একদিন তো চলে যাবো দুঃখ পেয়ো না, হাসি মুখে থেকো যেন কেঁদো না...
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট

একদিন তো চলে যাবো দুঃখ পেয়ো না হাসি মুখে থেকো যেন কেঁদো না... ...হেসে খেলে ক্ষণ বয়ে গেছে কত না নীরবে কেঁদেছি কত কেউতো জানে না।। কষ্ট-জ্বালা সবই আছে বলা যাবে না এই নিয়ে যাবো চলে মন ভেঙ্গো না। একদিন তো চলে যাবো দুঃখ পেয়ো না হাসি মুখে থেকো যেন কেঁদো না...
আড্ডা এলবামে আছে গানটা, কষ্ট- জ্বালা কত কিছুই ছিলো তার, কিছুই না বলে নিভৃতেই চলে গিয়েছিলেন। তার চলে যাওয়া প্রমাণ করেছিলো তার বেঁচে থাকার কি অপরিসীম গুরুত্ব। অথচ, বেঁচে থাকতে কেউ হয়ত আলাদা করে তার অভিমানের কথা শোনেনি, যেমন শোনেনা কেউ রেললাইনের ওই বস্তিতে জন্ম নেওয়া একটি ছেলের কথা। আজ ফেব্রুয়ারীর আটাশ তারিখ। আজম খানের জন্মদিন। এই উপলক্ষ্যে হয়ত অনেক বিশেষণ ব্যবহার করা যেতো। আমরা অনেক বেদনায় ভারাক্রান্ত এই ব্যাপারটি হয়ত শব্দের কারিকুরি দিয়ে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টাও করা যেতে পারতো। কিন্তু, সত্যি বলতে আজম খানকে লোক দেখানো কিছু শব্দ দিয়ে বাঁধাই করতে মন চায় না। কারণ, আমরা সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশের গুণী মানুষদের কখনোই যথার্থ সম্মান দিতে পারিনি, তাদের মহাকালে ধারণ করার মতো উদারতা আমরা দেখাতে পারিনি। তবুও আজম খানের কথা মনে পড়ে। উনাকে লোকে আদর করে পপগুরু বলে এতো আহ্লাদ করে ডাকে যেনো মনে হয় এতেই তার প্রতি সম্মান দেখানো হচ্ছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের সঙ্গীত অঙ্গনে আজম খানকে নিয়ে চর্চা করা উচিৎ, উঠতি শিল্পীদের জানা উচিৎ দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা কি, শিল্পী জীবনের দায়বদ্ধতা কি।
আজম খান থাকতেন কমলাপুর জসীমউদ্দিন রোডে। তার মৃত্যুর বছর দুই এক আগের একটা ঘটনা মনে পড়ে। আমি পড়তাম মতিঝিল মডেল হাই স্কুলে তখন। মেইন গেটের উলটা দিকের সড়কে ওই সময় জনতা আর আদর্শ লাইব্রেরি পাশাপাশি ছিলো। পাশেই জসীমউদ্দিন রোড। স্কুল ভ্যানে বসে আছি। দেখি লম্বা একটা ঢোলা গেঞ্জি, ট্রাউজার পড়া এক লম্বা মানুষ, গালে যার খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি হেঁটে যাচ্ছে বাজারের ব্যাগ হাতে। দেখতে অনেকটা আজম খানের মতো মনে হলেও নিজেই এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলাম। কিসের আজম খান! উনাকে টিভিতে দেখেছি, উনি পপগুরু, ওরে সালেকা ওরে মালেকা গান গাচ্ছিলেন। বিখ্যাত লোক, উনি কি জন্য এমন জায়গায় আসবেন। তাছাড়া উনি সত্যি আজম খান হলে মানুষ তাকে ঘিরে ধরতো নাহ? আর আজম খান হলে অন্তত পোষাক আরেকটু উন্নত হতো। এতো ঢোলা জামা কাপড় কেউ পড়ে নাকি এই যুগে!
