বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, যতদিন নারী আন্দোলন থাকবে, ততদিন থাকবেন আয়েশা খানম
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
স্বাধীনতাপূর্ব সব ছাত্র আন্দোলনে তিনি ছিলেন রাজপথের যোদ্ধা, যুদ্ধের সময় করেছেন নির্যাতনের শিকার নারীদের পুনর্বাসন এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোকে সহায়তার কাজ। আয়েশা খানমদের আসলে মৃত্যু নেই...
এই বাংলাদেশ গড়ার পেছনে যে মানুষেরা রয়েছেন আয়েশা খানম তাদেরই একজন। এ জীবনে বহুবার তার এসাইনমেন্ট করেছি। অনেক কথা বলেছি, শুনেছি। তার কথার মধ্যে অদ্ভুত এক ধরনের শক্তি ছিল।
অবশ্য থাকবেই বা না কেন! নেত্রকোনার মেয়ে আয়েশা খানম ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত। ছয়দফা, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলনসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের পথে এগিয়ে যেতে যেসব আন্দোলন-সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছিল সেসবগুলোতেই তিনি সামনের সারিতে ছিলেন৷
একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্র নেতা মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করতে নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন তাঁদেরই একজন আয়েশা খানম৷ তাঁর কথার মধ্যে একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিধ্বনি পেতাম সব সময়।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক বাহিনী ও তাদের দোসরদের নির্যাতনের শিকার নারীদের পুনর্বাসন এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় কাজ করেন তিনি৷ শুরু থেকেই বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সঙ্গে যুক্ত৷ প্রথমে ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আয়েশা খানম সারাজীবন এই দেশের গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, সমান অধিকার ভিত্তিক সমাজ গড়ার কাজে জড়িয়ে রেখেছিলেন নিজেকে। এমন একজন মানুষের চলে যাওয়া আমাদের সবাইকে ব্যথিত করে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
আয়েশা খানমদের আসলে মৃত্যু নেই। বাংলাদেশে যতদিন থাকবে, যতদিন নারী আন্দোলন থাকবে ততদিন থাকবেন তিনি। দোয়া করি আল্লাহতায়ালা তাকে পরপারে ভাল রাখুক। আমিন।