যে দেশে প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে ধমক দেয়ার অধিকার রাখে সাধারণ জনগন!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রনোদনার ঘোষণা দিবেন বলে একটি বাড়ির উঠানে দাঁড়ালেন। নতুন বোনা ঘাসের উপর দাঁড়িয়েছেন বলে সেই বাড়ির কর্তা তাকে রীতিমত ধমক দিয়েই সরে দাঁড়াতে বললেন। অথচ 'উগান্ডায়' একজন পাতি নেতাকেও কেউ এভাবে প্রকাশ্যে ধমক দিলে যা হতো, সেটা কল্পনার অতীত...
অনলাইনে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটা ভিডিও। সেটা দেখে বেশ অবাক হলাম। কেন অবাক হলাম সেটা বলার আগে, কী হয়েছিলো সেখানে সেটা সংক্ষেপে বলে রাখি।
ঘটনাটা গত বৃহস্পতিবার সকালের। রৌদ্রজ্জ্বল সেই সকালে নতুন বাড়ি-ঘর তৈরি হচ্ছে এমন এলাকায় একটি বাড়ির সামনে সংবাদকর্মীদের সামনে হাজির হলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। বাড়ি-ঘর বানাতে সরকারের প্রণোদনা ঘোষণার সংবাদ সম্মেলন সবে শুরু করেছেন ঠিক সেই মুহুর্তেই, ঐ বাড়ি থেকে এক বাসিন্দা বের হয়ে আসলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে মুখের ওপর থামিয়ে বললেন, ‘ওখান থেকে সরে দাঁড়াও। মাত্রই ঘাস বুনেছি।’ এটা শুনে সবাই প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে যান। বেচারা প্রধানমন্ত্রীও এই ধমক খেয়ে চুপচাপ পেছন হটে যান। এবং উপস্থিত সবাইকে বলেন সরে যাওয়ার জন্য।
দেশটির নাম অস্ট্রেলিয়া। এটা নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন স্বাভাবিকভাবেই সামলে নেন পুরো বিষয়টি। তারপর প্রধানমন্ত্রী ঐ বাড়ির মালিককে 'ঠিক আছে' বলে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালে তিনি ঘরে ঢুকে যান।
তারপর প্রধানমন্ত্রী সরকারের প্রণোদনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলতে শুরু করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে মরিসন সাংবাদিকদের রসিকতা করে বলেন, 'সাবধান, ওই বাড়ির ঘাস আবার মাড়াবেন না কিন্তু।'
দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে ৫৩ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে একজন মন্তব্য করেন, এ জন্যই অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে আমি পছন্দ করি। বাকস্বাধীনতা, একে অপরকে সম্মান করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং আপনার ভুলগুলোর জন্য দায় স্বীকার করা। অন্য দেশে আপনার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ করার কথা একবার ভেবে দেখুন।
আসলেই তো। একবার ভেবে দেখুন। এই ঘটনাটা আজকে যদি উগান্ডায় হতো, তবে কী হতো? উগান্ডায় তো আবার ভাতের চেয়ে ডাল বেশি গরম। প্রধানমন্ত্রী লাগতো না, সেদেশের পাতি নেতারা মিলে ঐ বাড়ির মালিকের যে অবস্থা করতো, সেটা কল্পনার অতীত...