একদিন কোনো একটা কিশোর উপন্যাস কেনার জন্য লাইব্রেরির সামনে দাঁড়িয়ে আছি। দেখি সেই আজম খানের মতো দেখতে লোকটা, পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে। আমি লাইব্রেরির গোপাল'দাকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা উনার চেহারা অনেকটা আজম খানের মতো না গোপাল'দা? গোপাল'দা দিলেন এক ঝাড়ি, গাধা কোথাকার, উনিই আজম খান। এরপর আরো দুই একবার দেখেছিলাম মানুষটাকে, কোনো বিখাত মানুষকে এর আগে এতো কাছে থেকে দেখিনি। জসীমউদ্দিন রোডে উনার বাড়িটা দেখেও আমি সেইসময় বিস্মিত হয়েছিলাম। আজমের খানের বাড়ি এতো সাধারণ হতে পারে! তখন নিতান্তই এক স্কুল বালক ছিলাম, বোঝার ক্ষমতা হয়নি আজম খানকে। বুঝিনি, আজম খানের পক্ষেই সম্ভব, স্টারডম, খ্যাতি সব কিছুকে তুচ্ছ করেও একদম সাধারণের সাথে সাধারণের বেশে মিশে থাকা। গান না, শুধু যদি আমরা তার মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকার কথাও মনে রাখি, তবুও তো অন্তত মানুষটা আমাদের কাছে, সাধারণের কাছে আরো বেশি সম্মান এবং শ্রদ্ধা ডিজার্ব করেন। এই জায়গাটাতেও আমার মনে হয়, আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকেই এখনো ধারণ করতে পারিনি, হয়ত কেউ রাজনীতির স্বার্থে কিংবা অন্য কোনো স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের মাহাত্ম্যকে ব্যবহার করতে শিখেছি কিন্তু আন্তরিকভাবে ধারণ করার ব্যাপারটি আমাদের অনেকের মধ্যেই কেনো যেনো নেই বলে মনে হয়।
একাত্তরে আজম খান
এগিয়ে চলোতেই আজম খানের মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটনা নিয়ে একটি অসাধারণ লেখা আছে- রেললাইনের ওই বস্তিতে জন্মেছিল একটি ছেলে; সেখান থেকে শুধু তার মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার ঘটনাটা আবার বিবৃত করতে ইচ্ছে করছে। ঢাকা শহর তখন আগুণের শহর, চারদিকে মিলিটারিরা চক্র করে ঘুরছে। এর মধ্যে কয়েকবার দুরন্ত আজম খান এবং তার বন্ধুরা মিলিটারির সাথে চোর পুলিশ খেলেও ফেলেছেন। কিন্তু, আজম খানের প্রায়শই মনে হয়, শালার ঢাকায় থাকলে তো এমনেই মরতে হইবো, তার চেয়ে যুদ্ধ কইরাই মরি। মধ্যবিত্ত ঘরে মায়েরা দূতিয়ালির কাজ করে, ছেলেপেলেরা কোনো আবদার করলে বাবাকে সরাসরি বলতে সাহস পায় না। মাকে গিয়ে বলে। আজম খান তার মাকে গিয়ে খুব সরল ভঙ্গিতে বললেন, মা যুদ্ধে যাবো। আজম খানের মা হয়ত অন্য কোনো আবদার হলে শুর শুর করে আফতাব উদ্দিন খানকে গিয়ে বলেই ফেলতে পারতেন। কিন্তুর ছেলের ওমন আবদারের কথা শুনে বললেন, আমি কিছু জানি না, তোর বাপকে জিজ্ঞেস কর।

যুদ্ধ করে মরে যাওয়া হয়ত সহজ কিন্তু বাবার সামনে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করতে যাওয়ার কথা বলতে পারা অতো সহজ না। আজম খান তার গম্ভীর বাবাকে বললেন, আব্বা আমি যুদ্ধে যাইতেসি। বলেই আজম খান আশংকা করলেন কখন আফতাব উদ্দিন তাকে কষিয়ে একটা লাত্থি মেরে বসে। কিন্তু, আজম খানের আশংকা মিথ্যা প্রমাণ করে আফতাব উদ্দিন খান তাকে প্রশ্রয়ের সুরে হুমকি দিলেন, “যুদ্ধে যাচ্ছিস ভালো কথা, কিন্তু দেশ স্বাধীন না করে ফিরতে পারবি না।” গানের চর্চাটা আগে থেকেই ছিলো তার। গণসঙ্গীত শিল্পী গোষ্ঠি ক্রান্তি’র সাথে যুক্ত ছিলেন, পাকিস্থানিদের বিরুদ্ধে গান গেয়ে হয়রানির শিকারও হওয়ার অভিজ্ঞতা তার ছিলো। যুদ্ধের সেই বিভীষিকাময় দিনগুলোতে আজম খান গানকে ভুলে যাননি। জননী জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনগুলিতেও সে কথা লেখা আছে-
“২০ আগস্ট, ১৯৭১। একটা তাঁবুতে আলো জ্বলছে, আর সেখান থেকে ভেসে আসছে গানের সুর: হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ. বুঝলাম আজম খান গাইছে। আজম খানের সুন্দর গলা। আবার অন্যদিকে ভীষণ সাহসী গেরিলা, দুর্ধর্ষ যোদ্ধা।“
সেই আজম খানকে স্বাধীনতার অনেক পরে এসে বলতে হয়েছিলো, “এই প্রজন্মের কেউ তো মুক্তিযুদ্ধের গান শুনতে চায় না! এদের জন্য এই সব গান করে লাভ নেই। তারা তো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসই জানে না। তবু এখন দেশ গড়ার গান করছি। দেশের দুঃসময়ে আমাদের আমি এই প্রজন্মকে অন্য এক মুক্তির গান শোনাতে চাই। কারণ এ দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি, প্রগতিশীল চিন্তা – চেতনার মুক্তি এখনো আসেনি।”
পেছন ফিরে দেখা
মাহবুবুল হক খান নাম বললে এখন কেউ এই নামে তাকে চিনবে না, যদিও এটাই ছিলো তার পুরো নাম। যুদ্ধের পর বাহাত্তরে উচ্চারণ ব্যান্ড গঠন করেছিলেন। বন্ধু নিলু আর মনসুরকে গিটারে, সাদেককে ড্রামে আর নিজেকে প্রধান ভোকাল করে আজম খান পারফর্ম করা শুরু করেন। “এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছু রবে না’গো” এবং “চার কালেমা স্বাক্ষী দেবে” গান দুইটা যখন বিটিভিতে প্রচারিত হলো তখনই হু হু করে বেড়ে গেলো উচ্চারণ ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা। পঁচাত্তরে সেই বিখ্যাত গানটি বের হয়, রেললাইনের ওই বস্তিতে, জন্মেছিলো একটি ছেলে... এই গানের একটি ইতিহাস আছে। ১৯৭৪ সালের কথা। দেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হলো। তখন কমলাপুর থেকে নটরডেম কলেজের ফুটপাত মানুষে ভরপুর। মানুষ মারা যাচ্ছে। কবর দেওয়ার মানুষ নেই। মা তার দুধের সন্তানকে রেখে পালিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষুধার জ্বালায় বাচ্চাকে বিক্রিও করে দিচ্ছেন।
তখন নতুন নতুন গান করতেন আজম খান। ফুটপাতের বাচ্চাগুলো তাকে দেখলে মামা মামা বলে ডাকত। একদিন দেখেন এক বাচ্চা কাঁদছে। জিজ্ঞেস করলেন, “কী হইছে?” একজন বলল, “মা বাচ্চাটারে রাইখা পলাইছে।“ তীব্র হাহাকার হলো তার। লিরিক লিখতে বসলেন, প্রথম লাইন- রেললাইনের ওই বস্তিতে...। আজম খান গানের ভাষায় মনের বেদনা প্রকাশ করলেন। এই গানের পর ভীষণ একটা হৈ চৈ পড়ে যায়, আসমান ছোঁয়া জনপ্রিয়তা পান আজম খান। তার গানের ভাষার সাথে একাত্ম হয় সাধারণ মানুষ। এরপর একের পর এক হিট গান উপহার দিতে থাকেন, সঙ্গীতের ভুবনে এক অন্য ধারা সৃষ্টি হয়, কেউ কেউ হয়ত এই সঙ্গীত বিপ্লবকে মেনে নিতে পারেননি, সমালোচনা করেছেন। কিন্তু, বাংলা গানের একটি ভিন্ন ধারা ঠিকই দাঁড়িয়ে যায় আজম খানের হাত ধরে। বিখ্যাত ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু আজম খান সম্পর্কে বলেন, “আমার তো বটেই, আমার সমসাময়িক এবং আমার আগের একটি প্রজন্ম এবং আমার পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেই এখনো আজম ভাই দ্বারা অনুপ্রাণিত। এখনো যাদের নিজের গান হয়নি, মঞ্চে তাদের এখনো আজম ভাই-এর গান গাইতে হয়। আর আমরাও আজম ভাই-এর গান দিয়েই কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। যদি আজম ভাই সালেকা-মালেকা না গাইতেন তবে এখনো হয়তো আমাদের ইংরেজি গানই গাইতে হতো। বাংলা গান আর গাওয়া হতো না।“
পাঁপড়ি ঝরা বিকেল
পঁচাত্তরের কোনো এক সময়। আজম খানদের জসীমউদ্দিন রোডের বাড়ির দোতলায় পাঁপড়িরা স্বপরিবারে ভাড়া থাকতো। মেয়েটি দেখতে বেশ চমতকার। এই বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে যা হয়, এলাকার বখাটে ছেলেদের বদনজরে পড়তে হয়। পাঁপড়ির অবস্থাও তাই হলো। তাকে বখাটে ছেলের দল প্রায়ই বিরক্ত করতো। খবরটি আজম খানের কানে আসে। আজম খান স্থানীয় যুবক, তার চেয়ে বড় কথা সে এসব বখাটেপনা একদমই সহ্য করতে পারে না। একদিন সবাইকে ডাক দিলো সে। হিমশীতল কণ্ঠে বললো, “ওর দিকে আর কেউ চোখ তুইল্লা তাকাবি না...”। এরপর থেকে পাঁপড়ির ভালো মন্দ দেখার দায়িত্বটা যেনো অলিখিতভাবে আজম খানই নিলো।
কিন্তু হঠাৎই পাঁপড়িরা জসীমউদ্দিনের রোডের বাড়িটি ছেঁড়ে অন্যত্র চলে যায়। আজম খান মনের অনুভূতি গানের ভাষায় লিখে ফেললেন। তৈরি হলো আরেকটি সুন্দর গান।
“সারারাত জেগে জেগে কত কথা আমি ভাবি পাপড়ি কেন বোঝে না, তাই ঘুম আসে না।। তুমি আমি কেন দূরে দূরে খুজে বেড়ায় ঘুরে ঘুরে মন কি যে চাই কাঁদে শুধু বেদনায় পাপড়ি কেন বোঝে না, তাই ঘুম আসে না...“
আজম খানের বন্ধু আলাল-দুলাল
আজম খানের আরেকটি বিখ্যাত গান আলাল ও দুলাল। এই গানের একটা গল্প আছে। রোজই জসীমউদ্দিন রোডের বাড়িটায় আড্ডা বসে, আড্ডার প্রধান চরিত্রদের মধ্যে ছিলো আপন দুই ভাই শাহাজাহান ও জাহাঙ্গীর। আড্ডার আরেক চরিত্র আলমগীর এই দুই ভাইকে আলাল দুলাল বলে ক্ষেপাতো। আজম খান তখন ক্ষেপানোর মাত্রাটাকে আরো পূর্ণতা দেয়ার জন্যেই কি না কে জানে গান বাঁধলেন, আলাল ও দুলাল, আলাল ও দুলাল, তাদের বাবা হাজি চান, প্যাডেল মেরে ওই পুলে পৌছে বাড়ি ... গান শুনলেই খানিকটা লজ্জার ভঙ্গিতে শাহাজাহান ওরফে আলাল এবং জাহাঙ্গীর ওরফে দুলাল মাথা নিচু করে থাকতেন। বিটিভিতে ১৯৭৫-৭৬ সালে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের একটা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের জন্য আজম খান গানটা রেকর্ড করলেন কাকরাইলের ইপসা রেকর্ডিং স্টুডিওতে। মজার ব্যাপার হলো, পুরান ঢাকার চানখাঁর পুলে সত্যি সত্যি “হাজি চান” নামের এক মুরুব্বি ছিলেন। আলাল ও দুলাল গানটি শুনে তিনি ভীষণ মজে যান। মুরুব্বি হয়ত ভেবেছিলেন গানটি বুঝি তাকে নিয়েই লেখা। তিনি আজম খানের এক বন্ধুকে পেয়ে বললেন, 'আজম খান তো গানটা জব্বর গাইছে। ওরে লইয়া একদিন মহল্লায় আহো।'
আজম খান বাংলাদেশে একটা অধ্যায়, অনেক ভুলে যাওয়াদের ভিড়ে আমরা তাকে মনে রাখতে চাই। তার গানগুলো বিক্ষুব্ধ রাতে শুনতে শুনতে দেশকে গভীর দৃষ্টিতে দেখার শিক্ষা নিতে চাই। অবহেলায় পড়ে থাকা চরিত্র হয়েছিলো তার গানের নায়ক, অবহেলায় পড়ে থাকা মনের গভীরের সুপ্ত কথা হয়েছিলো তার গানের গীতিকবিতা। সেই আজম খানকে কি চাইলেও মনের গহীন থেকে মুছে ফেলা যাবে, সেই মানুষটাকে কি চাইলেও অবহেলায় ভুলে থাকা যাবে? কারণ তিনি তো বাংলাদেশের আজম খান। তার শেষ গানের কথাগুলো রেখে যাই লেখা শেষে, তার জন্যে রেখে যাই এক সহস্র স্যালুট। স্যালুট বীর মুক্তিযোদ্ধা আজম খান।
“...আলাল দুলাল আগের মত নাই তো আর পাজি ওদের বাবা মাল কামাইতে হইছে এখন রাজি... আলাল দুলাল ব্যবসা করে সিংগাপুর গিয়া হাজি চান গাড়ি হাকান সাইকেল ছাড়িয়া আমি আজম এখনো গাই বাংলাতে পপ গান আমি আজম খান... আমি বাংলাদেশের আজম খান বাংলাতে গাই পপ গান জারি সারি ভাটিয়ালী এক মায়ের সন্তান।। আমি আজম খান...”