেঙে চলে যাবে, এদের আইনের আওতায় আনবেন এরা আইন ভাঙবে, এদের কোন ভাবেই আটকানো যাবে না। কেন যাবে না, বলেন তো?

এরা বিশ্বাস করে, করোনা এদের আক্রান্ত করতে পারবে না

কারণ, এরা এরা বিশ্বাস করে হুজুরের শক্তি আছে করোনা থেকে তাকে রক্ষা করার, এরা বিশ্বাস করে, কালিজিরা সকল রোগের ওষুধ, এরা বিশ্বাস করে এদের ঈমানের জোশে করোনা কাছেই আসবে না, এরা বিশ্বাস করে, মরে গেলে চ্যালচ্যালায়া বেহেশতে চলে যাবে। ৭২ টা হুর এদের জন্য মিষ্টি আঙুর নিয়ে বসে আছে।

তাই এদের বোঝানো বাদ দেন। মূর্খের দেশে জ্ঞানী হয়ে লাভ নাই। তার চেয়ে এদের কে গার্মেন্টস এ কাজে পাঠান, কল কারখানায় পাঠান, অফিস আদালত আবার চালু হোক, এদের অলস শরীর আর মস্তিষ্ক দিয়ে দেশের অর্থনীতি সচল হোক। একটা বিশাল অঙ্কের মানুষ মারা যাবেন, এটার জন্য প্রস্তুতি নেন। যারা বোঝেন যে করোনা কত ভয়ংকর, তারা বাসায় বসে শরীর চর্চা করেন, পুষ্টিকর খাবার খান, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান। আশার খবর হলো, আপনার শরীর সুস্থ ও সবল থাকলে করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি কম। এ ছাড়া করার কিছু নাই ।

বলদকে বুঝিয়ে হালচাষ করানো যায়, কিন্তু স্বেচ্ছা বলদাদের বোঝানো যায় না, এটা এইবার মেনে নেন।


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা